পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অক্সাজায়গ একেবারে মুখোমুখি কাটিয়েছেন এবং তার ফলে কবিতায়, প্রবন্ধে, ছোটগল্পে, সবার উপরে বিভিন্ন জনকে লেখা পত্রধারাতে এমন অপূৰ্ব্ব সুন্দর পল্লী-চিত্রের স্বষ্টি হয়েছে যার তুলনা আর কোন সাহিত্যে আছে বলে আমার জানা নাই । আগেই বলেছি এই সময়ের ঠিক পূর্বেই জীবনের যা-কিছু জানবার তা প্রায় কবির জানা হয়ে গেছে। এখন নিজের মধ্যে নিজে ডুবে থাকা এবং রঙ্গক্ষেত্রের নির্লিপ্ত দর্শকের মত দূর থেকে জীবনটাকে সহানুভূতিপূর্ণ করুণার চোথে দেখা, এ দুটোই তার পক্ষে খুব সহজ হয়ে এসেছে । চারি পাশের জগৎ তার চোখের ও কানের ভিতর দিয়ে মনে আনন্দের সাড়া তুলছে, কিন্তু সে আনন্দের মধ্যে উচ্ছস একেবারেই নাই, আছে একটি অপার দক্ষিণের ভাব। ঠিক এই কারণেই তার পক্ষে ক্রমাগত সাত-আট বৎসরের বেশীর ভাগ সময় হয় পদ্মার উপর বোটের মধ্যে, নয় জমিদারীর কাছারি-বাড়িতে, প্রায় নিঃসঙ্গ জীবন কটানো মোটেই কষ্টকর হয় নাই বরং অনাবিল আনন্দপুর্ণ ছল ; এবং আমার মনে হয় এই জীবনের বিশেষ প্রয়োজনও ছিল । আমার মত এই সময়টিই কবির জীবনে পূর্ণ ফসলের সময়। সাধনার যুগ ( ১২৯৮, আগ্রহায়ণ থেকে ১৩০২, কাৰ্ত্তি ক ) সমস্তটাই এর মধ্যে পড়ে। সাধনা’র প্রায় মস্তটাই চালানো ছাড়া ঠিক এই সময়ের রচনা—রজি ও ifণা, বিসর্জন, মানসী, চিত্রাঙ্গদা, গৌড়ীয় গলদ, ছোটগল্প, সোনার তরী, বিদায় অভিশাপ, বিচিত্র গল্প ( ১ম ও ২য় (ও), কথা-চতুষ্টয়, চিত্র, গল্প-দশক, ইত্যাদি, ছিন্ন-পত্রে যগুলি স্থান পেয়েছে সেগুলি এবং আরও অনেক পত্র, চতালি, বৈকুণ্ঠর খাতা, পঞ্চভূত, কণিকা, কথা, কাহিনী বং ঠিক এর পরেই ক্ষণিক ৷ পল্লী-চিত্র বলতে এই লখাগুলিতেই সবচেয়ে বেশী পাওয়া যায়, এবং স্বদেশ, মাজ, লোক-সাহিত্য প্রভৃতিতেও কিছু কিছু পাওয়া যায়, দিও এগুলি অনেক পরের। এই সময়টিকে আমরা ম’ট’মুটি শিলাইদহের যুগ বলতে পারি। - আলোচনার সুবিধার জন্তু জমিরা জালোচ্য বিষয়টিকে ই ভাগে ভাগ, কঙ্কৰ । প্রথম, পল্লী-প্রকৃত্তির ব্যক্তিরের क्लेख ; दिठौत्र, नर्झौ-औष:नद्र छिब । भग्नांक्च, gन्ॉल्लङ्ग ২২৭ ছোট ছোট গ্রাম, বাঁধাঘাট, খেয়া-পরিাপার, ওপারের বালি ধুধু করা চর, মাত্র এই পটভূমিকার উপর সকাল, সন্ধা, দুপুর, রাত্রি, শীত, গ্রীয়, বর্ষা, শরৎ এর ফিরে ফিরে আসা—এইগুলিকে কেন্দ্ৰ ক’রে যে একটা পুরা সাহিত্য গড়ে উঠতে পারে এ ধারণ করা শক্ত হ’য়ে উঠত ধদিন রবীন্দ্রনাথ বাস্তবিক তাই ক’রে যেতেন । চিত্র-হিসাবে এগুলির বোধ হয় তুলনা নাই । সেই একই আবেষ্টনী, কিন্তু প্রত্যেকটি চিত্র সমানভাবে উপভোগ্য । সেই পদ্মার উন্মুক্ত প্রশস্তি, অতিদূরবিস্থিত দুই পার, সকলের সোনালি আলো, সন্ধার শাস্ত ছায়া, গ্রামের বধু দর ঘাটে ঘাটে আনাগেনা—ফিরে ফিরে এরাই আসে, কিন্তু কোন চিত্রটিকেই অনাদর করার কথা কারও মনে আসতেই পারে না । এর প্রথম এবং প্রধান কারণ—রবীন্দ্রনাথের মনে এর প্রত্যেকটি যে গভীর এবং অনাবিল আনন্দ নিয়ে আসত, তা যেন আমাদেরও মনে অবশুম্ভাবী রূপে সঞ্চারিত হ’য়ে পড়ে, যেমন— আজি মেঘমুক্ত দিন, প্রসন্ন আকাশ হাসি:ছ বন্ধুর মত ; স্কন্ধর বাতাস মুথ চক্ষ বক্ষ আদি লাগি ছ মধুর— অদৃষ্ঠ অঞ্চল যেন মৃগু দিধধুর উড়িয় পড়ি ছ গায়ে । ভেসে যায় তরী প্রশান্ত পদ্মার স্থির বাক্ষর উপরি তরল কল্লোল। অৰ্দ্ধময় বালুচর দুরে আছে পড়ি, যেন দীর্ঘ জলচর রোদ্র পোহাইছে ; ভাঙা উচ্চ তীর ; ঘনচ্ছায়াপুর্ণ তরু ; প্রচ্ছন্ন কুটীয় ; বক্ৰশীর্ণ পখখানি দূর গ্রাম হ’তে শস্তক্ষেত্র পার হয়ে নামিয়াছে শ্রোতে তৃষ্ণাৰ্ত্ত জিহবার মত ; গ্রামবধূগণ অঞ্চল ভাসায়ে জলে তাকণ্ঠ মগন করিছে কৌতুকলাপ ; উচ্চ মিষ্ট হালি জল কলস্বরে মিশি পশিতেছে আসি কৰ্ণে মোর ; বসি এক বাধা নৌকা পরি বুদ্ধ জেলে গাথে গুলি নত শিল্প করি রৌদ্রে পিঠ দিয়া, উলঙ্গ বালক তার আনন্সে ব্যপায় জলে প-ডু বাল্পস্বার কলহান্তে ; ধৈর্যাময়ী মাতার মতন পদ্মা সহিতেছে তার স্নেহ-জ্বালাতন । " জাতগু পবনে তীয় উপবন হতে ঋতু আসে বহি স্বাম্রমুকুলর গন্ধ ; ঋতু রহি রহি . . . . . ; विश्tअब्र थांख्चब्र · . . --- कांछि दृश्रिद्धरह · ·

    • 舜 -曲