পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাৰ্তিত্ব কর্কেতরক, পদ্মরাগ, মরকত প্রভৃতির রত্ব বাছাই করিতেছে। স্বর্ণ দিয়া মাণিক্য বসাইতেছে । সোনার গহনা তৈরি করিতেছে । লাল রঙের স্বত্র দিরা মুক্তাভরণগুলি গাঁথিতেছে। বৈদুর্যমণি ধীরে ধীরে ঘর্ষণ করিতেছে। শঙ্খ কৰ্ত্তন করিতেছে—শানে প্রবাল ঘর্ষণ করিতেছে। প্রাচীন কালে কণ্ঠভিরণ দুই রকমের ছিল যাহা কণ্ঠে সংলগ্ন থাকিত তাহার সাধারণ নাম ছিল "গ্রৈবেয়ক’ । হাদয়দেশে কথঞ্চিৎ বিলম্বিত হইলে তাঁহার নাম হইত ‘ললস্তিকা’। ললন্তিকা সোনার হইলে তাহীকে ‘প্রালম্বিকা’ বলিত—আর মুক্তার হইলে উরঃস্থত্রিকা’ নামে অভিহিত হইত। সুশ্ৰুত (স্বত্রস্থান ১৬ অধ্যায় ) বলিয়াছেন— রক্ষা-ভূষণনিমিত্তং বালন্ত কর্ণে বিধাতে । বাণ র্তাহার হর্ষচরিতে ‘ত্ৰিকণ্টক’ নামক কর্ণভরণের প্রসঙ্গে বলিয়াছেন— কদম্বমুকুলস্থলমুক্তফলযুগলমধ্যাধ্যাসিত মরকতস্ত ত্ৰিকণ্টককর্ণভিরশস্ত প্রেস্থত্তঃ প্রভয়া” শিশুপালবধে কৃষ্ণের কুণ্ডলে গারুত্মত-মণির কথায় পাই— “তস্তোল্লস কাঞ্চনকুণ্ডলাগ্র-প্রত্যুগুগারুম্নতররত্নভাসা”—২/৩৩ তারপর শিল্পশাস্ত্রে ও কোষগ্রন্থে অলঙ্কারের বেশ একটি পদ্ধতি দেখিতে পাওয়া যায়। নিঘণ্ট, ও যাস্কের নিরুক্ত ও পাণিনির পরে অমরাদির কোষগ্রন্থে অলঙ্কারের যথেষ্ট পরিচয় পাওয়া যায় । মিশ্রকল্প—পত্র, রত্ন ও অন্তষ্ঠের সংমিশ্রণে তৈরি । এইগুলি দেবতা ও রাজাদের জন্ত বিশেষভাবে তৈরি । সাধারণ অলঙ্কারের নাম—- পাদনূপুর, কিীট, মল্লিকা, কুণ্ডল, বলয়, মেখলা, হার, কঙ্কণ, শিরোভূষণ, কর্ণভূষণ, কেয়ূর, কর্ণ, চূড়ামণি, বালপট্ট, নক্ষত্রমাল (২৭টি মুক্ত দেওয়), অর্ধহার (৬৪ লম্বরযুক্ত), বর্ণস্বত্র (হৃদয়শোভা ), কা, চিত্ৰ (চারকের নেকলেস), কুবর্কিফুক, श्हि१भाणिक (cनानाज़ cळ्न), जबशङ्ग, गानजाण, भकन्नडूषण, भिबिऊ ७ प्रश्कब्र, (ब्रांज ७ cनवठ ब्राक्शरी), ब्रप्लशृ", क्रूजसक, লশ্বপত্র, বলয় | ময়মত প্রভৃতি শিল্পশাস্ত্ৰে অলঙ্কারের যথেষ্ট পরিচয় আছে। মানসারেও অনেক কথা আছে । গানসার বলে-শরীরের সাধারণ অলঙ্কারের নাম , মঙ্গভূষণ'-গৃহের আসবাব অলঙ্কার