পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৬ మ98ఎ মহিলাদের উৎসাহ এক নিমেনেষ্ট বিলুপ্ত হইয়া গেল। উহার বাবা ক্লষ্টভাবে চীৎকার কবিগ উঠি “এদিকে তাহাদের সকলের মুথেই দারুণ একটা অবজ্ঞার চিহ্ন ফুটিয়া উঠিল, যেন ধনী এবং বনিয়াদী ঘরের মানুষ ভিন্ন আর কাহারও ভালবাসা, ভালবাসা নামেরই যোগ্য নহে । ডাক্তার বলিতে লাগিলেন, “তিন মাস আগে আমাকে এই নারীটির মৃত্যুশয্যাপাঙ্গে ডাকিয় লষ্টয়া পাওয়া হয়। সে ইহার পূর্বদিনে এই স্থানে অসি উপস্থিত হইয়াছিল । তাহার একথান ঘোড়ার গাড়ী ছিল, উহাই সে গৃহৰূপেও ব্যবহার করিত ; মোড়াটা বুদ্ধ ও শর্ণ, আপনারা সকলেই উহাকে দেখিয়াছেন । ত হীর দুইটি কালো রঙের বড় বড় কুকুর ছিল. তাহ'রাষ্ট ঐ স্ত্রী ল'কটির বন্ধু ও রক্ষকের কাজ করিত । আমি ভিন্ন, গ্রামের পুরোহিতও সেখানে উপস্থিত ছিলেন । স্ত্রীলোকটি অমীদের দুই জনকে তাতার উইলের একজিকুটার নিযুক্ত করিল। তাহার অস্তিম ইচ্ছাগুলির মৰ্ম্ম মহাতে আমরা ভালভাবে বুঝিতে পারি, এইজন্স সে আমাদের ডাহার জীবনের ইতিহাস বলিয়া গেল । এই কাহিনীটির মত অদ্ভূত ও করুণ কাহিনী আমি আর শুনি নাই ! তহবি পিতামাতা উভয়েষ্ট চেয়ার-মেরামতের কাজ করিত, গাড়ী ভিন্ন, মাটির উপব নিৰ্ম্মিত গৃহে সে কোনো দিন বাস করে নাই। শিশুকালট ছেড়া স্তীকড়া পরিয়া পথে পথে ঘুরিয়াই তাহাব দিন কটিয়া গিয়াছে । তাহারা গ্রামে গ্রামে ঘুরিয়৷ বেড়াইত, এবং সৰ্ব্বদাই গ্রামের বহিরে আসিয়া অস্তিানা গাড়িত। মাঠের বেড়ার ধীরে গাড়ী থমাইয় তাহার ঘেড়টিকে খুলিয় দিত। ঘোড়টি মাঠে ঘাস খ ইত, কুকুরগুলি গাড়ীর সামনে, থবীর উপর মাথা রাথিয়া ঘুমাইত, এবং শিশুটি মাসের উপর থেলা করিত । উত্তর পিতামত গাছতলায় বসিয়৷ গ্রামের যত ভাঙা চেয়ার মেরামত করিত। এই ভ্ৰাম্যমান পরিবরটিতে কথাবার্তা কহার রেওয়াজ বিশেষ ছিল না । কে গ্রামের পথে, "চেয়ার মেরামত করি গে,” বলিয়া স্থাকিয়া যাইবে, ইহা স্থির করার পরই তাহার নীরবে বেত বুনিতে আরম্ভ কfরত। শিশুটি যদি খেলা করিতে করিতে বেশী দূর চলিয়া যাইত, অথবা গ্রামের কোনো ছোকৃরার সঙ্গে ভাব করিবার চেষ্টা করিত, তাল হইল আয় বলছি লক্ষ্মীছাড়ী " ইহা ভিন্ন আর কোনো আদরের ডাক সে কখনও কানে শোনে নাই । যখন সে কিছু বড় হইল, তখন ভাঙা চেয়ার সংগ্রহ করার জন্ত তাহার বাবা ও মা তাহাকে মাঝে মাঝে গ্রামের ভিতরে পাঠাইতে আরম্ভ করিল । এখন সে এক-আধ জন গ্রামা বালকের সঙ্গে ভাব করিতে আরস্থ করিল, কিন্তু বালকগুলির পিতামাতা এই সথ্যের চেষ্টা দেখিলেই চুটিয়া আগুন হইয়া যাইতেন । ছেলেদের ফিরিয়া আসিবার জন্ত রূঢ়ভাবে ডাক দিয়া বলিতেন, “শগগির চলে এস লক্ষ্মীছড়ি ছেলে যত বীজোর ভিপিরার বাচ্চার সঙ্গে ভাব করতে হবে না ।" কখনও কখনও গ্রামের বালকের এই ছেড়া কাপড়পরা বালিকাকে ঢ়িল ছুড়িয়া মারিত। গ্রামের গুহিণীরা কখনও কখনও দয়া করিয়া বালিকাকে দুই-চারিটি পয়সী দিতেন । সে সেগুলি সযত্নে জমা করিয়া রাথিত এক দিন এই গ্রামের ভিতর দিয়া যাইতে যাইতে বালিকা বালক শুকেকে দেখিতে পাইল । বালকের কোনো বন্ধু তাহার হইতে দুইটি পয়সা কড়িয়া লইয়াছিল বলিয়া সে সমাধিক্ষেত্রের পিছনে দাড়াইয়া রেদিন করিতেছিল। এই দরিদ্র বালিকার মনে বালকের রোদন এক অভূতপূৰ্ব্ব ভাবের উদ্রেক করিল। ভদ্রলোকের ছেলেমেয়ের সূৰ্ব্বদাই সুখী ও সন্তুষ্ট থাকে, ইহাই ছিল তাহার ধারণা। সে বালকের নিকটে আসিয়া তাহার রোদনের কারণ শুনিতে পাইল, এবং তৎক্ষণাৎ তাহার হাতে নিজের এতদিনের সঞ্চয়, সাতটি পয়সা ঢালিয়া দিল । পয়সাগুলি হাতে পাইয়া বালকের কান্না তৎক্ষণাৎ বন্ধ হইয়া গেল, সে নিজের চোখ মুছিয়া ফেলিল । বালিকা আনন্দে আত্মহারা হইয়া বালককে চুম্বন করিতে লাগিল । ছেলেটি পয়সাগুলি নিরীক্ষণ করিতে বাস্ত ছিল, সে কোনো বাধা দিল না । গলাগলি বা মীর না থাইয়া বালিকার সাহস বাড়িয়া গেল, সে গুকেকে জড়াইয়া ধরিয়া, বারকয়েক চুম্বন করিয়া চুটিয়া পলায়ন করিল। দরিদ্র বালিকার মনে কি ভাবের ধারা বহিতে লাগিল, তাহা কেহই বলিতে পারে না। বালকটির প্রক্তি তাহার ,