পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড কল্যাণের ও মানবের কল্যাণের জন্য স্বাধীন দেশেও র্যাহা অতুষ্ঠিত হয়, আমাদের বর্তমান অবস্থাতেও তাহ করা কৰ্ত্তব্য । দ্বিতীয়তঃ, যে নিজেকে পরাধীন ভাবে ও পরাধীনের মত কাজ করে, তাহ অপেক্ষা পরাধীন আর কেহ নাই। আমরা ব্যক্তিগতভাবে কাহারও স্বারা বিজিত, পরাজিত ও বন্দীকৃত হই নাই। স্বাধীন হইলে আমরা শাস্ত ও ধীরভাবে নিৰ্ভয়ে অনলসভাবে যাহা বলিতাম, করিতাম, বৰ্ত্তমান অবস্থাতেও ঠিক তাহাই বলা ও করা আমাদের কৰ্ত্তব্য । ইহা ছাড়া, অন্য কোন পথের সন্ধান জানি না। - এই পথে চলিতে পারি বা না পারি, ইহাকেই পথ বলিয়া বিশ্বাস করি। নান্যঃ পন্থা বিদ্যতে অয়নায় । পূজার ছুটিতে পল্লীগ্রাম-সেবা পূজার ছুটির সময় যে-সকল ছাত্র নিজ-নিজ গ্রামে যাইবেন, তাহারা কি-প্রকারে গ্রামের হিতসাধন করিতে পারেন, সেবিষয়ে অনেক কথা বলা যাইতে পারে। নানা-রকম কাজের ফর্দ না দিয়া আমরা ডাক্তার গোপালচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের ম্যালেরিয়া নিবারণপ্রণালীর প্রতি যুবকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করিতেছি। তিনি যে কেন্দ্রীয় ম্যালেরিয়া নিবারক সমবায় সমিতির অবৈতনিক সম্পাদক, ১৯২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ৮২টি গ্রামে তাহার শাখা ছিল ; পরবর্তী আগষ্টে ২৭০টি গ্রামে এইরূপ শাখা হইয়াছে। কি-প্রকারে সমিতি গঠন করিতে হয়, এবং ম্যালেরিয়া দূর করিতে হইলে কি-কি কাজ করিতে হয়, তাহা ডাঃ চট্টোপাধ্যায়কে চিঠি লিখিলে জানা যাইতে পারে। তাহার ঠিকানা ১-২-এ, প্রেমচাঁদ বড়াল ষ্ট্রীট, কলিকাতা। র্যাহার। বিশ্বভারতীর অন্তভূত স্বরুল-গ্রামে অবস্থিত শ্ৰীনিকেতনের নানা-প্রকার কাজ দেখিয়াছেন, গ্রামসেবা যত-প্রকারে করা যাইতে পারে, তাহার অনেক উপায় তাহাদের স্ববিদিত। শ্ৰীনিকেতনের কার্য্য-সম্বন্ধে মডার্ণ রিভিউ ও ওয়েলফেয়ার ইংরেজী মাসিক দুখানিতে অনেক প্রবন্ধ বাহির হইয়াছে। বাংলাতেও তাহার কিছু বৃত্তান্ত আমরা পরে প্রকাশ করিব । 瓣 , শিক্ষা ও চিকিৎসার বরাদ বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার গত অধিবেশনে স্কুল পরিদর্শনের জন্য কিছু টাকা এবং কলিকতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহায্যের জন্য কিছু টাকা মঞ্জুর হইয়াছে। চিকিৎসা-বিভাগের জন্যও কিছু টাকা মঞ্জুর হইয়াছে। স্বরাজ্যদলের রুপা না হইলে টাকা মঞ্জুর হইত কি না সন্দেহ । অতএব তাহার অন্যান্ত দলের সভ্যদের সহিত বাঙালী জাতির কৃতজ্ঞতাভাজন। so. ংলার জাতীয় শিক্ষাপরিষদ কোন দেশেই অধিকাংশ ছাত্র কেবল জ্ঞানলাভের জন্যই জ্ঞানলাভে প্রবৃত্ত হয় না। আমাদের দেশে কেবলমাত্র জ্ঞানাম্বেষী ছাত্রের সংখ্যা কম হইবার আরও কারণ আছে। ভারতবর্ষ দরিদ্রের দেশ ; জীবনসংগ্রাম এদেশে অন্য অনেক দেশ অপেক্ষা কঠোরতর। সুতরাং ছাত্রদের প্রায় সকলেই, যেরূপ শিক্ষা উপার্জনেব উপায় হইতে পারে, তাহাই পাইতে চায় । সরকারী বা সরকারের অনুমোদিত শিক্ষালয়-সকলে শিক্ষালাভ করিয়া সরকারী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইলে চাকরী পাইবার ও ওকালতীআদি ব্যবসা অবলম্বন করিবার স্ববিধা হয় । পক্ষান্তরে বেসরকারী কোন সাধারণ শিক্ষালয়ে পড়িয়া তাহার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইলে তাহাতে সরকারী চাকরী পাইবার বা ওকালতী-আদি করিবার স্বযোগ হয় না। জাতীয় বেসরকারী বিদ্যালয়-সকলে ছান্ধু বেশী না-হওয়ার ইহা একটি কারণ। আর একটি কারণ, জাতীয় বিদ্যালয়গুলি অনেক স্থলেই রাজনৈতিক উত্তেজনার সময় প্রতিষ্ঠিত বলিয়া, উত্তেজনা কমিয়া আসিলে তাহাদের প্রতি দৃষ্টি কমিয়া আসে, এবং তৎসমুদয় রাজনৈতিক আন্দোলনকারীদের দ্বারা পরিচালিত বলিয়া অনেক স্থলে অনন্তকৰ্ম্মা হইয়া একাগ্রতার সহিত শিক্ষকগ? তাহাতে শিক্ষা দেন না, এবং ছাত্ররাও অনেকটা রাজনৈতিক বুদ্ধিবুশতঃ তাহাতে ভৰ্ত্তি হওয়ায় শিক্ষালাভই তাহাদের প্রধান লক্ষ্য হয় না সুতরাং শিক্ষালয়-হিসাবে সেগুলির উৎকর্ষ সাধিত ভয় না । পরিশেষে অণরও-একটা কাবণের উল্লেখ করা