পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఎనTB) গেtড়-সেবামণ্ডলের দ। তব চিকিৎসালয় প্রশংসা করা হইয়াছে সেই সেই স্থান নিভুল বলির বোধ হয় । তাঁর ধে সে অংশে ভারতীয় আচার-ব্যবহারের নিন্দ করা হইয়াছে সেই সেই অংশ ঠিক নহে । গোড়জাতির বন্ধুত্বপ্রথা সম্বন্ধে পাতিয়াল সাহেব সেভাবে বিরুত করিয়াছেন তার কোনও পুস্তকে সেরূপ নাই । তাহদের বন্ধুত্বের আদর্শ উচ্চ । বন্ধুত্বপ্রথাকে তাহারা কলাবিদায় পরিণত করিয়াছে বলিলেও চলে । স্ত্রী-পুরুষের সম্পৰ্শজাত নয় । স্ব স্ব জাতির মধ্যে আবদ্ধ । গভীরতা অনুসারে তাহদের বন্ধুত্ব পীচ বিভক্ত। যথা— গুলি, সখী, জওরা, মহাপ্ৰসাদ ও গঙ্গাজল /* এই পাঁচটির মধ্যে ভালবাসা বৰ্দ্ধিত ভাবে বর্তমান থাকে অর্থাৎ প্রথমটি অপেক্ষ দ্বিতীয়টিতে অধিকতর এবং দ্বিতীয়টি অপেক্ষ তৃতীয়টিতে আরও বেশ ভালবাসা দুষ্ট হয় । একটা এই বন্ধুত্ব কেন-না, তাতাদের বন্ধুত্ব পরস্পরের প্রতি ভ’লব{সাহ প্রকারে উত্তরেত্তর জীবনযাপনপ্রণালী কিরূপ সুন্দর ও মাধুর্যময় তাহণ আংশিক বলা হইল। এইবার তাহদের কি কি জিনিযের অভাব আছে সে-সম্বন্ধে সন্ধান লওয়া যাক । সভা ম'নবসমাজ ত'হাদিগকে বহু শতাব্দী ধরিয়া অবহেলা করিয়া আসিয়t:ছ । আজ তাহাদিগকে কি কি সুযোগ গোড় জাতির

  • আমাদের সম্ভ বাঙালী জাতির মধ্যেও সর্থী, মহাপ্রসাদ এবং গঙ্গাজল-এই তিনটি প্রচলিত আছে |

দেওয়া উচিত ? সৰ্ব্বপ্রথম প্রয়োজন, --তাহাদিগকে শিক্ষা দান করা এই শিক্ষণ প্ৰকু ত শিক্ষা হওয়! চাই, ঘে-সে শিক্ষণ নহে । বৰ্ত্তমানে ডিষ্ট্রিক্ট বেড়ে মে শিক্ষা দাম কৰে তাহা কোন প্ৰয়ে!ক্ত নেঙ্গ লীগে না । এই শিক্ষা ত'ত দিগকে কিছু সম্পা করিমুণ কিন্তু টঙ্গ তাহীদের দমিত ক্রমশ দ! সত্বের তোলে বটে, মানসিক শক্তি কfরয়া ত’হাদিগকে দিকে অগ্রসর কর ইয়া দেয় । শিক্ষার উদ্দেশ্য আত্মাকে মুক্ত বা স্বাধীন করা । অতএব ঘে-শিক্ষ আত্মীকে বন্ধনমুক্ত করিয়া তহর চিত্তবৃত্তির সম্যক পরিস্ফুরণের অবসর দেয় সেষ্ট শিক্ষাই তাঁহাদের দরকার । ভূগোল এবং বিজ্ঞান চর্চা কৰাও প্রয়োজন । তাহ:দিগকে রাজারাজড়া বা যুদ্ধের ইতিহাস না শিপইয়া সেই সাধুসন্ন্যাসীর ইতিহাস শিপাইতে হইবে, যাহারা জগতে মহৎ কার্য্য কfরয় মহত্বলাভ নীতি এবং সঙ্গীতবিদ তহি:দিগকে শেপনি উচিত । বিভিন্ন প্রকাবের খাদ্যদ্রব্য উৎপন্ন কথিবীর জন্য পুপশোভিত কfধয়:ছেল । স্বস্তা গৃহসকল নিৰ্ম্মণ, উদ্যালরক্ষা, উৎকৃষ্ট বস্থের জন্ম বয়ন এবং উৎকৃষ্ট গৃহনিন্মণের জন্ত স্ত্রধরের কার্য্যও তাহাদিগকে শিক্ষা দেওয়া উচিত । দ্বিতীয়তঃ, চিকিৎসাবিদ্যা তহিদের পক্ষে অপরিহার্য হইয়া পড়িয়াছে । কেননা, ভারতের অধিকাংশ বালকবালিকাই রুগ্ন, অনীহারক্লিষ্ট ও কঙ্কালসার। যতদিন না ভারতে বহুলপরিমাণে হাসপাতাল ও ঔষধালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ততদিন কেহই ভারতবাসীর স্বাস্থ্য দেখিয়া সন্তুষ্ট থাকিতে পরিবে না । কর, বিশেষতঃ গোমহিষাদি গৃহপালিত জন্তুর উপর কর, উঠাইয়া দিতে হইবে । উত্তমর্ণের কবল হইতে তাহাদিগকে উদ্ধার করিতে হইবে এবং যে-সকল আইনব্যবসায়ী দরিদ্রের কলহ হইতে নিজেরা বেশ ভূ-পয়সা উপায় করে তাহীদের হাত হইতেও ইহাদিগকে রক্ষা