পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

弧蕊 বাঙ্গালা সাহিত্যে গদ্য—জয়কুমার প্রকাশালয়, কলিকাতা ১৩৪১ । পৃ. ২২২ । শ্ৰীযুক্ত হকুমার সেন মহাশয়ের নাম বাঙ্গালী ভাষা সমালোচনার ক্ষেত্রে অপরিচিত নহে। তাহার এই সারগর্ভ পুস্তকথানি যে শুধু তাহার পণ্ডিত্যের উপযুক্ত হইয়াছে, তাহা নহে,–বৰ্ত্তমান ভাষা-বিকৃতির যুগে এরূপ ঐতিহাসিক সমালোচনার যথেষ্ট প্রয়োজন আছে বলিয়া, ইহ সমরোপযোগীও হইয়াছে। বাঙ্গালী পাঠকমাত্রেই অবগত অাছেল যে, বাঙ্গাল দেশে উনবিংশ শতাব্দার অগুণন্ত কীৰ্ত্তির মধে, গদাসাহিত্যের সৃষ্টিও একটি প্রধান কীৰ্ত্তি | সেই গদ্য-সাহিত্য-স্বষ্টির ধারাবাহিক ইতিহাস সাধারণ পাঠকেৰু অজ্ঞাত ন হইলেও, খুব সুস্পষ্ট নহে । স্বকুমার বাবুর বহুপ্রযত্নসাধ্য রচনা, উনবিংশ শতাব্দীর আরম্ভ হষ্টতে বর্ধমান সময় পৰ্য্যস্ত, সেই সাহিত্যের যে তথ্যপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল খসড়া প্রস্তুত করিয়া দিয়াছে, তাহ শুধু বিশেষজ্ঞের নহে, সাধারণ পাঠকেরও আদরণীয় হইবে । এ-পর্য্যস্ত এই বিষয়ে যে-সকল পুস্তক ধা প্রবন্ধ প্রকাশিত হইয়াছে, তাহার মধে। অধিকাংশই নির্ভরযোগ্য বিবরণ হইতে পারে নাই ; কারণ, এই সকল রচনা হয় তথা ও অতথা নির্বিচারে গ্রহণ করিয়াছে, অথবা শূন্তগর্ত উচ্ছ,াসে পর্যবসিত ইষ্টয়াছে। জ্ঞাতব্য তথ্য-সংগ্রহ ও সুশ্ন বিশ্লেষণ হিসাবে সুকুমার বাবুর পুস্তক নাতিদীর্ঘ হইলেও মূল্যবান, তাঁহাতে সন্দেহ নাই। সমগ্র বাঙ্গালা গদ্য-সাহিত্যের উৎপত্তি ও ক্রম-বিকাশ সম্বন্ধে, তাহার রচনাই পূর্ণাবয়ব না হইলেও, এ-পর্যন্ত একমাত্র শৃঙ্খলাবদ্ধ বিবরণ বাঙ্গালী পাঠকের গোচরে আনিয়াছে । কিন্তু মুকুমার বাবু যে-মনোভাব লইয়। তাছার গ্রন্থখানি রচনা করিয়াছেন, তাহ সাহিত্য-রসিকেল্প নহে, তখামাত্র সন্ধানী বৈয়াকরণের মনোভাব । ব্যাকরণ-অভিধানের দিক লইয়া যাহারা চর্চা করিয়াছেন, তাহাদের পরিশ্রম নিরর্থক, এ-কথা বলিতেছি না ; কিন্তু একদিকে দৃষ্টি নিবন্ধ থাকার জন্ত, নিছক বৈয়াকরণ অনেক সময় মাত্রাজ্ঞান হারাইরা বসেন । সুকুমার বাবু বাঙ্গাল গদ্য-সাহিত্যের প্রার সমস্ত খ্যাতনামা লেখকদের গদ্য-রীতির বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ করিয়াছেন। গবেষণা হিসাবে তাহার মূল্য কেহই অস্বীকার করিবেন না ; কিন্তু ভাষার খুঁটিনাটি বিশ্লেষণই কোনও বিশিষ্ট গদ্য-রীতির প্রকৃত সৌন্দৰ্যা উপলব্ধি করিবার একমাত্র উপায় নহে। ইহা ভাষাতত্ত্ব হইতে পারে, কিন্তু তত্ত্ব সকল সমরে সত না হইতেও পারে । বঙ্কিমচন্দ্র হয়ত স্ত্রীলিঙ্গ শব্দের বিশেষণ-পদে স্ত্রীপ্রতায়ের বাড়াবাড়ি করিয়াছেন, অথবা অসমাপিকা ক্রিয়ার প্রচুর ব্যাকরণ দুষ্ট ব্যবহার করিয়াছেন, অথবা তৎসম ও তদ্ভব শব্দের নির্বিচারে প্রয়োগ করিয়াছেন ; কিন্তু এইরূপ বিশ্লেষণের দ্বারাই কি বঙ্কিমচত্রের অপূৰ্ব্ব গদ্য-রীতির প্রকৃত সৌন্দর্যা-বোধ হইবে ? দুঃখের সহিত স্বীকার করিতে