পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ? . সাগরের ধ্রুপদ, কোকিল-পাপিয়ার গান বা দখিন-হাওয়ার তানের চেয়ে কম উপভোগ্য ?. মেঘের গতি-রাগে যে গান বাজছে, পূর্ণিমা এক প্রাণে তা শুনছে বটে, কিন্তু তার মনে হ’ল, আজকের এই ‘পরিপূর্ণ জ্যোংস্কার মধ্যেও যেন অভিশপ্ত অমাবস্তার অন্ধরাগিণীর স্বর মিশিয়ে গেছে এবং*যে স্থর শুনলে চাদের ঐ অমল আলোক কমল এখনি শুকিয়ে স্নান হ’য়ে যাবে! আলোর ভিতরে আঁধারের এই বাণী কেন আজ সে সে আর কোন দিন শুনতে পাচ্ছে ? এমন ত -শোনে-নি ! . পিছন থেকে রতনের গলা পাওয়া গেল—“পূর্ণিমা দেবী, শুনলুম নাকি আপনার শরীর ভালো নেই ?” পূর্ণিমা তাড়াতাড়ি উঠে বসে বললে, “না এমন-কিছু নয়। আপনি বস্থান ।” রতন বসল। পূর্ণিমা লক্ষ্য করলে, রতনের ভাবভঙ্গীতে আজ যেন কেমন একটা আনন্দের আভাস ফুটে উঠছে! পূর্ণিমা বললে, “ আপনি ত স্থমিত্রীদের ওখান থেকেই আসছেন ।” রতন উৎসাহিত-কণ্ঠে বললে, “হঁ্য । আর আমার কোন দুঃখ নেই—এখন আমি এত স্বর্থী যে, পৃথিবীতে দুঃখ ব’লে কোন কিছু আছে ব'লেও আমার মনে হচ্ছে না !” '. to পূর্ণিমা নীরবে পাশের হাক্স হানার দিকে হাত বাড়িয়ে বুদ্ধ ধরে এক গোছ ফুল নাকের কাছে টেনে এনে আম্ৰাণ নিতে•লাগল । রতন বললে, “মূমিত্রার সঙ্গে আমার সব বিরোধ · মিটে গেছে। কিন্তু বেচারী স্থনীতি ! তার শুকনো মুখ দগে আমার বড় কষ্ট হ’ল!” পূর্ণিমা অন্তমনস্ক-স্বরে বললে, “কেন ?” —“বিনয়-বাবুর বাড়ীতে কুমার-বাহাদুরের আনাগোনা বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু স্থনীতি বোধ হয় তাকে ভালোবাসে ।” পূর্ণিমা করুণ-স্বরে বললে, "র্হ্য, নারী বড় অসহায় । সহজ বিশ্বাসে আত্ম সমর্পণ করে বলেই তার দুঃখ কেউ বেনো-জল ዓ¢ SS SAA AAAASAAAAASA SAASAA AAAS AAAAA AAAA AAAA AAAA AA L AAAAA SAAAAA AAAA AAAA S SS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSASAMMMA AMAMMAAASAAAS ঠেকাতে পারে না।" একটু থেমে সে আবার জিজ্ঞাসা করলে, “আপনি দেশে যাবেন বলছিলেন। কবে যাবেন ?” রতন উৎফুল্প-কণ্ঠে বললে, “সপ্তাহ-থানেক পরে । একেবারে স্থমিত্রাকে নিয়ে দেশে ফিরব।” হামু হানার গুচ্ছকে সজোরে মুষ্টির মধ্যে চেপে ধ’রে পূর্ণিমা বললে, “তা হলে আপনাদের বিবাহের সব ঠিক হ’য়ে গেছে ?” —“হঁ্যা । আরো দুদিন সবুর করলেও চলত, কিন্তু বিনয়-বাবুর ইচ্ছ, এই হস্তার মধ্যেই সব কাজ শেষ ক’রে ফেলেন ।” পূর্ণিমা স্তব্ধ হয়ে হেঁট-মুখে বৃস্ত থেকে ফুলগুলিকে অকারণে ছিড়ে ফেলতে লাগল।. রতন বললে, “আজ কি চমৎকার চাদের আলে৷ ” পূর্ণিমা সাড়া দিলে না। রতন বলুলে, “পূৰ্ণিমা-দেবী, আজ আমাকে গান শোনাতে হবে । অনেকদিন আপনার গান শুনি-নি।” . পূর্ণিমা মৃদুস্বরে বললে, “পারব না।” —“কেন, আজকের রাত যে গানের রাত, আজ ত চুপ ক’রে থাকলে চলুবে না।” পুপহীন বৃন্ত মাটির উপর ছুড়ে ফেলে দিয়ে পূর্ণিম প্রায়-অবরুদ্ধ-কণ্ঠে ব’লে উঠল, “মাপ করবেন রতন-বার, আজ আমাকে গান গাইতে বলবেন ন!” পূর্ণিমার কণ্ঠস্বরে চমকে রতন তার মুখের দিকে তাকিয়ে দেখলে । ভাঙা-ভাঙা গলায়, থেমে থেমে পূর্ণিমা বললে, “আপনি যাকে ভালোবাসেন তাকে আজ পেয়েছেন, আপনার এই স্বখে আমিও স্বর্থী হয়েছি, কিন্তু-—” হঠাৎ তার স্বর বন্ধ হ’য়ে গেল, সে আর কথা কইতে পাবুলে না। আনন্দ-বাবুর মত রতনও দেখলে, চাদের আলোতে পূর্ণিমার দুই চোখে কি চক্চক্ কবৃছে! অত্যন্ত বিস্ময়ে সে বলে উঠল, “ওকি, ওকি, আপনি কাছেন কেন ?” কোন জবাব না, দিয়ে পূর্ণিমা দুই হাতের ভুিতরে নিজের মুখ লুকিয়ে ফেললে । রজন তার দিকে একটু - এগিয়ে এসে কোমল-স্বরে