পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পেীঘ দিয়া যাইবার কথা ছিল । এমন সময় বিনা মেঘে বজ্রাঘাতের মত বৈধব্য আসিয়া নবদুর্গার ললাটে আগুন ধরাইয়া দিয়া গেল। কর্তা সন্ন্যাসরোগে মারা গেলেন । সতীনপুত্রদের উল্লসিত মুখর দিকে চাহিয়া নবদুর্গার বুকের ভিতর দুরত্বর করিতে লাগিল । পিতৃবিয়োগের শেকও তাহদের এই নিষ্ঠুর আনন্দকে দমাইয়া রাখিতে পারিতেছে না । নবদুর্গ এই মহা সৰ্ব্বনাশের মধ্যেও নিজের কাছে স্বীকার না করিয়া থাকিতে পারিলেন না যে, তহাদের এরকম অস্বাভাবিক ব্যবহার করিবার হেতু তিনিই জুটীয়া দিয়াছেন। তিনি যদি অত পরিপূর্ণরূপে সৎমা-গিরি না ফলাইতেন, তাহা হইলে ইহারাও হয়ত এমন দানবের মুক্তি ধরিত না । কিন্তু সব দোষ কি তঁহারই ? প্রথম যৌবনের সমস্ত আশা, সব রঙীন নেশা তাহার এমন করিয়া ভাঙিয়া দিলেন কেন ? পনের-ষোল বৎসর বয়সে তাহার বিবাহ হইল । বিধবা মাতার কন্ত তিনি, আত্মীয়স্বজনে কোনমতে বুদ্ধের হাতে সমপণ করিয়া নিস্কৃতি লাভ করিল । শুভদৃষ্টিতে ক’নের চোখে যে জল আসিয়া পড়িয়ছিল, তাহা ত কেহ দেখিল না ? ফুলশয্যার রাত্রে দরুণ অসুস্থতার ভান করিয়া সে যে পলায়ন করিয়া অীষ্মরক্ষা করিল, তাহীও কেহ জানিল না । আশভঙ্গের, আনন্দহীন জীবনের যে দারুণ জালায় নবদুর্গার অস্তিত্ব তরিয়া উঠিয়াছিল তাহীর সব ধাক্কাই পোহাইতে হইয়াছিল তাহার স্বামীর প্রথম পক্ষের সস্তানগুলিকে । দোষী তাহারা অবশু নয়, কিন্তু জগতে দোষী-নিৰ্দ্দোষীর বিচার অত চুল চিরিয়া ত হয় না ? এক জনের দোষে আয় এক জন ভুগিতেছে, এ ত সদাসৰ্ব্বদাই দেখা যায়। অশোঁচের দিন ক’টা কোনমতে কাটিয়া গেল। তিনি একলা আপনার ঘরে মুক্তিকাশয্যায় পড়িয়া থাকেন, একবার খান কি না-থান, তাহারও খোজ কেহ করে না । বাড়িতে হবিষ্যকারীদ্ধের জন্ত গাওয়া খি, ফুধ, ফলমূল, মিষ্টান্ন, ভারে ভারে আসে, তাহার নিকট পর্য্যন্ত সেগুলির এক কণাও পৌঁছার না। নামে অশৌচ, কিন্তু সকলের ব্যবহারে ও মুধের ভাৰে মনে হয়, বাড়িতে মূহ একটা আনন্ধের ভূপার ঘটিয়া গিয়াছে 1.’ 3. ': * て、"、". “. . . 感”

r একাদশী

  • Nర్ఫిగి

শ্ৰাদ্ধ-শাস্তি কোন প্রকারে চুকিয়া গেল। কৰ্ত্ত গ্রামের ভিতর মানী ব্যক্তি ছিলেন, তাহার উপযুক্ত ভাবেই তাহার কার্য হইয়া গেল । পরদিন সকাল হইতেই বড় পুত্রবধু তাহার ঘরের দরজার বাহিরে দাড়াইয়া বলিলেন, “ছোটমা, উঠেছ নাকি গো ?” ইতিপূৰ্ব্বে ছেলেরা যাহাই বলুক, বধুরা তাহাকে মা বলিয়াই ডাকিত । এখন তাহদেরও ডাক বদলাইয়াছে। যাক, তাহাতে নবদুর্গার কিছু আসিয়া যায় না। পাতনি । মা হইবার জন্ত র্তাহার কোন ব্যস্ততা নাই। বলিলেন, “উঠেছি, বছা ।” বধু বলি:লন, “তোমার ছেলে বলছিলেন কি, দিনকতক শ"tখরাইল ঘুরে এস। শরীর মনটা ভাল হোক । আমাদেরও একবার হাওয়া বদলাতে বাবার কথা হচ্ছে ” শাখরাঠলে, অর্থাৎ নবদুর্গার মামার বাড়িতে, দুই মামাতে ভাইয়ের সংসার । সেখানে যে তাহার খুব সাদর অভ্যর্থনা হইবে, তাহা মনে করিবার কোন হেতু ছিল না । তবু তাহাকে মন রাখিবর জন্ত বলিতে হইল, “হ্যা, সে ব্যবস্থা আমি করেছি, কালই যাব । তোমাদের আর তা মনে করিয়ে দিতে হবে না।” ঠাকরুণ ভাঙেন তবু মচকান না । বড়বে মুখখানা বিষ্কৃত করিয়া সরিয়া গেল । বলিয়াছেন ষধন তখন নবদুর্গাকে বাইতেই হইবে। গাড়ীর ব্যবস্থা করিতে লোক পঠাইয়া, তিনি জিনিষপত্র গুছাইতে বসিয়া গেলেন । এ-গৃহে অরি তাহার স্থান হইবে কি না তাহা কেই বা জানে ? যতদূর সম্ভব নিজের বহি কিছু আছে তাহ লইয়া যাওয়াই ভাল। যাহা লইয়া বাইতে পারবেন না নিতান্তই, তাহ পাড়াপ্রতিবেশীর ঘরে রাখিয়া যাওয়া ভাল, কারণ এ বtfড়তে রাথিয় গেলে তাহা আর ফিরিয়া পাওয়ার কোনই সম্ভাবনা নাই। কিন্তু কি যে তাহার নিজের জিনিষ তাহা ত ভাবিয়া পাওয়াও তার। নিঃসন্তান বিধবা, তিনি, তাহার কিলেই বা অধিকার স্থাছে ? পৰ্বন্ধের কাপড়-চোপড় এবং গহনা-গীট ভিন্ন হিন্দুসক্সারে স্ত্রীলোকের কিছুই আপনার দিতে থাকেন। কৃপড়চোপড় বার্গার ড়ের ছিল,