পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ゞ(xbー ভারতরক্ষা সম্বন্ধে ডাঃ মুঞ্জের বক্ত তা নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের যুনিয়ন সোসাইটি দ্বারা আহুত এক সভায় হিন্দু মহাসভার ভূতপূৰ্ব্ব সভাপতি ডাঃ মুঞ্জে বলেন--- ভারতবর্ষ স্বরাজলাভের জন্ত আন্দোলন করিতেছে । কিন্তু স্বরাজ পাওয়া গেলে তাহ রক্ষা করা এবং বহিঃশত্র হইতে ভারতবর্ষ রক্ষা করা কি প্রকারে হইতে পারে, সেদিকে ভারতীয় রাজনীতিজ্ঞদের দৃষ্টি পড়ে নাই। পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত দিয়া ভারত প্রাচীন কাল হইতে আক্রান্ত হইয়া আসিয়াছে । সীমান্ত রক্ষা সোঁজ কাজ নয় স্থলে সীমান্ত ৭০•০ মাইল লম্বা ; তা ছাড়া সমুদ্রোপকূল আছে । পূৰ্ব্ব ও উত্তর-পূৰ্ব্ব সীমান্তের কথাও ভাবা উচিত । তাহা এখন নিরাপদ হইলেও বরাবর নিরাপদ না-থাকিতে পারে । ভারতবর্ষের কারখানাসমূহ অল্পধিক জামেনীর কারখানসমূহের মত করিয়া গড়া উচিত । সে দেশের কারখানাগুলি শান্তির সময় নানা পণ্যদ্রব্য উৎপাদন করে, যুদ্ধের সময় যে-কোন কারখানা দেশরক্ষার জন্ত ব্যবহৃত হইতে পারে (অর্থাৎ তাহাতে যুদ্ধের সরঞ্জাম প্রস্তুত হইতে পারে । মোটর গাড়ী ও এরোপ্লেন নিৰ্ম্মাণের কারখানা ভারতবর্ষের নানা স্থানে স্থাপন করা উচিত । শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসকলে ব্যায়ামশিক্ষা ও বন্দুক-দেড়ি অবষ্ঠিক হওয়া উচিত। প্রাথমিক যুদ্ধশিক্ষা দিবার বন্দোবস্ত করা কীৰ্ত্তব্য । অনেক রাইফল-সমিতি গঠন করা আবখক । যুবকদিগকে সাতার শিখান উচিত । স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন, লাঠিহস্তে ড্রিল শিক্ষার ক্লাস স্থাপন প্রভৃতি দ্বারা যুবকদের স্বাস্থোর উন্নতি করা আবশ্যক । তাহা করিতে পারিলে দশ বৎসরের মধ্যে দেশের চেহারা বদলাইয়া যাইবে, এবং তখন গবন্মেণ্ট বলিতে পরিবেন ন, গে, আমরা স্বরাজের উপযুক্ত নহি । (এ-বিষয়ে আমাদের সন্দেহ আছে—প্রবাসীর সম্পাদক , ডাক্তার মুঞ্জে যাহা বলিয়াছেন, আমরা দেখিয়াছি নাগপুরে কোন কোন দিকে সেইরূপ কাজ হইতেছে । সেখানকার যুবকদিগের লাঠি-ড্রিল দেখিয়া প্রীত হইয়াছিলাম। ডাঃ মুঞ্জে নাগপুরে যে রাইফল্‌ সমিতি স্থাপন করিয়াছেন, তাহাতে অনেক যুবক বন্দুক চালাইতে শিখিয়াছে ও শিখিতেছে । বঙ্গে ডাকাতী ও নারীহরণ . বাংলা-গবন্মেণ্ট সন্ত্রাসকদের হাত হইতে রক্ষার জন্ত