পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مسيناصه وبيلا দেশের। মৌলানা আবুল কালাম আজাদের আদি নিবাস কোথায় জানি না । বোম্বাই কংগ্রেসের প্রধান প্রধান কাজ বোম্বাইয়ে কংগ্রেসের গত অধিবেশনে সকলের চেয়ে বেশী সময় গিয়াছে সাবেক ওয়ার্কিং কমিটির সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারা না-গ্ৰহণ না-বর্জন সিদ্ধাস্ত কায়েম রাথিতে । জু-দিন ৯/১০ ঘণ্টা ধরিয়া কেবল ঐ বিষয়েই বাদ-প্রতিবাদ হয় । গোড়া কংগ্রেসওয়ালীরা এখনও বলিতেছেন, “হোয়াইট পেপার আমরা গ্রহণ করিব না, উহা বাতিল হইলেই উহার অন্তর্গত সাম্প্রদায়িক ব:টেীয়রাও বাতিল হইব ; কিন্তু আমরা এখন সাম্প্রদায়িক বাটোয়ার' গ্ৰহণ করিতেছি বলিব না, বর্জন করিতেছিও বলিব না ।” এবম্বিধ অদ্ভূত কথার আলোচনা আগে ইংরেজীতে ও বাংলায় অনেক করিয়াছি । নুতন করিয়া আর কিছু বলিতে ইচ্ছা করে না । তবু বলি, ব্যাপারটা এইরূপ— একটা হাড়িতে চলি ডাল পেঁয়াজ ও অ'লু দিয়া খিচুড়ী রাধা হইয়াছে। কংগ্রেস বলিতেছেন, “আমরা ঐ খিচুড়ী গ্রহণ করিব না, বর্জন করিব ; কিন্তু তাহার অন্তর্গত ডাল গ্রহণও করিব না, বর্জনও করিব না !” আমরা বলি, “যখন বলিতেছেন, খিচুড়ী লইব না, তখনই ত বলা হইয়া গেল, যে, তাহার উপাদানীভূত চাল ডাল পেয়াজ আলু সবই বর্জনীয়। নানা উপাদানে প্রস্তুত একটা সমগ্র জিনিষ অগ্রাহ করিলে, তাহ বজ্জিত হইলে, প্রত্যেকটি উপাদানও ত অগ্রাহ করা হইল ও বজ্জিত হইল, সহজ বুদ্ধিতে ত ইহাই বুঝায় ।” এব'রকার কংগ্রেসের অন্ত প্রধান কার্য, কংগ্রেসের মূল নিয়মাবলী পরিবর্তন এবং ভারতীয় পল্লীশিল্পসংঘ স্থাপন । এই ফুটির কোনটির দ্বারাই সাক্ষাৎ ভাবে রাজনৈতিক কোন কাজ হুইবে না, যদিও পরোক্ষ ভাবে দ্বিতীয়টির দ্বারা ভারতীয় মহাজাতি রাজনৈতিক প্রচেষ্টার জন্ত শক্তি সঞ্চয় করিতে পরিবে । বস্তুতঃ অহিংস অসহযোগ এবং নিক্রিয় প্রতিরোধ ও নিরুপদ্রব আইন লঙ্ঘন স্থগিত রাখার পর কংগ্রেস তাহার জায়গায় নূতন কোন রাজনৈতিক কাৰ্য্যপ্রণালী অবলম্বন করেন নাই | ব্যবস্থাপক সভায় প্রবেশ sఏ98S কংগ্রেসের কতকগুলি লোক করিবেন বটে, কিন্তু উচ্ছ। পুরাতন প্রণালী। কংগ্রেসের মূল নিয়মাবলীর যেরূপ পরিবর্তন হইয়াছে, তাহার স্বীর জাতীয় এই প্রতিষ্ঠান অধিকতর কার্যক্ষম হইবে । ভারতীয় পল্লীশিল্পসংঘ কংগ্রেস মহাত্মা গান্ধীর নিথিলভারতীয় পল্লীশিল্পসংঘ স্থাপনের প্রস্তাবে সায় দিয়াছেন । তাহার প্রস্তাবের মুলীভূত তাৎপৰ্য্য সংক্ষেপে এই যে, পল্লীগ্রামসকলের উন্নতিসাধনের এবং পল্লীসংগঠনের জন্ত বিলুপ্ত ও ধ্বংসেন্মুিখ গ্রাম্যশিল্পসকলের পুনরুজ্জীবন অবশুক ; কংগ্রেসের রাজনৈতিক প্রচেষ্টার সহিত সম্পর্ক বর্জিত হইলেই এই পুনরুজ্জীবনের কাজ ভাল করিয়া হইতে পারে। মহাত্মাজীর পরামর্শ অনুসারে শ্ৰীযুক্ত জে সি কুমারীঃ “নিখিলভারতীয় পল্লীশিল্পসংঘ” নাম দিয়া একটি সমিতি গঠন করিবেন । ইহা পল্লীগ্রাম অঞ্চলের বিলুপ্ত শিল্পসকল পুনরুজ্জীবিত করিবে, ধ্বংসেন্মুখ শিল্পগুলিকে উৎসাহ দিবে, এবং গ্রামবাসীদিগের শারীরিক ও নৈতিক উন্নতির ব্যবস্থা করিবে ; এই উদ্দেশ্রে সংঘ নিজের গঠনবিধি রচনা করিয়া অর্থসংগ্রহ ও অন্তান্ত কাজ করিবে ; এবং কংগ্রসের বার্ষিক অধিবেশনের সময় “নিখিলভারতীয় rostol Ho (All India Spinners' Associationএর ) সহযোগে শিল্পপ্রদর্শনীর বমোবস্ত করিয়া পল্লীবাসীদের আমেীদের সহিত শিক্ষার ব্যবস্থা করিবে । এই সংঘের কাজ সুপরিচালিত হইলে ইহার দ্বার দেশের খুব উপকার হইবে । হরিজনসেবা এবং এই সংঘ পরিচালন---এই উভয়বিধ প্রচেষ্টা মহাত্মা গান্ধীকে সম্ভবতঃ প্রভূত শক্তিশালী করিবে । কিন্তু তিনি, কংগ্রেসের কতক লোকের উপর প্রভাব হারাইয়াছেন বলিয়া এই ভাবে শক্তি পুনলাভের চেষ্টা করিতেছেন, সিন্ধু":শর অন্ততম কংগ্রেসনেতা স্বামী গোবিন্দানন্দের র্তাহার উপর এই উদ্দেশ্যারোপ মানিয়া লওয়া যায় না। মহাত্মা গান্ধীর বিস্তর লোকের উপর প্রভাব আছে।