సిరిసే বহিভূষণ’। মনসার মতে অলঙ্কার চতুর্বিধ-পত্ৰকল্প, চিত্রকল্প, রত্ন কল্প ও মিশ্রিত বা মিশ্রকল্প। এগুলি দেবতার উপযোগী। তবে চক্ৰবৰ্ত্তা রাজ পত্রকল্প ব্যতীত আর তিনটি ব্যবহার করিতে পারেন। অধিরাজ ও নরেন্দ্র নামক রাজা রত্ব কল্প ও মিশ্রিত পরিতে পারেন । অন্তান্ত রাজাদের ভূষণ মিশ্রকল্প। লতা ও পত্র হইতে তৈরি বলিয়া নাম হইয়াছে পত্রকল্প । পুষ্প, পত্র, অঙ্কন, বহুমুল্য প্রস্তর ও অন্তন্তি অলঙ্কারের নাম চিত্রকল্প। রত্নকল্প-পুষ্প ও রত্ন (jewellery) fra ċsf§ মনুতে স্বর্ণ-শিল্প একটি বিশিষ্ট জাতির ব্যবসা বলিয়া বর্ণিত হইয়াছে ; স্বর্ণকারগণ অলঙ্কারাদি প্রস্তুত করিতেন ; মনু স্বর্ণ-ব্যবসায়ে কৃত্রিমতার জন্ত কঠোর শাস্তিরও ব্যবস্থা করিয়াছেন। অমরসিংহের অভিধানে মুকুট, কিরীট প্রভৃতি বিবিধ শিরোভূষণ, অঙ্গুরীয়ক, বিবিধ কৰ্ণকুণ্ডল, কর্ণপুপ, শতনরী প্রভৃতি বিভিন্ন হার, অনন্ত, বলয়, কঙ্কণ, মেখলা, বেষ্টনী, হস্ত ও পদের বিভিন্ন প্রকার কঙ্কণ, নুপুর ও বলয় প্রভৃতির উল্লেখ ও বর্ণনা রহিয়াছে। প্রাচীন যুগের অলঙ্কারাদির অধিকাংশই বর্তমান কালে প্রচলন না থাকিলেও ভুবনশ্বর মদির, সাচী ও অমরাবতীর খোদিত মুর্ষি হইতে আমরা হস্ত, পদ, কোমর, কণ্ঠ এবং মস্তক প্রভৃতির বিবিধ অলঙ্কারের নিদর্শন পাই । সাচী এবং অমরাবতীতে আমরা বলয়, কঙ্কণ প্রভৃতি যে-সকল অলঙ্কারের নিদর্শন পাই সেগুলি তত উন্নত পদ্ধতির নহে; অব সাচী অপেক্ষা অমরাবতীর কারুকলা একটু উন্নত পদ্ধতির। ভুবনেশ্বরের কারুকলা বিশেষ উন্নত ও পরিস্ফুট। মুকুট, কিরীট, চুড়া প্রভৃতির কারুকার্য্য বিশেষ হুক্ষ ছিল । যাজপুরের দেবমন্দিরে ‘ইন্দ্রাণীর মুকুটের কারুকার্য্য অতুলনীয়। ইহা দেখিতে ইরাণীর টুপির (cap) মত, কিন্তু অতি সুন্দরভাবে রত্নখচিত । মণিমুক্তাখচিত কারুকাৰ্য্যময় নাকছবি ও নাসাঙ্গুরীক প্রভৃতি লাগিকার অলঙ্কারের প্রচলন এখনও বঙ্গদেশে এবং ভারতের সকল প্রদেশেই রহিয়াছে। এক জন অন্ধ,মহিলার বর্ণনায় তাহার শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি নাসাঙ্গুরীর সঙ্গে দোলায়মান মুক্ত জুজিতেছে—এইরূপ বর্গদা সারা