পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭હૈં সংখ্যা) বিবিধ প্রসঙ্গ—কলিকাত মিউনিসিপালিটীর খবরের কাগজ "উৎসব” উপভোগ করিয়া থাকেন বা করিতে পারেন । ‘রবীন্দ্রনাথ তাহার “ধৰ্ম্ম” নামক পুস্তকে “উৎসব’শীর্ষক প্রবন্ধে বলিয়াছেন, “উৎসবের মধ্যে মিলন চাই,” “উৎসব একলার নহে।” ( পৃষ্ঠা ১ ) এই প্রবন্ধের অন্তভ্র তিনি বলিতেছেন :- - • * "সত্য প্রেমরূপে আমাদের অন্তঃকরণে আবিভূর্ত হইলেই সত্যের সম্পূর্ণ বিকাশ হয় । তখন বুদ্ধির দ্বিধা হইতে, মৃত্যুপীড়া হইতে, স্বার্থের বন্ধন ও ক্ষতির আশঙ্কা হইতে আমরা মুক্তিলাভ করি। তখন এই অস্থির সংসারের মাঝখানে আমাদের চিত্ত এমন একটি চরম স্থিতির আদর্শ খুজিয়া পায়, যাহার উপর সে আপনার সর্বম্ব সমর্পণ করিতে প্রস্তুত হয়।” * তাহার পর কবি বলিতেছেন – “প্রাত্যহিক উদভ্ৰাপ্তির মধ্যে মাঝে-মাঝে এই স্থিতির স্বথ, এই প্রেমের স্বাদ পাইবার জন্তই মানুষ উৎসবক্ষেত্রে সকল মানুষকে একত্রে আহবান করে। সেদিন তাহার ব্যবহার প্রাত্যহিক ব্যবহারের বিপরীত হইয় উঠে। সেদিন একলার গৃহ সকলের গৃহ হয়, একলার ধন সকলের ভূন্য ব্যরিত হয়। সেদিন ধনী দরিদ্রকে লম্মানদান করে, সেদিন পণ্ডিত মুৰ্থকে আসন দান করে। কারণ আত্মপর, ধনিদরিদ্র, পণ্ডিতমুর্থ এই জগতে একই প্রেমের দ্বারা বিধৃত হইয়া আছে, ইহাই পরম সতf —এই সত্যের প্রকৃত উপলব্ধি পরমানন্দ। উৎসবদিনের অবারিত মিলন এই উপলব্ধিরই অবসর। যে-ব্যক্তি এই উপলব্ধি হইতে একেবারেই বঞ্চিত হইল, সে-ব্যক্তি-উন্মুক্ত উৎসব-সম্পদের মাঝখানে আসিয়াও দীনভাবে রিক্তহস্তে ফিরিয়া চলিয়া গেল।” (পৃষ্ঠা ৩) র্যাহারা প্রকৃত উৎসব করিতে চান এবং কবির প্রতি •র্যাহাঁদের শ্রদ্ধা আছে, তাহারা তাহার, প্রবন্ধটি আদ্যোপান্ত পড়িয়া দেখিতে পারেন –ৰ্তাহার সব কথা উদ্ভূত করিবার স্থান নাই, কেবল আর কয়েকটি কথা উদ্ধৃত করিতেছি । - “যেখানে অহঙ্কার, যেখানে তর্ক, যেখানে বিরোধ, যেখানে খ্যাতি প্রতিপত্তির জন্য প্রতিযোগিতা, যেখানে মঙ্গলক ও লোকে লুদ্ধভাবে গৰ্ব্বিতভাবে করে, যেখানে পুণ্যকৰ্ম্ম অভ্যন্ত আচার মাত্রে পর্যবসিত— সেখানে সমস্ত আচ্ছন্ন, সমস্ত রুদ্ধ, সেখানে ক্ষুদ্র বৃহৎ রূপে প্রতিভাত হয়, বৃহৎ ক্ষুদ্র হইয় পড়ে, সেখানে তোমার [ বিশ্ববজ্ঞপ্রাঙ্গণের উৎসব দেবতার 1 জাহান উপহসিত হইয়া ফিরিয়া