পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাতিক বিবিধ প্রসঙ্গ-প্রবাসী ৰঙ্গসাহিত্য সম্মেলন ゞ8位 যুদ্ধ ও রাষ্ট্রক আন্দোলন যুদ্ধের সময় নেতার হুকুম মানা দরকার। না মানিলে যুদ্ধে জয় হয় না । এই জন্ত দৈনিকদের এই বাধ্যতা, এই নিয়মানুবৰ্ত্তিত প্রশংসা পাইয়াছে। ইংরেজদের সহিত রুশদের ক্রিমিয়ান যুদ্ধে ইংরেজদের লাইট ব্রিগেড হয়ত বুঝিয়ছিল, রে, শত্রুপক্ষকে আক্রমণ করিতে তাহারা যে হুকুম পাইয়াছে, তাহা ভ্রান্ত * তথাপি ব্যালাকিলাভীর যুদ্ধে ছয় শত যোদ্ধা অগ্রসর হয় এবং অধিকাংশ মারা পড়ে । এই ঘটনা অবলম্বন করিয়া টেনিসন তঁহার ‘চার্জ অব দি লাইট ব্রিগেড’ কবিতা লিখিয়াছেন–লিথিয়াছেন— ‘Forward the Light Brigade!" Was there a man dismay’d? Not though the soldier knew Some one had blundered: Theirs not to make reply, Theirs not to reason why, Theirs but to do and die: Into the valley of Death Rode the six hundred. তাৎপৰ্য্য। "হও আগুয়ান, লাইট ব্রিগেড় : এ হুকুমে তারা কেউ কি ভয় পেয়েছিল ? না, যদিও তার বুঝেৰিল কারও ভুলে এমন শুকুম হয়েছে। জবাব দেওয়া তাদের কাজ নয়, যুক্তিতর্ক করা তাদের কাজ নয়—তাদের কর্তৃবা ছিল কেবল হুকুম তালিম করা ও মর! : তাই সেই ছয় শত যোদ্ধা মৃত্যুর উপতাকায় ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে এগিয়ে গেল । যুদ্ধকালে সৈনিকদের এই যে নিয়মানুগত্য ও বাধ্যতা, ইহা ভারতীয় কোন কোন রাষ্ট্রনৈতিক নেতা রাষ্ট্রনৈতিক প্রচেষ্টাতেও দেখি:ত চান । কিন্তু রাষ্ট্রনৈতিক প্রচেষ্টা ঠিক যুদ্ধ নয়। সুতরাং যুদ্ধের সময় কোন সৈনিক যেমন হুকুম না-মানিলে সামরিক আদালতের বিচারে বা বিনাবিচারেও তাহার প্রাণদণ্ড হইতে পারে, রাষ্ট্রনৈতিক প্রচেষ্টীয় দলের কোনও সভ্য হুকুম না মানিলে তাহার তেমন কিছু শাস্তি ( অবশ্য প্রাণদণ্ড নহে ) হইতে পারে না । ইহা অবগু স্বীকার্য","ষে, কেহ কোন রাষ্ট্রনৈতিক দলের সভ্য হইলে সেই দলের উদ্দেশ্য ও নিয়মাবলী তঁtহাকে মানিতে হইব, না-মানিলে তিনি সভ্যত্ব ছাড়িয়া দিবেন, কিংবা সভ্যত্ব হইতে বঞ্চিত হইবেন । কিন্তু দলের

  • হুকুমট যে প্রাজিপ্রস্তুত তাছা ইংরেজদের দ্বারাও স্বীকৃত হইয়াছে । সই কারণে এক জন ফরাণী সেনাপতি আম্বার:হী লাইট ব্রিগেডের প্রচণ্ড বেগে শত্রু আক্রমণ সম্বন্ধে বলিয়ছিলেন, "ইহা খুব জমকাল চমকপ্রদ ব্যাপার, কিন্তু ইহ is an (“It is magnificent but it is not

war") - ᎼᎽ কাৰ্য্যনিৰ্ব্বাহক কমিটির জন চার-পাঁচ লোক একটা কিছু নিৰ্দ্ধারণ করিলেই তাহা দলের মুল উদ্বপ্তের ও নিয়মাবলীর অঙ্গীভূত হইয়া যায় না, তাহ না-মানিলে দলের নিয়ম ভঙ্গ হয় না। অথচ দেখিতেছি, শ্ৰীমতী সরোজিনী নাইডু, শ্ৰীযুক্ত বল্লভভাই পটেল প্রভৃতি ‘ডিসিপ্লিন চাই, ডিসিপ্লিন চাই" ( নিয়মীমুগত্য চাই, নিয়মানুগত্য চাই ), বলিয়া চীৎকার করিতেছেন। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির জন চার-পাচ মানুষ সম্প্রদায়িক ভাগবাটোয়ীরা সম্বন্ধে যাহা স্থির করিয়াছেন, তাহতেই ত কংগ্রেসের আদর্শের বিরোধী কাজ করা হইয়াছে । সুতরাং ডিসিপ্লিনের আবখ্যক যদি কাহারও হইয়া থাকে, ত তাহা তাহীদেরই । এক গণ্ডা বা দেড় গণ্ডী মৰ্ম্ম যাহা স্থির করিবেন, তাহাই সকলকে মানিতে হইবে, কংগ্রেসের আদর্শ ও নিয়মাবলীর মধ্যে এমন কোথাও কিছু লেখা নাই। আমরা যদি কংগ্রেসের সভ্য হইতাম, তাহা হইলে সাম্প্রদায়িক ভাগবাটোয়ারা সম্বন্ধে ওয়ার্কিং কমিটির নিৰ্দ্ধারণ কখনই মানিতাম না । যুদ্ধে যে অনেক সৈনিক, নেতার হুকুম ভ্রান্ত জানিয়াও, মরণাস্ত বাধ্যত দেখায়, তাহীতে তাহীদের সাহস ও বশ্যতা প্রমাণিত হয়, সন্দেহ নাই। কিন্তু তাঁহাতে ইহাও প্রমাণিত হয় যে, যাহা মানুষকে নিজের বুদ্ধি ও বিবেক অগ্রাহ করিয়া অষ্ঠের হুকুম মানিতে বাধা করে, সেরূপ জিনিষ ভাল নয়। যুদ্ধ সেইরূপ একটা জিনিষ । অতএব যুদ্ধের অবিচারিত বাধ্যত৷ শান্তিকালীন কোন প্রচেষ্টায় আমদানী করা বাঞ্ছনীয় হইতে পারে না । প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য সম্মেলন প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য সম্মেলনের দ্বাদশ অধিবেশন ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে কলিকাতায় হইবে, ইহা পাঠকের খবরের কাগজে দেখিয়া থাকিবেন । এবারকার অধিবেশনের জন্ত এলাহাবাদ হাইকোটের অবসরপ্রাপ্ত জজ স্যর লালগোপাল মুখোপাধ্যায় মহাশয় সভাপতি মনোনীত হইয়াছেন। তিনি এলাহাবাদ হাইকোটের প্রধান বিচারপতির কাজও কিছু দিন করিয়াছিলেন। র্তাহার বিদায়ভোজ উপলক্ষ্যে সার তেজবাহাদুর