পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৪ ঠিক এই সময় ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেব, স্থানীয় একটি ঐতিহাসিক এবং এক জন প্রত্নতাত্বিককে সঙ্গে করিয়া আসিয়া জুটাতে একটা দাঙ্গাহাঙ্গামা বধিতে বধিতে থামিয়া গেল। ম্যাজিষ্ট্রেটের মোটরটা দেখিয়াই জনতা পিছন হটিতে আরম্ভ করিল। আগন্তুক তিন জন সোজাসুজি অগ্রসর হইয়া গিয়া প্রতিমাটি-ক fিরয় দাড়াইলেন। প্রত্নতাত্বিক এবং ঐতিহাসিকে প্রায় হাতাহাতি বাধিয়া গেল মূর্তিটি লক্ষ্মীর, না পদ্মিনীর, না যক্ষিণীর তাহ লইয়া। কোনো কিছুরই সঙ্গে ইহা বিশেষ মেলে না, সুন্দরী বালিকা বা কিশোরীর মূৰ্ত্তির মত, আলুলায়িত কুন্তলা, সৰ্ব্বাঙ্গে অলঙ্কার। রৌদ্র প্রখর হইয়া উঠিল, কিন্তু কোনো মীমাংসাই হয় না। লক্ষ্মীমুক্তি বলিয়া প্রমাণ করা যায় না, সুতরাং সোজাসুজি লইয়া গিয়া মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করাও চলে না । পন্ধিনী বা যক্ষিণী যাহাই হউক, জিনিষটি সোনার। মাজিষ্ট্রেট সাহেব সেটিকে সহজে হাতছাড়া করিতে রাজী হইলেন না । স্থির হইল, ইহা সম্প্রতি র্তাহারই হেফাজতে থাকিবে, বিশেষজ্ঞের অভিমত লইয়। তাহার পর যাহা হয় একটা ব্যবস্থা করা যাইবে। যদি দেবীমূৰ্ত্তি বলিয়া স্থির হয়, তাহা হইলে জমিদারবাবু উহা লইয়া মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত করিবেন, যক্ষিণী বা পদ্মিনী হইলে স্থানীয় মুজিয়ামে উহার স্থান হইবে, আর যদি কিছুই স্থির না করা যায়, তাহা হইলে উহা সরকারের সম্পত্তি বলিয়া গণ্য করা হইবে। মূৰ্ত্তিটি ভারী কম নয়। ম্যাজিষ্ট্রেটের আজ্ঞায় মজুরের দল তাহ বহন করিয়া লইয়া চলিল, তাহার মোটরে তুলিয়া দিবীর জন্ত । এখন আর তাহীদের কোনো দোষ হইল না । জনতা দুই ফাক হইয় তাহদের পথ ছাড়িয়া দিল, এবং মূৰ্ত্তিটি নয়নগোচর হইবামাত্র সকলে সেটিকে সাষ্টাঙ্গে প্ৰণাম করিতে লাগিল । সাহেব গাড়িতে উঠিয়া বসিবামাত্র মোটর সশব্দে গর্জন করিয়া উঠিল, এবং ক্ষুব্ধ জনতাকে পশ্চাতে ফেলিয়া মিনিট-দুইয়ের মধ্যেই অতৃপ্ত হইয়া গেল । জমিদারবাবু মনের ক্ষেদ মনেই রাখিয়া তাড়াতাড়ি প্রস্থান করিলেন। জীবিকাটার কাজ সেদিন আর অগ্রসর হইল না । কিছুদিন ধরিয়া মুটি লইয়া ক্রমাগত তর্কাভর্কি ও ఏన983 আলোচনা চলিতে লাগিল। দেশ-বিদেশের পণ্ডিত ও বিশেষজ্ঞ আসিয়া জুটলেন, কাগজে কাগজে ইহার ছবি ও বিবরণ বাহির হইল, সংবাদ-গুপও অসংখ্য মস্ত হইল, কিন্তু শেষ-পৰ্য্যন্ত কিছুহ প্রমাণ হইল না। ম সাহেব মদন ও মোহন বাগীকে দশ দশ টাকা পুরা ব্যাপারটার নিষ্পত্তি করিয়া দিলেন। জf নিফল ক্রোধে গর্জন করিতে লাগিলেন । দেশের t প্রথম কিছুদিন স্বর্ণপ্রতিমার বিষয় উদয়াস্ত আলোচনা করি। : তাহার পর নিজেদের ব্যক্তিগত সুখদুঃখের ভাবনা : তাহার ভাবনা ভুলিয়া গেল। কোন এক সময় বাষ্পীয়পোতে চড়িয় স্বর্ণময়ী মূর্তিটি ভারতবর্ষের তটভূমি ছাড়িয়া চলিয়া গেল, তাহার খোজও কেহ রাখিল না । R প্রতিমাটি দেবীমূৰ্ত্তি নয়। ইহার আসল বিবরণ এই। দেড় শত বৎসর পূৰ্ব্বে, দেশের এই অংশ গভীর অরণ্যের প্রাস্তবত্তী ছিল। কিন্তু দেশের মানুষের দেহে তখন ছিল অসুরের শক্তি, মনে ছিল অসীম বল । বাঘ, ভালুক, হাতীর সঙ্গে নিত্য দেথ{সাক্ষাৎ করিয়াই তাহীদের দিন কাটিত । বন্দুকের চলন প্রায় ছিল না, তবু রামদা, বর্শা, কেঁচি, জাঠা প্রভৃতির সাহায্যে এই ভীষণ জন্তুদিগকে বধ করার মধ্যে লোকে তখন বিস্ময়কর কিছুই দেখিত না । স্ত্রীলোকে পর্যন্ত তখন অস্ত্রের ব্যবহার জানিত এবং প্রয়োজন হইলে অকুতোভয়ে চোর-ডাকাত বা ব্যাঘ্রভালুকের সামনে দাড়াইত । ঐ অংশের জমিদার ছিলেন তখন রাজবল্লভ রায় । বীরত্ব ও চরিত্রের খ্যাক্তি র্তাহার এমনই ছড়াইয়া ছিল যে দেশের লোকে মিলিয়া তাহার নাম দিয়াছিল রাজা রাজবল্লভ । রাজবল্লভ পারিবারিক জীবনে মুখী ছিলেন, স্না। বনের পশুদিগের রাজ্য জোর করি তাহার পূর্বপুরুষেরা

  • 、、

কাড়িয়া লইয়াছিলেন বলিয়াই যেন ঐ অরণ্যচারী । প্রতিহিংসাবৃত্তি র্তাহার পরিবারের বিরুদ্ধে সর্বদাই উত্তেজিত হইয়া থাকিত। তাহাঁর পিতা প্রাণ হারইয়াছিলেন হাতী निलात्र कब्रिड ग्निश,ैशंद्र कनिईजाँडा शांrबर इत्ष