সব ইংরেজ কৰ্ম্মচারীর-বিশেষতঃ শাসন ও পুলিস বিভাগের কৰ্ম্মচারীদের—জন্ত সশস্ত্র রক্ষীর বন্দোবস্ত করিয়া নিজের কৰ্ত্তব্য পালন করিয়াছেন । তদ্ভিন্ন, ঐ সকল কৰ্ম্মচারীর নিজেদেরও অস্ত্র আছে । কিন্তু ডাকাতদের হত হইতে লোক:দর—বিশেষতঃ গ্রামের লোকদের-রক্ষার জন্ত যথেষ্ট সরকারী ব্যবস্থা নাই, এবং পশুপ্রেকৃতি লোকদের হাত হইতে নারীদের রক্ষার জন্যও ঘথেষ্ট বন্দোবস্ত নাই । অদ্ধ চন্দ্র-মার্ক ইম্পীরিয়্যাল কেমিক্যাল ইণ্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড খবরের কাগজের পাঠকের জানেন, “হম্পীরিয়্যাল কেমিক্যাল ইণ্ডাষ্ট্রিঞ্জি ( ইণ্ডিয়া ; লিমিটেড” নামক একটি কোম্পানীকে ভারত-গবন্মেণ্ট ৫০ বৎসরের জন্ত পঞ্জীবের কোন কোন স্থানের খনিজ কোন কোন জিনিষ উত্তালন ও ব্যবহারের একচেটিয়া অধিকার দিয়াছেন বলিয়। ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় তর্কবিতর্ক হইয়াছিল । ভারতে রেজিষ্ট্ৰী হইয়া থাকিলেও ইহা ইংরেজদের কোম্পানী । ভারতের এক ভূতপূৰ্ব্ব বড়লাট লর্ড রেডিং ইহার চেয়ারম্যান ভারতীয়দের অজ্ঞাতসারে ইহা গঠিত এবং ইতাকে একচেটিয়া অধিকার প্রদত্ত হয় । তবিযাতে হয়ত আরও অনেক একচেটিয়া অধিকার ইহাকে দেওয়া হইবে । সকল দেশের জাতীয় (National) গবন্মেণ্ট নিজ নিজ জাতির লোকদের Nationalsদের } দ্বারা নিজ নিজ দেশের প্রকৃতিক সম্পদের ব্যবহারের ব্যবস্থা করেন । ভারতবর্ষের দ্যাশন্তলি গবন্মেণ্ট না থাকায় সেইরূপ ব্যবস্থা হয় নাই । লর্ড রেডি বড়লাট থাক! কালে দেশশাসন করিতেন, এবং অবসর সময়ে হয়ত পেন্সান লইবার পর ভারতবর্ষ হইতে আরও অর্থ সংগ্রহের জন্য কোথায় কি খনিজ সম্পত্তি আছে, তাহার খবর রাখিতেন। এখন তাহা কাজে লাগিল । এই কোম্পানীর আয়োজন যে আনক দূর অগ্রসর হইয়াছে, তাহ জানিতাম না । ৩০শে সেপ্টেম্বরের অমৃত বাজার পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় সমগ্রপৃষ্ঠাব্যাপী ইহার বিজ্ঞাপন বুঝিলাম, কলিকতা, বোম্বাই, মন্দ্রিীজ, লাহোর, রেঙ্গুন কোলোম্বো, কানপুর, পাটনা, আহমদাবাদ, কোচিন, কলিকট, বিজাগাপাটাম, করাচী ও অমৃতসরে ইহর গদী স্থাপিত হইয়াছে। ইহার ট্রেডমার্ক অর্থাৎ ব্যবসার মার্ক ক্রেসেণ্ট অর্থাৎ অৰ্দ্ধচন্দ্র ৷ যথাযোগ্য বটে ! ইহার প্রসাদে কত দেশী রাসায়নিক ব্যবসার অদষ্টে মর্ত্যলোক হইতে অৰ্দ্ধচন্দ্র লাভ ঘটবে, তাহ অদূর ভবিষ্যতের গর্ভে নিহিত ।