পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

بومیت নির্দেশ করিয়া দেওয়া আরও একটি কারণে একপ্রকার অসম্ভব। আধুনিক জগতে বাজার-মৰ্য্যাদা বা credit কিরূপে অর্থের স্থান অধিকার করিয়াছে, ইহা আমরা পূৰ্ব্বেই উল্লেখ করিয়াছি । প্রত্যেক দেশের সেন্টাল ব্যাঙ্ক মুদ্রার পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত করিতে যদিবা সমর্থ হন, কিন্তু এই নিরাকার credit পদার্থটিকে আয়ত্তাধীনে আনিবেন কি প্রকারে ? কোন দেশে কোন ব্যক্তির কি পরিমাণ ধার পাওয়া উচিত, তাহাকে কি পরিমাণে ধারে ব্যবসা-বাণিজ্য করিবার মর্য্যাদা দেওয়া যাইতে পারে, তাহ নির্ণয় করা দুঃসাধ্য বলিলেই হয় অর্থের পরিমাণকে স্থির রাখিয় তাহার মুল্য স্থির রাখিবার পথে ইহা একটি গুরুতর অস্তুরায় । কিন্তু পন্থা দুরূহ হইলেও সকল দেশের সমবেত চেষ্টায় এই প্রতিবন্ধকতা দূর করিতে না পারিলেও চলিতেছে না। সেইজন্তই সমগ্র পৃথিবীর অর্থ-নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা বিভিন্ন দেশের গভর্ণমেণ্টের হাত হইতে তুলিয়া লইয়া একটি কেন্দ্রীয় শক্তির উপর দিবার কথা উঠিয়াছে। পরম্পর বিবদমান জাতিসমূহের মধ্যে এরূপ প্রতিষ্ঠান গড়িয়া তোলা কতদূর সম্ভব তাহ অবহু ভাবিবার বিষয় । বর্তমান অবস্থার আগুপ্রেতিকার করিতে হইলে অধমৰ্ণ জাতিসমূহের স্কন্ধ হইতে সমরঋণ ও ক্ষতিপূরণের গুরুভার অবিলম্বে তুলিয়া লইতে হইবে। সকলের সম্মিলিত পাপের বিরাট বোঝা শুধু পরাজিত জাতিসমূহের স্কন্ধে চাপাইয়া দেওয়ায় ইহারা আজি মরিতে বসিয়াছে । পুথিবীর এতখানি ক্রয়শক্তিকে এভাবে নিষ্পেষিত করিয়া রাখিলে ব্যবসাবাণিজ্য কোন প্রকারেই পূৰ্ব্বাবস্থা ফিরিয়া পাইতে পারে না। কেবল সমরঋণ ও ক্ষতিপূরণের দাবি বাতিল করিলেও চলিবে না—পৃথিবীর যেখানে যত জাতি নিষ্ফল ঋণের চাপে মুড়িয়া পড়িয়াছে তাহাদিগকেও রেহাই দিতে হইবে। নতুবা পৃথিবীর ক্রয়শক্তিকে যথেষ্ট পরিমাণে ফিরাইয়া আন সম্ভব হইবে না । ইউরোপের বহু মনীষীও এ-কথা আজ স্বীকার করিতেছেন। ভারতের বিরাট পূৰ্ব্ব ঋণের কথা ছাড়িয়া দিলেও বিগত লড়াইয়ের সময় বিনা স্বার্থে ও বিনা কারণে শুধু আমাদের বিধিনির্দিষ্ট অভিভাবকের উপকারের কিঞ্চিৎ প্রত্যুপকারার্থ আমাদিগকে নুতন করিয়া বিরাট খণভার গ্রহণ করিতে হইয়াছে। এই সব ঋণের "Eহাস্নায়ঃ ఎని83 চাপ না কমিলে আমাদের আর্থিক উন্নতির আশা সুদূরপরাহত । কৃষিজাত পণ্যের মুল্য সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক হ্রাস পাওয়ায় কৃষিপ্রধান দেশসমূহের ঋণমুক্তি অধিকতর আবিষ্ঠাক হইয়া পড়িয়াছে । বর্তমান অবসাদ দূর করিতে হইলে যাহারা টাকা লইয়। গ্যাট হইয়া বসিয়া অtছেন তাহাদিগকেও হাতের টাকা ছাড়িতে হইবে । খয়রাৎ করিবার কথা কেহ অবশু র্তাহাদিগকে বলিতেছেন ন একটা অনন্তসাধারণ কুষ্ঠা ও অবিশ্বাস হইতে র্তাহার যে-সকল ব্যবসা-বাণিজ্য হইতে হাত গুটাইয়া বসিয়া আছেন, ইহা পরিত্যাগ করিয়া র্তাহাদিগকে পুনরায় কার্যাক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইতে হইবে । তবেই নুতন ব্যবসার পত্তন হইবে, বাজারে অর্থ নুতন করিয়া চলিতে মুরু করিবে, মানুষের জড়তা ও অবসাদ কাটিয়া গিয়া ব্যবসা-জগতে নুতন চাঞ্চল্যের স্বষ্টি হইবে। বনের বাঘ অপেক্ষ মনের বাঘ আমাদিগকে অধিক কাবু করিয়া ফেলিয়াছে ; এবং ফলে দুনিয়ার সকল অর্থ বfজার হইতে মানুষের ঘরে আশ্রয় লইয়াছে। এই অর্থ পুনরায় ঘরের বাহির না হইলে মৃতপ্রায় ব্যবসা-বাণিজ্য আর টকিয়া থাকিতে পারবে না। এই সম্পর্কে আরও একটি ব্যবস্থা করিতে হইবে । বর্তমান অনাস্থা ও অবিশ্বাসের ফলে ধারে কার্য্য করিবার সুযোগও একেবারে নষ্ট হইয়া গিয়াছে। মানুষকে এই সুযোগ ফিরাইয়া দিতে হইবে ; তাহার কৰ্ম্মক্ষমতার উপর আবার বিশ্বাস স্থাপন করিতে হইবে । কারণ মানুষের এই মর্য্যাদ ( credit ) অর্থের প্রয়োজন ষে কতখানি মিটাইতে পারে তাহা আমরা পূৰ্ব্বেই উল্লেখ করিয়াছি। মাকুযকে তাহার কৰ্ম্মকুশলতা অনুযায়ী খানিকট বিশ্বাস না করিলে কেবল নগদ অর্থ দিয়া সকল সময় কাজ করা কঠিন । তাই অর্থের সঙ্কোচন দূর করিতে হইলে অকাতরে অর্থব্যয় করা যেমন অত্যাবগুক হইয়া পড়িয়ছে, তেমনই মানুষকে তাহার প্রাপ্য মৰ্য্যাদা বা credit দান করারও প্রয়োজন হইয়াছে। অর্থব্যয়-সম্পর্কে গভর্ণমেণ্ট ও ধনীসম্প্রদায়ের দায়িত্বই সৰ্ব্বাপেক্ষা বেশী ; কারণ শক্তি ও সুযোগ তাহীদেরই সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক। পূৰ্ব্বে শুধু লড়াই বধিলে গভর্ণমেন্ট অজস্র অর্থব্যয় করিতেন । তম্ভিল্প সাধারণ অবস্থায় তঁfছদের ব্যয়ের ধারা একটা ক্ষুদ্র সীমার মধ্যে আবদ্ধ ছিল । কিন্তু