পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* Sty {EEF ఏన98ఎ ব বা হপিয়া উঠিয়া মামার পিঠ চাপড়াইলেন, “শালার বুদ্ধি কি !” ইহার পরই আমার মায়ের দু-চোথে অশ্রীর বন ডাকিয়া ওঠা উচিত ছিল এবং তাঁহ র সঙ্গে দুৰ্জ্জয় অভিমান, কারণ র্তীচীর ভাইকে বব অহেতুক গালি দিয়tছন । বোধ করি কিছু হইয়াও থাকিতে পারে, কিন্তু সে নাটকীয় দৃত অমর চোখে পড়ে নাই। এইটুকু মাত্র শুনিয়াছিলাম, মীমা বলি.তছেন, “ছেলে ওঁদের চোখে ধরেছে বলেই এত খরচপত্তর করতে ওঁর পেছপাও হচ্ছেন না ।” অর্থাৎ এই পাত্ৰ কতাপক্ষের দেথা এবং খুব জানা । কারণ ইস্কুলের ছোট-বড় নানা ছুটি উপলক্ষ এই পাত্র যখন ম"তুলালয় যাইত, তখন তার দিন কাটিত ঐ কলাপক্ষের বাড়িতেই । মধ্যাহ্ন-অ হার কালে কণ্ঠার পিতা আমায় ডাকিতেন, “এস, বব:জীবন, পাতা হয়েছে ” “বাবtঞ্জীবন ড:ক জ:ম তব বাজীউ করার অভিলাযে পরিণত,—এরূপ সন্দেহ করা চলে । এই ভূমিকার পর কণ্ঠাপক্ষের দিক হইতে আর কোন সাড়াশব্দ আসিল না । বাবা নিশ্চিন্ত । শুধু মা ছোটখাট দীর্ঘশ্বাস ফেলেন, “বেশ ভালই হয়েছে। মেয়ের বীপের বড় গুমর ” মাঝখান হইতে আমার মাতুললয়ে যাতায়াত কঠিন নিষেধে বন্ধ হইয়া গেল । বলা নিম্প্রয়ে জন যে বিবাহ হইল না । শুধু তাই নয়, আমার ব বার সেকলে দূরদর্শিতায় নিষিদ্ধ প্রেমের কোন জটিল কাণ্ডও জন্মিল না । ঘটনাটা বহু পুরাতন, কিন্তু মনের মধ্যে সহসা এই বিগত দিবসের সুরটা আজই বা কেন বাঞ্জিয়া উঠিল ভাবিতছি । যাই বলি না কেন অতীত বস্তুটা মন নয়। অতীতের স্থত মনের মধ্যে একটা অদ্ভূত মেহ রচনা করিতে পারে। ত’হ না হইল এই পৃথিবীমৃদ্ধ নর-নারী অমন করিয়া ঐ অতীতের পান চাহিয়া থাকিবেই বা কেন ! তাই আমি এত বিপৰ্য্যয়র মধ্য দিয়া আসিয়াও আজ বসিয়া গিয়াছি পুরাতন দিবসর ঝাপসা পাতা উলটাইতে “হায় রে সেকল ! কে থায় গেল বা আমার সেই মামার বড়ি, ম:ম-মামীর আদর নতু, মায়ের ভালবাসা, আর বীপের স্নেহনীড় ! মায়ের ভীরু বুকের তলায় একটি ঘোস্ট-চাকা ছোট্ট বে লইয়া ঘর করার যে-সব সাধ লুকাইয়া রহিয়াfছল, কালের কোলে তাঁর কেনি চিহ্নরেখা আজি নাই । স্মৃতির এই রেশটুকু না থাকিলেও চলিত, কোন ক্ষতিই হইত না ; তবে এই নিভৃত আঁধারে একলা বসিয়া এমনি করিয়া মনের সঙ্গে রঙ্গ-বিলাস রসিয়া রসিয়া উপভোগ করা হইত না । এইখানে একটু ভুল বুঝিবার আশঙ্কা আছে বলিয়াই বলিতেছি, অমর এই কৌমর্য্য বা ভবঘুরে জীবনযাত্রার সঙ্গে উক্ত ঘটনার এতটুকুও সম্বন্ধ নাই। এমন কি, বর্ণনামতই যে ব্যাপারটা ঘটিয়ছিল তাহাও নিশ্চিত করিয়া জানি বলিতে পারি না । বর্ণনটা অমর অনুমন মাত্র । আর আমারও নিশ্চল-লীড় রচিত হইতে বিলম্ব নাই। মাসখানেক হইল শ্ৰীমতী নিভননীর সঙ্গে আমার আলাপ জমিয়াছ এবং সময়ের অল্পত সত্ত্বও আমরা পরস্পরকে বেশী করিয়৷ বুঝিয়া ফেলিয়ছি । ইহার অবগুস্তাবী ফলস্বৰূপে একটি নির্দিষ্ট শুভদিনে তিনি আমার আকাশে ধ্রুবতরীর মত উদিত হইতে সলজে স্বীকৃত হইয়াছেন । সংবাদটা ঘটা করিয়া বন্ধুমহলে প্রচার করার অবশ্যক বোধে আমরা দু-জনে পরামর্শ করিয়া নিমন্ত্রণপত্র আজই ছাপিতে দিয়া আসিয়াছি । ইহার পর এই স্মৃতি-সুরের গুমনকে ব্যর্থ প্রেমের হতাশ প্রণয়ীর হতাশে ছুসি বলা চলে না। উপস্থিত বলা চলে, আমার মনের বর্তমান অবস্থা অনেকটা অত্যন্ত আহলাদে কঁদিয়া ফেলার মত । তাই এই রঙীন স্বপ্ন নিজেকে নিরালা আঁধারে পাইয়া বিস্তৃত স্মৃতির পটে হঠাৎ জমকালো রং চড়াইতে মুরু করিতেছে এবং বোধ করি তাহার সঙ্গে বীপের সেকেলে মতি-গতিকে সংগোপনে স্তুতি করিতেছে । তবুও এমন করিয়া রং চড়ানোর পর্যাপ্ত হেতু ইহা নয়। এখন মনে পড়িতেছে, ইহার হেতু রহিয়াছে, মাসকরেকের পূর্বের একটি ঘটনায় । সেই কথাটা বলি। দেশমাতার সেবা উপলক্ষ্য করিয়া রকৃত দিয়া ঘুরিয়া বেড়াই, বলিতে গেলে আমার পেশাই এই । তাই এক সুদূর পল্পী হইতে ডাক পড়িয়াছিল, বক্তৃতায় যুবশক্তিকে উদ্ধ,দ্ধ করিয়া গায়ে একটি স্থায়ী প্রতিষ্ঠান গড়িয়া ৱিা আসার জন্ত | বড় বক্তা লই, তবে এই কপালে আঁকা ছিল