আসে । সেখানে তোমার স্বৰ্য্য আলোক দেয় কিন্তু তোমার স্বহন্ত-লিখিত আলোক-লিপি লইয়। প্রবেশ করিতে পারে ন8 সেখানে তোমার উদার বায়ু নিঃশ্বাস জোগার মাত্র, অন্তঃকরণের মধ্যে বিশ্বপ্রাণকে সমৗরিত চরিতে পারে না।” ( د-q: w) কুলিকাতা মিউনিসিপালিটার খবরের কাগজ . কলিকাতা মিউনিসিপালিটী নিজের একটা খবরের কাগজ প্রকাশ করিবেন, স্থির করিয়াছেন।" ইহার Ye h--> * ઈs> একটা উদেশ্ব এইরূপ বলা হইয়াছে, যে, মিউনিসিপালিটীর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বা উহার কাজ-সম্বন্ধে যেসকল ভ্রান্ত সংবাদ বা নিন্দা রটে, ইহাতে তাহার সংশোধন ও প্রতিবাদ করা হইবে । এই কাজটি করিবার জন্ত একটা খবরের কাগজের প্রয়োজন নাই । দৈনিক কাগজ-সকলে প্রতিবাদ পাঠানই যথেষ্ট । তা ছাড়া, যে-সব কাগজে মিউনিসিপালিটীর সমালোচনা হয়, তাহাদের কাটুতি,সমুদয় বঙ্গে এবং বাংলা দেশেরও বাহিরে। মিউনিসিপালিটার কাগজের কাটুতি কলিকাতার বাহিরে হইবে না। স্বতরাং উহাতে যে সব “খাটি” ংবাদ দেওয়া হইবে, তাহ দেশের লোকের কাছে সাক্ষাৎভাবে পৌছিবে না ; অন্ত-সব কাগজ যদি উদ্ধত করে, তাহা হইলে পৌছিতে পারে। কাগজখানা কোন ভাষায় হইবে জানি না। ইংরেজীতে হইলে অধিকাংশ বাঙালী পাঠকের কাজে লাগিবে না। বাংলায় হইলে কলিকাতার অবাঙালীদের কাজে লাগিৰে না । কাগজখানার অন্ত যে-সব উদেশ্ব বলা হইয়াছে তাহা সিদ্ধ করিবার জন্য যথোপযুক্ত বন্দোবস্ত ও পরিশ্রম করিলে কিছু কাজ হইতে পারে। যথা— স্বাস্থ্যতত্ত্বের প্রচার ; খাটি দুধ সস্তায় কি-প্রকারে দেওয়া যাইতে পারে, তাহার আলোচনা ; ছেলে-মেয়েদের ব্যায়াম ও খেলার বন্দোবস্তের আবশ্বকতা , ইত্যাদি । কাগজটি বাংলায় হইলে কলিকাতার অধিকাংশ লোকের উপযোগী হুইবে । কিন্তু এই উদেশ্বসিদ্ধি-সম্বন্ধেও বলা যাইতে পারে, যে, কলিকাতার ডাক্তার ব্রজেন্দ্রনাথ গাঙ্গুলীর “স্বাস্থ্য" এবং ডাক্তার কাৰ্ত্তিকচন্দ্র বস্থর "স্বাস্থ্য: সমাচার" ও তদ্রুপ ইংরেজী কাগজ ত রহিয়াছে ; সেইগুলিই ত সৰ্ব্বসাধারণের নিকট হইতে যথেষ্ট উৎসাহ পায় না। তাহার উপর ঐন্ধপ উদ্দেশ্যের আর-একখান! কাগজের প্রয়োজন নাই। কাগজখানার জন্ত কয়েকজন লোক রাখিতে হইবে ; কাগজের দাম ও_ছাপাই খরচ-আদিও আছে । নগদ বিক্রী ও চাদা হইতে খরচ উঠিবার সম্ভাবনা কম। তবে যদি মিউনিসিপালিটীর ক্ষমতা-প্রয়োগ ও আয়