পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] - مھیہ مہم بہا۔۔۔ی۔ معی- مر • নতুন খাতা—কবিতার বই। ঐ কিরণধন চট্টোপাধ্যায়। ১া । কবির পরিচয় নুতন করিয়া দিবার প্রয়োজন নাই। কবিতাগুলি ঝরঝরে এবং কবির হাত বড়ই মিঠে। কবিতাগুলির ছন্দ স্বন্দর ; ভাবে ভরপুর— আজকাল, মাসিকপত্রের পৌনে চার হাত লম্বী কবিতার মত অনাবশ্বক ফেনানো এবং অপাঠ্য ভাবে পূর্ণ নয়। এই কবির কবিতাগুলি নদীর "স্রোতের মত অবাধ, তাহার কোথাও বাধা নাই। প্রতিদিনের ঘরের কথা, সামান্ত স্থখ-দুঃখের কথা, সবই কবির দরদী মনে আঘাত করিয়া নুতন ভাবে এবং কথার মোহন হইয়া উঠিয়াছে। ঘুমের আগে—ঐ উমা গুপ্ত। ছেলেমেয়েgার বই। কল্লোল পাবলিশিং, ১০-২ পটুয়াটােলা লেন, কলিকাতা । বেনোজল ዓ> গল্পগুলি মল নয়-যাহাদের জন্ত লেখা তাহাঙ্গ পড়িয়া আনন্দ পাইবে। তবে বইখানির মলাট জারে একটু রঙে ছবিওয়াল ন৷ করিলে ছেলেমেয়েদের ভাল না লাগিতে পারে। মুক্তির দিশা—ছোট গল্পের বষ্ট। ঐ বারীন্দ্রকুমার ঘোৰ। বারে অীন । ১৩৩• । গল্পগুলি পড়িতে বেশ লাগে। লেখার ভঙ্গীও বেশ করলরে। মোট সাতটি গল্প আছে। ‘বাজার-খরচের খাতা' গল্পটি বোধ হয় একটি ফরাসী গল্পের অমুকরণে লেগ হইয়াছে। গ্রন্থকীট বেনো-জল ছাবিবশ .هم যে-আনন্দের আভায় রতনের কল্পনা এতক্ষণ রঙীন হ’য়ে ছিল, হঠাৎ যেন-কার নিষ্ঠুর অভিশাপে এক লহমায় তার সমস্ত সৌন্দৰ্য্য নিঃশেষে মুছে গেল. - স্বমিত্রা যে তার প্রেমকে এমনভাবে আহত করবে, হতাশ ভিক্ষুকের মতন তাকে যে ফিরে যেতে হবে, এটা ছিল রতনের চিস্তার অতীত। যে-স্থমিত্র সেদিন অন্যায়ভাবেও তার প্রেমকে লাভ কবুরার জন্যে পাগল হ’য়ে উঠেছিল, সেইই কিনা আজকে তাকে অপমান ক’রে তাড়িয়ে "দিতে এতটুকু দ্বিধা বোধ করলে না!. রতনের বার-বার মনে হ’তে লাগল যে, জগতের মধ্যে সব-চেঙ্গে যুক্তিহীন ব্যাপার হচ্ছে স্ত্রী-চরিত্র ! গেল-ক'দিন ধ’রে রতনের সমস্ত চিন্তা সুমিত্রাকেই কেন্দ্ৰ ক’রে ধীরে ধীরে নতুন এক পৃথিবী গড়ে তুলছিল। রতন আর সুমিত্র,— মাত্র এই দুটি বাসিন্দা নিয়েই পৃথিবী যেন বিচিত্রতায় অপূৰ্ব্ব হ’য়ে উঠেছিল ;–চারিদিক ফুল-ফল-খামলতার সমারোহে মোহনীয়, চাদের আলোকডালায় চির-পূর্ণিমার ইঙ্গিত, কোকিল-পাপিয়ার গানের তালে চির-বসন্তের, জাগরণ—আর সেই উৎসব-রাজ্যের ' মাঝখান দিয়ে পুলকের বিপুল জোয়ারে ভেসে চলেছে তাদের দুই যুক্ত আত্মার নিশ্চিন্ত. প্রেম-ঠিক যেন একবোটায় ফোটা দুটি তাজা ফুলের মত!" কিন্তু সেই মনের পৃথিবীকে রতন আর মনের ভিতরে খুজে পেলে না ...লক্ষ্যহীনের মতন পথে পথে অনেকক্ষণ ধ’রে ঘুরে ঘুরে, শেষটা সে প্রান্ত হ’য়ে জানন্দবাবুর বাড়ীতে ফিরে এল । তার মুখ দেখেই পূর্ণিমা চম্কে উঠল। রতন ঘরের কোণে গিয়ে একখান চেয়ারের উপরে বসে পড়ল, কোন কথা বললে না। পূর্ণিমাও সাহস ক’রে কিছু বলতে পারলে না। - অনেকক্ষণ পরে রতন জিজ্ঞাসা করলে, “আনন্দ-বাৰু কোথায় ?" —“রুগী দেখতে বেরিয়েছেন।” রতন আবার স্তব্ধ হ’য়ে কি যেন ভাবতে লাগল। তার পর আস্তে আস্তে বললে, “পূর্ণিমা দেবী, আপনাকে একটা কথা জিজ্ঞাস করতে পারি কি ? —“অনায়াসে " . —“আমি যখন কটকে ছিলুম, স্বমিত্র কি আমার সম্বন্ধে কোন কথা আপনাকে বলেছিল ?” : 一“红11” - • –“কি কথা ?” পূর্ণিমা সব বললে । —“কিন্তু এ কথা ত আপনি আমাকে জানান-নি!” . —“হুমিত্রার কথা "আমি আমলেই আনি-নি।