পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] বিবিধ প্রসঙ্গ—“স্বরাজ্য” Ե-Q Ց সাবধান হও, এবং "নোখখি ছেলে’র মত আমাদূের কথা শোন। চিত্তরঞ্জন-বাবুও পূৰ্ব্বোল্লিখিত সাক্ষাৎংবাদে নুকি বলিয়াছেন, যে, স্বরাজ্যদল যাহা চাহিতে ছেন, তাহা না দিলে দেশে একটা ভীষণ বিপ্লব হইবে। তাহা হইলে বলিতে হইবে, যে, তলায়-তলায় দেশে রক্তস্রোত বহাইবার আয়োজন চলিতেছে । সৌভাগ্যের বিষয় যে, স্বরাজ্যদলের চাইয়ের বাঘের বাচ্চাগুলির গলায় গলাবন্ধ পরাইয়া ও তাহাতে শিকল লাগাইয় তাহ খোটায় আটুকাইয়া বা হাতে ধরিয়া রাখিয়াছেন। নতুবা না জানি কি হইত। আমরা বিপ্লবের সম্ভাবনা-অসম্ভাবন!—কিছু-সম্বন্ধেই কোন খবর জানি না । কিন্তু ইহা বিশ্বাস করি, যে, চালাকি দ্বারা কোন বড় কাজ হয় না, এবং যে-ইংরেজজাতি এত বড় সাম্রাজ্য চালাইতেছে ধাপ পাবাজী দ্বারা তাহাদিগকে ঠকাইয়া কিছু আদায় করিতে পারা যাইবে अN| | fi মহাত্মা গান্ধী বলিতেছেন, তিনি বেলগাও কংগ্রেসে কাহারও সঙ্গে লড়িবেন না, দেশ যাহাতে দলাদলিতে ছিন্নবিচ্ছিন্ন হইয়া যায়, এরূপ-কিছু তিনি করিবেন না। *এইপ্রকার নান! কথা তিনি বলায় স্বরাজ্যদলে একটা উল্লাসসম্বলিত ধুয়া উঠিয়াছে যে, মহাত্মা “সারেণ্ডার” করিয়াছেন, আত্মসমর্পণ করিয়াছেন। কাগজে ইহাও দেখিলাম, যে, তাহার সহিত মিসেস বেসান্টের কথাবার্তা চলিতেছে । মিসেস বেসান্ট বলিয়াছেন, যে, আদালতবর্জন, আর যে-যে বুর্জন (নামে ) আছে, সেইগুলি প্রত্যাহার না করিলে তিনি কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন না । গান্ধী মহাশয় কিন্তু পুন:পুন: চরখায় স্থতা-কাটা, খন্দর-উৎপাদন ও ব্যবহার, অস্পৃশ্বতা পরিহার ও দূরীকরণ, এবং হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে সম্ভাব-স্থাপনের উপর জোর দিতেছেন। স্তুেবোজ দুইটি চেষ্টা সফল ন হইলে, যে, স্বরাজ সমস্ত দেশবাসীর স্বরাজ হইতে পারে না, তাহা বুরিবার জন্য বেশী বুদ্ধির দরকার নাই! গান্ধী মহাশয়ের কাৰ্য্যতালিকার অন্য কাজগুলি-সম্বন্ধেও আমরা অনেকবার আলোচনা করিয়াছি। • চরখা-সম্বন্ধে প্রসঙ্গত একটা কথা এখানে বলি। প্রত্যেকের আর্থিক স্বাধীনতা স্বরাজের একটা উপাদান । নারীদেরও আর্থিক স্বাধীনতা ন হইলে দেশের অৰ্দ্ধেক লোকের পক্ষে ঠিক স্বরাজ্যলাভ হইবে না। চবৃথা, সামান্তপরিমাণে হইলেও, যে-পরিমাণে দেশের যত স্ত্রীলোককে উপার্জনক্ষম করিতে পারে, অন্য কোন উপায় আমাদের জানা নাই, যাহাতে তাহা হইতে পারে। তাহ কাহারও জানা থাকিলে তিনি, যেরূপ একাগ্রতার সহিত গান্ধীজী দেশকে চরখার মন্ত্রে দীক্ষিত করিতে চাহিতেছেন, সেইরূপ উৎসাহে সেই উপায়ের কথা বলিতে থাকুন। আমরা চর্খা বা অন্ত কোন কলের পূজক নহি। কোন যন্ত্র বা জাদু দ্বারা স্বরাজ পাওয়া যাইবে না। মনুষ্যত্বের উদ্বোধনভিন্ন স্বরাজ মিলিবে না। চবৃথা চালাইলে আর্থিক কি উপকার হইতে পারে না-পারে, আমরা তাহাই ভাবিতেছি । সেই সঙ্গে-সঙ্গে ইহাও বিশ্বাস করি, যে, যেকোন বিষয়েই আমরা কৃতকাৰ্য্য হই না কেন, তাহ স্বরাজ্যের অঙ্গ—স্বরাজ্য কেবল রাজনৈতিক ব্যাপার নহে—এবং এই সফলতাজনিত আত্ম-বিশ্বাস পরোক্ষভাবে আমাদিগকে অন্যান্য কাৰ্য্যক্ষেত্রেও সিদ্ধির পথে অগ্রসর করিতে পারে । মহাত্মার পদ্ধতির একটা গুণ এই যে, ইহাতে আবেদন-- নিবেদন নাই । তিনি মানুষকে খাটি হইতে, শুচি হইতে সত্যসেবক হইতে উপদেশ দেন এবং নিজেও এই উপদেশঅনুসারে চলিতে চেষ্টা করেন ; এই কারণে তিনি শ্রদ্ধেয় । আমরা জানি না, বলিতেও পারি না, কি করিয়া স্বাধীনতা পাওয়া যাইতে পারে। কিন্তু স্বাধীনতা-পূর্ণ স্বাধীনত চাই, ইহাই বলিতে পারি। ঈপিস্তলাভের উপায় জানি না বলিয়া, যাহা বাঞ্ছনীয় নহে তাহাকেই বাঞ্ছনীয় বলিতে পারি না। পরে মাথাটা সোজা করিয়া দাড়াইতে পারিবার লোভে এখন মাথা হেঁট করিতে ইচ্ছা হয় না। তবে, কেহ যদি খুলিয়া বলেন, যে, এখন যাহা পাইবার চেষ্ট করু। যাইতেছে, তাহ পান্থশালা, লক্ষ্যস্থল নহে, তাহার অর্থ বুঝিতে পারি। 参 আরও-একটা কথা বুঝি, যে, দেশ স্বাধীন হইলেও cमरणद्र छना यांश-यांश्। कब्र स्रावश्नक इदेउ, छाउँौग्न