পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] সকুলেই দেখিতেছেন ; বরং দ্বৈরাজ্যে যতটুকু অধিকার ও ক্ষমতা ছিল তাহ, অন্ততঃ কিছুকালের জুন্ত, ভোগ ও প্রয়োগের সুযোগ হইবে ন;, তাহাই দেখা যাইতেছে । তবে, ইহা স্বীকার্য্য, যে, অদূর, দূর বা স্বদূর ভবিষ্যতে দেশের লোকেরা আংশিব" বা পূর্ণ-আত্মকর্তৃত্ব বা স্বাধীনত পাইবে । কিন্তু তাহা দ্বৈরাজ্যের বর্তমান উচ্ছেদের ফলেই ঘটিবে, ঠিক ন্যায়শাস্কের নিয়ম-অমুসারে তাহা বলা যায় না। কারণ এখন দ্বৈরাজ্য থাকিলেও অদূর, দূর বা সুদূর ভবিষ্যতে দেশের লোকের আংশিক বা পূর্ণ আত্মকর্তৃত্ব বা স্বাধীনত। পাচত - তাহাতে অণুমাত্র ও সংশয় নাই । দ্বৈরাজ্য সাময়িকভাবে স্থগিত থাকায়, আমাদের রাষ্ট্রীয় অধিকার লাভে বাধা দিবীর ও বিলম্ব ঘটাইবার প্রবৃত্তি ইংরেজদের মধ্যে বাড়িবে ল। কমিবে, তাহ পাঠকের স্থির করিতে পাfরবেন। - রাষ্ট্রীয় বিষয়ে দুর্নীতি ভারতসচিব লর্ড অলিভিয়ার পালেমেণ্টে এক বক্তৃতায় বলেন, যে, ঐযুক্ত চিত্তরঞ্জন দাশ খাটি লোক ও সাধুতায় ( "সেন্ট লিনেস-এ” ) তিনি কেবলমাত্র মহাত্মা গান্ধীরই 創 নীচে ; তার চেয়ে সাধু ভারতে আর কেহ নাই ; এবং তিনি নিশ্চয়ই র্তাহার দেশের জন্য উচ্চ ও প্রশংসুনীয় বহু আদশ পোষণ করেন । সেই বক্তৃতাতেই ভারতসচিব আরো বলেন, যে, বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভায় স্বরাজ্যদল নগদ টাকা দিয়া ভোট কিনিয়াছেন। সকলেই জানেন, যে,•ত্রীযুক্ত চিত্তরঞ্জন দাশ এই দলের নেতা এবং তিনি যাহ। স্থির করেন, তদনুসারে কাজ হয় । নগদ টাকা ঘুষ দিয়া (কিম্বা আত্মীয়কে চাকরী দেওয়ার ঘুষ দিয়া ) যে-দল নিজেদের কার্য্য উদ্ধার করে বলিয়া লর্ড অলিভিয়ারের বিশ্বাস, তাহার নেতাকে সাধুজার ও খাঁটিত্বের কি মাপকাঠি-অহসারে খাটি ও সাধু বলা যায়, তাগ আমরা বঝিতে অক্ষম " অবশ্য লর্ড অলিভিয়ার র্তাগর কথার কোন প্রমাণ দেন নাই। চিত্তরঞ্জন বাবুও, লর্ড, অলিভিয়ারের কথার জবাব দিবার চেষ্টা করিয়াও, সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেন নাই । আমরাও সম্পূর্ণ শ্রদ্ধেয় বিবিধ প্রসঙ্গ—রাষ্ট্রীয় বিষয়ে দুনীতি Ե8Գ লোকেদের কাছে স্বরাজ্যদলের উৎকোচ-দান ও প্রলোভনপ্রদর্শন-নীতি-সম্বন্ধে অনেক কথা শুনিয়াছি । এসম্বন্ধে আমাদের সাক্ষাং জ্ঞান কিছু নাই । অন্যদিকে গবর্ণমেণ্ট, পক্ষের বিরুদ্ধেও ঠিক ঐরুপ অখ্যাতি রটিয়াছে। ঐযুক্ত সতীশরঞ্জন দাস রায় বাহাদুর প্যারীলাল দাসকে যে-চিঠি লিখিয়াছিলেন, ফরওয়ার্ড তাহ মুদ্রিত করে। পত্র-লেখক তাঙ্গ লিখিয়াছেন বলিয়া সরলভাবে স্বীকার করেন, প্রাপক সম্পূর্ণ ন্যাক সজেন ! চিঠিটার দ্বারা গবর্ণমেণ্টের প্রলোভন প্রদর্শন ও“বকৃশিশ”দীন-নীতি প্রমাণিত হইতেছে—যদিও প্রমাণের বেশী দরকার ছিল না। কারণ, গবর্ণমেণ্ট নিজেই একটা বিজ্ঞাপনী দ্বারা জানান, যে, ব্যবস্থাপক-সভার বেসব সভ্য মন্ত্রীদের বেতন মঞ্জুরীর পক্ষে ভোট দিবেন, তৃতীয় মন্ত্রী র্তাঙ্গদের মধ্য হইতে নিযুক্ত হইবে । ইহা প্রকাশ্যভাবে লোভ uদ থান ভিন্ন আর কি ? ফরওয়ার্ড ঐযুক্ত সতীশরঞ্জন দাসের যে-চিঠি ছাপিয়াছে তাহ। রায়-বাহাদুর প্যারীলাল দাসের কোন বন্ধু বা আত্মীয়ের বিশ্বাসঘাতকতায় বা কাহারও চুরি-বিদ্যার ফলে ঐ কাগজের হস্তগত হইয়া থাকিবে । মৌলবী ফজলল হকের নামযুক্ত যে-চিঠি ঐ কাগজে বাহির হইয়াছে, তাহাও ঐরূপ কারণে * হস্তগত হইয়া থাকিবে । প্রতারণা, বিশ্বাস-ঘাতকতা ও চৌর্য্য যুদ্ধবিদ্যার অঙ্গ , সুতরাং রাজনৈতিক দলাদলি-নামে অভিহিত রক্তপাত-বিহীন যুদ্ধেও ইঙ্গর প্রচলন দেখা যায়। কিন্তু ইহা চারিত্রিক উৎকর্যের, সাধুতার, খাটিত্বের, বা উচ্চ ও প্রশংসনীয় আদশের পরিচায়ক নহে । বস্তুতঃ দেশের রাজনৈতিক হাওয়া এমন দৃষিত হইয়াছে যে, তাহার মধ্যে তিষ্ঠিতে পার কঠিন। অবশ্য যাহার তিষ্ঠিতে পারিবে না, সেরূপ খুতখুতে লোকদিগকে কর্তী রাজনৈতিকের “ শুচিবায়ুগ্ৰস্ত ” “ রুচিবাগীশ ”, ইত্যাদি উপাধি দিবেন । তাঙ্গদের এই আমোদে বাধা দিবার বিন্দুমাত্রও ইচ্ছ,আমাদের নাই। 轎