হইতেছে, মুকুমার বাবুর বিবরণ পড়িয়া মনে হইল যে, লোকে বঙ্কিমচত্রের গদ্য-রচনার অযথা অত্যুক্তিপূর্ণ স্বখ্যাতি করে ; বিশ্লেষণ করিয়া দেখিলে ईश ~४ थलोग्रभान झश्व cष, ठिनि थकृऊ"tभ श्रऊि विड) नछरें লিখিতেন । সুকুমার বাবুর বহু পরিশ্রমপ্রস্তুত পুস্তকের অধৰ৷ లి সেন । গুণাপকৰ্ষণ আমাদের উদ্বেগু নহে; কিন্তু তিনি পুস্তকের নামকরণ ব্যাপক নামকরণ করিয়াছেন—“বঙ্গল সাহিত্যে গদ্য' । এ-ক্ষেত্রে ভাষাতত্ত্বের দিক হইতে আলোচনী একেবারে অপ্রয়োজনীয় মহে ; কিন্তু সাহিত্যে গদ্য-রীতির বিচারে এ-কথাও মনে রাখিতে হইবে যে, ভাষার অস্থি-সংস্থান এবং তাহার দেহ-লাবণ্য এক বস্তু নহে ; একের বিচারে অপরটির উপর শাসন জারি করিলে, উভয়েরই অবিচার করা হয় | 够 শ্ৰীমুশীলকুমার দে নরবাধ—ঞ্জমনোজ বথ। ব্লসচক্র সাহিতা সংসদ, ১৫, গাজ বসন্তরায় রোড, কলিকাতা । মুলা ১। • নরর্বাধ’ আর "মধুর’—এই দুইটি গল্পে প্রায় আধাআধি করিয়া ১৫ • পাতায় বইখানি জুড়িয়া আছে। যে অতি অল্পসংখ্যক প্রতিভাবান লেখক একেবারে জয়পঙাকা লইয়া সাহিত্যক্ষেত্রে নামেন, শ্ৰীমনোজ বস্তু তাহদেরই মধ্যে এক জন । এর ব্রত বাংলাকে বাঙালীর কাছে পরিচিত করা ! দেশের অস্তলক্ষ্মীর পরিচয় পাইতে হইলে যেখানে গিয়া উত্তীর্ণ হইতে হইৰে সেই মৰ্ম্মস্থলটির পথ লেখকের ভাল ভাবেই জানা আছে । -- লেখার মধ্যে এমন একটি অপরূপ সরসতা আছে যে, যে বিস্ময় আর অবোধ আননের সহিত ছেলেবেলার রূপকথা শোনা যাইত, বইখানি পড়িবার সময় তাহারই যেন একটা আবছায়া স্মৃতি মনকে অভিভূত করিয়া বসে । ভাষা বেশ স্বরল--মাঝে মাঝে ঝঙ্কারে ফাত হইয়া উঠে। চরিত্রগুলি খুব সঞ্জীব--ডাকিয়া সঙ্গে লইয়া ঘুরে । এমন বইখানিতে এক জায়গায় কিন্তু একটু নিরাশ হইতে হইল । ‘লরবাধ’ গল্পটি ২৪ পাতায় আসিয়া শেষ হইয়া গেছে ; তাহার পর আর টনিয়া লইয়া যাওয়া ভুল হয় নাই । ২৪ হইতে ৭ • পাতার মধ্যেও লেখার সব বিশিষ্টতাই বৰ্ত্তমান, কিন্তু ঐ ২৪ পাতার জোড়ের কথাটা বরাবরই মনকে পীড়া দেয় । সম্পূর্ণতার বাহিরে ঋয় নাই বলিয়া মাথুর গল্পটি নিখুৎ হইয়াছে। ছাপা বাধাই, কাগজ-সবই বেশ ভাল । - শ্ৰীবিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় বিশ্বকোষ—বঙ্গের বহু সাহিত্যিকের সহযোগিতায় প্রাচ্যবিদ্যামহাবি জনগেন্দ্রনাথ বহু সিদ্ধান্তবারিধি তত্ত্বচিন্তামণি কর্তৃক সঙ্কলিত ও ৯ নং বিশ্বকোষ লেন, বাগবাজার, কলিকাতা, হইতে ঐবিশ্বনাথ বসু কর্তৃক প্রকাশিত। দ্বিতীয় সংস্করণ। প্রথম ভাগের স্বাদশ সংখ্যা প্রকাশিত হইয়াছে। প্রতি সংখ্যা • অীন, ১২ সংখ্যার অগ্রিম মূল্য ৫\, এক ভাগ বা ২৫ সংখ্যার অগ্রিম মূল্য ১•১ টাকা । বঙ্গভাষায় এই বিখ্যাত এনসাইক্লোপীডিয়ার পরিচয় আমরা প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হইবার পর দিয়াছি। ইহা নিয়মিত রূপে পূৰ্ব্ববৎ বিদ্যাবৃত্তার সহিত সঙ্কলিত ও সম্পাদিত হইতেছে । আৰখ্যক্ষমত ছবি ও মানচিত্র ইহাতে দেওয়া হইতেছে ।