পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লেঙ্গ—সুইজারল্যাণ্ড - ক্রমুখীন্দ্রনাথ সিংহ, বি-এসসি, এমবি অনুপম নৈসর্গিক শোভা সুইজারল্যাণ্ডের বৈশিষ্টা এবং এই বৈশিষ্ট্যের জন্তই পৃথিবীতে এই দেশটার এত খ্যাতি, এ-কথা আমরা শৈশবকাল হইতে শুনিয়া আসিতেছি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্ঘ্যের আদর্শ ধরা হয় এই সুইজারল্যাগুকে । কাশ্মীরকে আমরা ভূস্বর্গ বলিয়া থাকি। আবার ভারতবর্ষের “মুইজারল্যাণ্ড” এই আখ্যাও দেওয়া হইয়া থাকে। কাশ্মীরের বিবরণ পুথি-পুস্তকে যতটা অবগত হইয়াছি তাহাতে এই দুইটির মধ্যে যথেষ্ট সাদৃশু আছে বলিয়াই মনে হয় । বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কল্পনায় সুইজারল্যাণ্ডকে দেখিয়াছি নিছক সৌন্দর্যোর ভাওfর রূপে । সে কল্পনা বাস্তবে পরিণত হইল এবার সুইজারল্যাণ্ডে আসায় । দেখিলাম কল্পনার সঙ্গে বাস্তবের কোন পার্থক্য নাই, বরং বাস্তব হয়ত কল্পনাকে ছাড়াইয়া গিয়াছে ! সুইজারল্যাণ্ডের সৌন্দৰ্য্য সত্যই মন মুগ্ধ করে এবং ইহার বিচিত্র সৌন্দর্ঘ্য প্রাণে অভূতপূৰ্ব্ব তৃপ্তির সঞ্চার করে ; এই পাহাড়ময় দেশটার যে এত সৌন্দর্য্য তা চোখে না-দেখা পৰ্য্যন্ত সম্যক উপলব্ধি করা যায় না । আমাদের চোখে এ সৌন্দর্য্য আরও বিচিত্র লাগে, যখনই দেখি মানুষ তার প্রয়োজন ও অভিরুচি অনুসারে কত পরিবদ্ধন করিয়াছে এবং করিতেছে। প্রকৃতি আর মানুষ এই দুইয়ের সমবেত চেষ্টার সমস্ত দেশটা একটা ছবির মত গড়িয়া উঠিয়াছে। সমস্ত দেশটা জুড়িয়া পাহাড়, ছোট ছোট নদী আর হ্রদ। অবশু আমাদের দেশের মত বড় বড় নদী এদেশে নাই। পাহাড়গুলি প্রধানত: বড় বড় পাইন গাছে চাক, আর যে পাহাড়গুলি গাছপৃষ্ঠ সেগুলি বরফে ঢাকা । মাঝে মাঝে অল্পবিস্তর সমতল ভূমি। গ্রাম, শহর সবই প্রায় পাহাড়ের গীয়ে গায়ে অবস্থিত— স্থানে স্থানে সমভূমির উপর । পাহাড়ের বুকে বড় বড় পাইন গাছের ফাকে ফাঁকে প্রাঙ্গ ও শহরগুলি এত চমৎকার দেখায়—বৰ্ণনা করা চলে না, চোখে দেখিয়া উপভোগ করিতে হয়। লোজান, জেনেভ প্রভৃতি বড় শহরগুলি প্রায়ই হ্রদের তীরে প্রতিষ্ঠিত। হ্রদের তীর হইলেও একেবারে সমভূমি নহে। অধিকাংশ স্থলে পাহাড় ক্রমশঃ ঢালু হইয় হদে গিয়া নামিয়াছে সাধারণতঃ এইরূপ জমির উপর বড় বড় শহরগুলি অবস্থিত পাৰ্ব্বতাদেশ হইলেও জমি খুব উৰ্ব্বর। এ যাবৎ বৃত দূর দেখিয়াছি তাহাতে বরফ-ঢাকা পাহাড়গুলি বাদ দিকে অনুৰ্ব্বর রুক্ষ ভূমি চোখে পড়িয়াছে বলিয়া মনে হয় না সমভূমির ত কথাই নাই, এমন কি ঢালু পাহাড়ে গায়ে পাথর দিয়া বাধিয়া স্তরে স্তরে কৃষিক্ষেত্র কর হইয়াছে। শম্ভজাত দ্রব্যের মধ্যে প্রধানতঃ দ্রাক্ষা ফলমূল, শাকসঙ্গী, আলু, অন্তান্ত তরকারী, গ প্রভৃতি উৎপন্ন হয় । বসন্তকালে সমস্ত দেশটা ভরিয় যায় নানা রকমের নানা রঙের ফুলে—সমস্ত দেশী যেন মস্ত একটা ফুলের বাগান। প্রকৃতির এমনি বিচি লীলা—শীতকালে সব সাদা হইয়া যায়। পাহাড় নদী, হ্রদ, গাছ, বাড়ি, মাঠ সব সাদা । তখনকার চেহার দেখিয়া কল্পনায়ও আসে না যে বরফ পড়া বন্ধ হই:ে এই দেশটাই আবার সবুজ হইয়া যাইবে! ভ্রমণকারীর দী দেশ-দেশান্তর হইতে চুটিয়া আসে সুইজারল্যাণ্ডে এ বোধ হয় সেই জন্ত দেশটা ভরিয়া সুন্দর প্রশস্ত স্নাথ হ্রদের পাশ দিয়া পাহাড়ের গায়ে গায়ে শহর ও গ্রামে ভিতর দিয়া আঁকিয়া-বাকিয়া চলিয়াছে । ভ্রমণকারী দল কেহ বা পায়ে ছাটিয়া, কেহ বা রেলে, কেহ বা মোট সমস্ত দেশময় ঘুরিয়া বেড়াইতেছে ; কেহ বা উঠিঙ্গে সমস্ত বিপদ বাধা তুচ্ছ করিয়া পৰ্ব্বতের চুড়ায়। যে সকলের ভিতর একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা লাগিয়া গিয়াছে— সবচেয়ে বেশী আনন্দ লুটিয়া লইবে এই জপু

  • cगोनcर्षौद्र-छ७ब्र इइrङ । किञतैरनङ्ग छ कक्षह, नाँ

এই দেশবাসীদেরও গুৰুত ভ্রমণ-লিঙ্গ। ছুটয় ীি