পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ং প্রবাসী; ఏరి8ు 6 ولاS ভারতবর্ষের চেয়ে অন্য দেশকে পছন্দ করে নাই, শ্রেণীর লোক লাভবা হইয়াছে ও হইতে চায়, তাহদের ও তাহা নহে। তাহদের প্রভাবের অধীন লোকদের পরামর্শ গ্রহণ ও খান আবদুল গফফার খান হিন্দু-মুসলমানের মিলনের উপর খুব জোর দিয়াছেন। তিনি মনে করেন, আমাদের পরম্পরের ধৰ্ম্ম ও সংস্কৃতির সহিত পরিচিত হওয়া উচিত। হিন্দু-মুসলমান উভয়েরই তাহা হওয় অবশ্যই উচিত। তাহতে সদ্ভাব বাড়িতে পারে। উভয়ের শাস্ত্র ও সভ্যতার উৎকৃষ্ট অংশ গ্রহণ করিতে হইলে, নিকৃষ্ট অংশ কিছু থাকিলে তাহা বর্জন করাও আবশ্যক। হিন্দুশাস্ত্র ও সমাজবিধি সম্বন্ধে ইহা করিবার বা 'করাষ্টবার জন্য সমালোচনা নিরাপদ। কিন্তু মুসলমান শাস্ত্র ও সমাজবিধি সম্বন্ধ ইহা করা অনেক মুসলমান বিপৎসস্কুল করিয়াছে। হিন্দু, মুসলমান, খ্ৰীষ্টিয়ান, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ প্রভৃতি সকলেরই নিজ নিজ শাস্ত্র, ধৰ্ম্মগ্রবন্তক ও উপদেষ্টাদিগকে অলান্ত ও নিখুঁত মনে করিবার অধিকার আছে ; কিন্তু অন্য কেহ তাহার বিপরীত কথা বলিলে তাঁহাকে হত্যা করিবার অধিকার কাহারও নাই। পরস্পরের ধৰ্ম্ম ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাবান হইলে পরম্পরের সদ্ভাব ও মিলন গভীর হয়। রাষ্ট্রনৈতিক মিলনও হটতে পারে । কিন্তু যত দিন কোন সম্প্রদায় নিজের জঙ্গ, যে-কোন ওজুহাতেই হউক, বিশ্যে সুবিধা ও বেশ সুবিধা চাহিবে, তত দিন এই মিলন হইবে না । পাটচাষ নিয়ন্ত্রণ ঘে-ভাবে ও যেরূপ বয়ে পাটচাষ নিয়ন্ত্রণ দ্বারা উহ! কমাইয়াগবন্মেণ্ট পাটের মূল্যবাড়াইতে চাহিতেছেন, তাহাতে সুফললাভ হইল বলিয়া আমরা মনে করি না | পাটচাব এখন যে যে জমিতে হয়, তাহার যে-অংশে পাটের চাঘ করা হইবে না, লাভজনক অন্ত কি ফসলের চাষ তাহাতে করা যাইতে পারে, তাহা চাষীfদগকে বুঝাইয়া তাহদের বিশ্বাস উৎপাদন করা আবশ্যক। শুধু সরকারী লোকদের চেষ্টায় সাফল্য লাভ করা কঠিন । সরকারী লোকদের উপর চাষীদের বিশ্বাস কতটা আছে, তাহ বিবেচনা কর দরকার। চাষীদের অসুবিধা এবং ক্ষতি করিয়াও যে-সব সহযোগিতা অবলম্বন বাঞ্ছনীয় নহে। বরিশালের ব্রজমোহন ইন্সটিটিউশ্বানের জুবিলী উৎসব স্বৰ্গীয় অশ্বিনীকুমার দত্ত মহাশয়ের প্রতিষ্ঠিত ব্ৰজমোহন ইন্সটিটিউশ্যন বাংলা দেশে কেবল ইংরেজী শিক্ষার বিস্তারকল্পে সাহায্য করিয়াছে, এমন নহে, বিস্তর ছাত্রের প্রাণে ধৰ্ম্মভাব ও স্বদেশপ্রেম উদ্দীপিত করিয়াছে। গত ১৫ই সেপ্টেম্বর ইহার পঞ্চাশ বৎসর বয়স অতিক্রম করা উপলক্ষে উৎসব হইয়া গিয়াছে তাহাতে সভাপতিরূপে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় অন্তান্ত কথার মধ্যে বলেন – আমাদের দেশে শিশুমৃত্যুর হার অধিক । মানুষের মধ্যে বট এবং প্রতিষ্ঠানের মধ্যেও বটে। পঞ্চাশবৎসরব্যাপী অস্তিত্বের গৌরব করিতে পারে, এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্য অঙ্গুলীতে গণনা করা যায়। ব্ৰজমোহন ইনষ্টিটিউশন এই পঞ্চাশ বৎসর কাল কেবল অস্তিত্ব বজায় রাপে নাই,—ইহা মানবপ্রাণ প্রেরণা জগাইয়াছে, বাংলার শিক্ষিন সম্প্রদায়ের মধ্যে সংস্কৃতি ও আদশ প্রচার করিয়াছে। ব্ৰজমোহন ইনষ্টিটিউশন কেবল মাটিকুলেট প্রস্তুত করিবার কারখানা নাই ; ইহা অধিনকুমারের আদর্শবাদের যুদ্ধ প্রতীক। যাহাতে কিশোর ও তরুণদল উত্তরকালে জীবনধুদ্ধে জয়া হইতে পারে, মাধ্যত্বের গৌরবে সমুন্নত শিরে দাড়াইতে পারে, তাহাদিগকে তদ্রুপ শিক্ষাদানই ছিল অশ্বিনকুমীরের লক্ষা। তিনি ছাত্রদিগকে কেবল পুথিগত শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে ব্রজমোহন ইনষ্টিটিউষ্ঠান স্থাপন করেন নাই । তিনি তাহাদিগকে নেতিক শিক্ষ, ও ধৰ্ম্মশিক্ষা দিয় অদৃশ মানুষ করিয়া তুলিতেন।

  • ngsa

বিজ্ঞাপন প্রবাসী-কার্যালয় আগামী ২৭শে আশ্বিন ১৪ই অক্টোবর হইতে ১১ই কাৰ্ত্তিক ২৮শে অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ খাকিবে। এই সময়ের মধ্যে যেসব চিঠিপত্র আসিবে, ১২ই কাৰ্ত্তিক ২৯শে অক্টোবর হইতে সেই সকলের জবাব দেওয়া বা তদনুযায়ী অল্প কাজ করা হইবে। শ্রীরামানন্দ চট্টোপাধ্যায়, স্বত্বাধিকারী