পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ల్ఫిన్రి ং প্রবাসী; ఎని83 BB DD SB B DDB BBB DD BB BBB SSSSSS BBB BBDD S DDD BBBB BBBB DD পশ্চাৎ’ অর্থেও আমরা ফি রে অথবা ফি রিয়া বলিয়া থাকি । উচ্চারণ করিয়া লইয়াছেন। ইহাদের মুল কি ? তিব্বতীতে ‘আবার’ ও ‘পশ্চাৎ এই বো ল উভয় অর্থেই ফ্যি র শব্দ আছে। ফ্যি র, ও ও. ব ইহার অর্থ ‘ফিরিয়া আসা’। ‘ভ্ৰমণ’ অর্থেও বাঙলাতে ফি রা শব্দের প্রয়োগ আছে ; যেমন, সে ফিরিতেছে । তিববতীতে ফ্যি র এই শব্দের অপর অর্থ ‘বাহির’ ; যেমন, ফ্যি র• ল ‘বাহিরে । এই বহির’ হইতে বাহিরে যাওয়া’ ও তাহ হইতে ‘ভ্ৰমণ' অর্থ হইয়া থাকিবে । এখানে একটা কথা লক্ষ্য করিবার আছে । তিববর্তীতে অনেক প্রদেশে ফ্য উচ্চারিত হয় ছ। আমাদের তিববতী শিক্ষক মহাশয় বলেন সুশিক্ষিত লামারা এই পরিবর্তিত উচ্চারণ করেন না । ইহা হইলে তিববতী ফ্যি র হইতে আলোচ্য বাঙলা শব্দটির আসিতে বাধা থাকে না। অথবা বাঙলা প্রভৃতিতে ‘শব্দ’ অথবা বলা’ অর্থে কোনো-নাকোন আকারে বে ল শব্দ আছে ; যেমন হরি বোল ইত্যাদিতে। হেমচন্দ্রের দে শী নাম মা লা য় (৬.৯%) ইহাকে দেশী শব্দ বলিয়া উল্লেখ করা গিয়াছে, এবং বহু প্রাকৃত গ্রন্থে ইহার প্রয়োগ আছে । হেমচন্দ্র নিজের প্রাকৃত ব্যাকরণের ধাতু-আদেশ প্রকরণে Mব দ ধাতুর স্থানে বো র আদেশ করিয়াছেন। ইহা দ্বারা মনে করিতে হইবে না যে, /বদ ধাতু বো প্ল আকার ধারণ করিয়াছে। ইহার প্রমাণ নাই । তবে বোল শব্দ কোথা হইতে আসিল ? তিববতীতে ‘আহবান’ অর্থে বোল-পো শব্দ আছে। (এখানে পো ধর্তবোর মধ্যে নহে।) ইহাই কি বাঙলা-প্রভৃতিতে আসে নাই ? একাদশী ঐসীতা দেবী প্রৌঢ়বয়সে বিধবা হইয়া নবদুর্গ যেন একেবারে অর্থই জলে পড়িয়া গেলেন। স্বামীর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী তিনি, যতীনপো, সতীনৰিতে বাড়ি ভৰ্ত্তি। তথাপি আদরের স্ত্রী বলিয়া, এই ত্রিশ বৎসরের বিবাহিত জীবন তাহার আনন্দে না কাটুক, উগ্ররকম স্বাধীন ভাবে কাটিয়াছিল। তিনি কোন দিন কাহারও মুখ চাহিয়া থাকেন নাই, পরিবারপরিজন সকলেই তাহর মুখ চাহিয়া থাকত। সংসারের উপর তাহার ছিল অপ্রতিহত ক্ষমতা, স্বামীমুদ্ধ কখনও তাহার কথার উপর কথা বলিতে সাহস করিতেন না । যুবতী পত্নীকে তিনি মুখী করিতে পারেন নাই, তাহ বৃদ্ধ খুব হাড়ে হাড়ে বুঝিতেন, সুতরাং যাহা লইয়া সে ভুলিয়৷ থাকে থাক বলিয়া নবদুর্থার অন্যাস্নরকম প্রভুত্বপরায়ণতারও কখনও বাধা দিতেম সী। - প্রথম পক্ষের মেয়েরা বিবাহ হইয়া যাইবার পর পারতপক্ষে আর বাপের বাড়ির ছায়া সাড়াইত না। সতীনপুত্রদের বিবাহ করিয়া আরও যেন জ্বালা বাড়িয়া গিয়tfছল। এক কানে সৎমায়ের গলাগলি শুনিত, আর এক কানে স্ত্রীদের নালিশ শুনিত । উত্তর তাহদের কিছু বলিবর ছিল না। বীপের থায় তাহার, বীপের গৃহিণীর মুখের উপর কথা বলিব কি করিয়া ? দীতে ষ্টাত ঘষিয়া চুপ করিয়া যাইত। একমাত্র তাহাজের আশার বিষয় ছিল এই যে, নবদুর্গার সন্তানাদি কিছুই হয় নাই। বৃদ্ধ পিতঃ আর কয়দিন ? তাহার পর তাহারাও দেধিয়া লইবে । এক ভয় বাপ পাছে উইল করিয়া সৎমায়ের বিশেষ কিছু সুবিধা করিয়া যান। - সেই ইচ্ছাই বাপেরও ছিল। পৈতৃক সম্পত্তি র্তাহার যাহা ছিল, তাহ অবত পুত্রদেরই প্রাপ্য, তাহা তিনি বেহাত করিতে পারেন না । কিন্তু নগদ কিছু টাকা জমায়াছিলেন এবং কলকাতায় মুৰাৱিগেছে একখানি বাড়ি করিয়াছিলেন। এইগুলি নবৰ্গোকে উইল করি।