পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগ্রহায়ণ লহারে গ্রন্থসাহেব বাধাইতে অনিয়া ভাই বল্লা প্রতিলিপি করাইয়া লন ও র্তাহীর সংগ্রহ তাহতে বসহিয়া দেন । গুরু হরগোবিন্দর কাছে পরে বিধিচংদও এই আদি গ্রন্থখানির একখানি প্রতিলিপি করাইয়া লইবার অনুমতি লাভ করেন। মূল গ্ৰন্থখানি স্বগ্রামে লইয়া গিয়া বধিচাংদ অতিশয় নিষ্ঠ'র সহিত প্রতিলিপি করাইতে Tাগিলন। বিধিSংদ যখন বিলৱল রাগ পর্যন্ত প্রতিলিপি কর:ইরছেন অর্থাৎ অৰ্দ্ধেকের অধিক যথন লেখা হইয়া গয়ছে তখন এক দিন গুরু হরগোবিন্দ বিধিচংদকে ঠীহার সঙ্গে সপরিবারে কিরতিপুরে যাইতে অনুরোধ চরিলেন। স ক লই যাত্রা করিলেন কিন্তু গুরুfদত্ত'র পুত্র ীিরমল সঙ্গে গেলেন না । ধীরমল ভাবিলেন, “যদি আমি {! ঘাই ত:ব আমি সমস্ত ধন-সম্পত্তি অধিকার করিতে পারিব, বিশেষভাবে ঐ গ্রন্থসাহেবখনা অমরই হইব ।” Iাইবার সময় বিধিচংদ ধীরমলকে গ্রন্থসাহেবখন আনিত অজ্ঞা করিলেন, তখন ধীরমল বলিলেন, “চিস্ত ক, আপনি চলিয়া যান, আমি পরে পাঠ ইয়া দিব ।” গুরু ংর গোবিন্দ ধীরমলের কাও শুনিয়া বলিলেন, “চিন্তা নাই, শখ-দর ধন শিখরাই উদ্ধার করিবে।” গুরু তেগ বাহাদুরের সময় শিখেরা ধীরম:লর সর্বস্ব টিয়া আন । অবং তাঁহার অন্ত কারণও ছিল । গুরু শ দের উপর ইহাতে বিরক্ত হইয়া ধীরমল:ক তঁহি র বিশ্ব ফিরাইয়া দেন। গ্রন্থসাহেবের প্রতিলিপিখানিও ঠাহ’কে প্রত্যপণ করেন । মীরা মৃত্যুকালে তাহার সাধনার সহচরীদের লিয়াছিলেন, আমার এই কায়ার অবসান ২টি লও নমার জীবনের অবসান হইবে না, আমি তে.মীদের iধনীতেই বাটিয়া থাকিব । তাই মীরার দেশে প্রায় Iব নারী সাধিকাই আপন আপন নাম লুপ্ত কkিয়া iীরীর নামই দিয়া ছন ভণিতা । সেইরূপ সকল গুরুই দয়া গিয়াছেন নানকের নামে ভণিত । তবে মহল্লার ংিখ্যা দিয়া কোন গুরুর রচনা তাহা বুঝা যায়। সকল গ্রন্থগ’হেব এক গুরুময় মহাষ্ঠীর্থ। তাহার এক এক আহল্লায় এক এক গুরু করিতেছেন বিরাজ । পূৰ্ব্বেই বলা হুইয়াছে গুঞ্জ অর্জনের সংগৃহীত গ্রন্থ শিখদের মহাগ্রন্থ ১৭৯৩ সাহেবের পর দ্বিতায় সংগ্রহই হইল ভ.ই বয়ের । ভাই বয়ের মূল গ্রন্থখানি এখনও গুজরাত জেলায় মঙ্গত গ্রামে রক্ষিত আছে । তাহাতে মীরা বঙ্গর একটি গান আছে, আদি গ্রন্থে এই গানটি নাই ৷ সাধারণ গ্রন্থসাহেবে সারংগ রাগে সুরদাসের একটি প্রখ্যাত পদ আছে—“হfরকে ংগ বসে হরিলোক” ইত্যাদি । ভাই বল্লোর গ্রন্থসাহেবে সারংগ রাগে স্বরদীসের আর একটি পূর্ণ পদ আছে - ভক্তিহীনদের সঙ্গ ত্যাগ করিবার উপদেশ প্রসঙ্গে—“ছাড়ি মন হরি বিমুখনকো সংগু ” আদি গ্রন্থসী হবে ঐ একটি মাত্র পংক্তিই আছে। কিন্তু বল্লা তাহর 'স গ্রহে পুরা পদটিই দিয়াছেন। গুরু অৰ্জুনের সংগৃহীত মুল আদি গ্রন্থসাহেব কৰ্ত্তীরপুর রক্ষিত আছে । ক ৰ্বারপুরের গ্রন্থসাহেবেও প্রথমে পুরা পদটি লেখা হইয়াছিল পরে কি জানি কেন ঐ একটি পংক্তি র ধিয়া বাকীটা কলম দিয়া কাটিয়া তাহার উপর অ’বার হরিতলের রং আগাগোড়া লেপন করিয়া লুপ্ত করিয়া ফেলা হয় । ভাই গুরদাসের গ্রন্থসাহেবের প্রথম সংগ্রহের পর হইল ভাই বল্লার দ্বিতীয় সংগ্রহ। তাহার পর তৃতীয় সংগ্ৰহ হষ্টল গুরু গোবিন্দসিংহের সহায়তায় ভাই মণিসিংহের সংগ্রহ। এই গ্রন্থকে অনেকে দশম বাদশাহের সংগ্ৰহগ্রন্থ বলেন, যদিও এই নাম গুরু গে,বিহ্মা বা মণিসিংহের দেওয়া নহে। এই সংগ্রহের মধ্যে বি.শষ ভাবে উল্লথযোগ্য গুরু গোবিনা-রচিত জাপজী, অকাল স্তুতি বা পরমেশ্বরের বন্দন, বিচিত্র নাটক এবং ম র্ক গুয় পুরণের দেবীম হাত্ম্যের তিন তিনটি সংক্ষিপ্ত অনুবাদ, জ্ঞানপ্রবোধ, চতুৰ্ব্বিংশ অবতারতত্ব, “হজারে দে সবদ,” সৱৈয়, শস্ত্রনামমালা, স্ত্রীofরত্র, জাফরনামা বা আওরংজেবকে লেখা শুরু গোবিদের পত্র, ও কয়েকটি পরিণী গল্পের অর্থাৎ “হিকয়তে"র অনুবাদ ; এই অনুবাদও কবিতাতেই कद्रं झेंद्र!tछ् । যুদ্ধ অপরিহার্য মনে করিয়া গুরু গোবিন্স সেই ভাবেই শিখধৰ্ম্মকে চাছিলেন চালনা করিত। তাই উহার সংগ্রহগ্রস্থ শস্ত্রনক্ষমালা, মার্কণ্ডেয় চণ্ডীর তিন তিনটি সংক্ষিপ্ত অগ্ৰদ প্রভৃতি বিষয় অtছ। গুরু গোবিন্দর “জাপজী”কে কেহ ৰেন সমকের জপঞ্জী বলিয়া ভুল না