পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

واناتا هة বাণিজ্যকে শুধু নিজ দেশের প্রয়োজনেই নিয়োজিত করা। আমেরিকা, চীন, ভারতবর্ষ, রুশিয়া প্রভৃতি প্রাকৃতিক সম্পদে ধনী প্রকাও দেশসমূহের পক্ষে এ-পথে চলা তেমন অসাধা নহে। কিন্তু ইংলণ্ড, জাপান প্রভৃতি অন্তান্ত ক্ষুদ্র দেশের পক্ষে এ-পথ বিনাশের পথ। প্রথম কথা, বৎসরে ছ-মাসের খোরাক ও ইংলগুের নিজ দেশ উৎপন্ন হয় না । বিদেশের সহিত তাঁহার বাণিজ্য বন্ধ হইলে ইংলণ্ড অনাহারেই মারা যাইবে । দ্বিতীয়তঃ, ইহাদের যে-সব পণ্য পৃথিবীর হাটবন্দর ছাইয়া ফেলিয়াrছ, সে-সব তৈরির র্ক চামল আসে সব বিদেশ হইত। তহরিই বা কি উপায় হইবে ? অন্ত দিকে, উল্লিখিত বৃহৎ দেশগুলি ঐশ্বর্যের খনি হইলেও শিল্পবাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভাহীরা অনেকে নুতন ব্রতী ও অনভিজ্ঞ । বি.দশ হইতে আধুনিক কলকভ ও অতান্ত নানাবিধ সাজসর3াম আমদানি করিতে না পরিলে তাঁহাদের চলিব না । সকলের চাই ত বড় কথা এই “t০ বিশ্বের সম্পদ ও জ্ঞানভাণ্ডীর আজ জাতিধৰ্ম্মনিধিবশেষ সকলের নিকট সকলের প্রয়োজনে উন্মুক্ত হইয়া ছ। অমর কি চীনাপ্রাচীর খাড়া করিয়া দিয়া নিজ নিজ ক্ষুদ্র গণ্ডীর মধ্যে ফিরিয়া গিয়া আবার কুপমণ্ডুক হইয়া বলিব ? ইহাতে কি জগতের প্রগতিক শত সহস্ৰ বৎসর পিছfইয়া দেওয়া হইবে না ? আমরা নিজ দেশর মধ্যে আত্মসৰ্ব্বস্ব ও পূর্ণমনস্ক ম হইয়া থাকি ত পরিব না ; অথচ আস্তর্জাতিক সম্বন্ধ ও বাণিজ্যকেও স্বাভাবিক পথে চলিতে পদে পদ ব’ধা দিব— আমাদর বর্তমান বপত্তির গোড়ার গলদই এই পরস্পরবিরোধী নীতির অনুসরণ । সুতরাং মানবজাতির স্বাভাবিক বিবর্তন ধারাকে যদি আমরা ঠিক রাখিতে চাই, দেশে দেশ, জাতিতে জাতিতে ভাবের ও বস্তুর আদান-প্রদান যদি আমরা অব্যাহত রাথিতে চাই, তাহা হইলে পরস্পরকে আঠায় রকম আঘাত করিবার যত উপায় তাহা আম:দিগকে পরিত্যাগ করিতে হইবে । গুপ্ত-প্রাচীর ( Tariff Wall ) ভাঙিয়া ফেলিতে হইবে । তেলো মাখায় তেল দেওয়া ( subsidy ) বন্ধ করিতে হইবে। শিল্প-অনুষ্ঠানে নুতন ব্ৰতী কেন কোন দেশের পক্ষে ও ক্ষেত্রবিশেষে প্রবলের প্রতিষোগিতা হইতে আত্মরক্ষার জন্ত এরূপ প্রাচীরের ও সবসিডির সাময়িক ১৫ প্রবচnsঠ। ఏSBS প্রয়োজন থাকিতে পারে; কিন্তু তাহার প্রয়োগ আমাদের স্তায় দুৰ্ব্বল ও অনুন্নত জাতির জন্ত যথাসম্ভব সীমাবদ্ধ হওয়া আবশ্বক এবং তদনুকূল জাতিসঙ্গের ( League of Nationsএর ) অনুমোদন থাকা সঙ্গত। অবগু. সেই সঙ্গকে নুতন করিয়া গড়িতে হইব । সমস্ত গোলমালের মুলোচ্ছেদ করিবার আর একটি দুঃসাহসিক পন্থা আছে। কিন্তু তাহা মে ই নূতন তেমনই ধনতান্ত্রিকদের পক্ষে মারাত্মক ! পণ্য-বিনিময়ের সমর যে অর্থন্ধপ দলিলটি মধ্যস্থ হইয়া কাজ করেন তিনি সমস্ত অনর্থের মূল ; কারণ তিনি বহুরূপী, তাহার রূপের বা মুল্যর কিছুই ঠিক নাই। এই দালালটি-ক একেবারে বাদ দিয়া পণ্যর সহিত পণ্যের সাক্ষাৎ বিনিময় করিতে পারিলে সব গোলমাল চুকিয়া যায়। মানুষের ভোগের জন্তই শিল্প ও পণ্যসম্ভারের প্রয়োজন—অর্থ পণ্যসম্ভীরকে মনুযর নিকট প্রয়োজন ও সুবিধামত পৌছাইয়া দিবার একটি সহজ উপায় মাত্র। ইহা ভিন্ন অর্থর অন্ত কোন সার্থকতা নাই। তাই প্রশ্ন উঠিয়াছে, এই খামখেয়ালি দলিলটিকে মাঝে রাখিবর দরকার কি ? এই প্রস্তাবে শ্রমিক বা সাধারণ সম্প্রদায়ের লাভ ভিল্ল ক্ষতি নাই সত্য, কিন্তু ইহাতে ধনিক সম্প্রদায়ের সমুহ ক্ষতির কারণ রহিয়ছে । সেইজন্তই এরূপ প্রস্তাবে তাহারা একেবারে ঠাৎকাইয়া উঠিয়ছেন এবং এই পথের পথিক রুশিয়াকে সকল মিলিয়া কোণঠাসা করিবার চেষ্টায় আছেন। ধর্মী অর্থ চায় শুধু ভোগের সামগ্রী সংগ্রহের জন্ত নহে, ব্যাঙ্কের খাতায় হিসাবর অঞ্চটাকে যথাসম্ভব বড় করিয়া দেখিবর জন্ত । ইহা প্রয়োজনের দাবি নহে,—ইহা নিছক লোভ ও যুগযুগাস্তের সংস্কার। সাধ মিটাইয়া ভোগ করিবার বিলাস-সামগ্রী ইহুদিগকে দিলেও ইহারা অর্থের মোহ পরিত্যাগ করিতে পরিবে না। অথচ ইহাদের এই লোভের ফলে দুনিয়ার ধন আসিয়া কতিপয় ব্যক্তির হাতে জড় হইতেছে, কিন্তু ব্যবহারে লাগিতেছে না। কারণ মানুযের ভোগবিলালিত:র সীমা আছে। অন্ত দিকে নানাবিধ পণ্যসম্ভার পড়িয়া আছে, অর্থাভাবে নিয়ার অধিকাংশ মানুষ তাহার নিতাস্ত প্রয়োজনীয় অভাব মিটাইতে পারিতেছে না। বিনিময়ের জষ্ঠ তৈরি না হইয়াঁ