পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পোষ লাগিলেন, “হে ঠাকুর, আমার গতি তুমিই করে। দুনিয়ায় ঠাই না হয়, বিদায় ক’রে দাও ।” পাথরের ঠাকুর নীরব হইয়াই রহিলেন । নবদুর্গা পৃঙ্গর আয়োজনাদি করিয়া দিয়া বাহির হইল গেলেন। একাদশীর দিন এ বাড়িতে নিরস্তু উপবাসের ব্যবস্থা । আসাম ও তারা ঠাকুরুণ মেঝের উপর গড়াগড়ি দিতেছেন। নবদুর্গাও অগত্য তাঁহাই করিতেছেন । তৃষ্ণায় তাহার কণ্ঠরোধ হইয়া আসিতেছে। মসিীমা তাহার অবস্থা দখিয়া বলিলেন, “তুই না-হয় এক চোক গঙ্গা জল মুখে দে, মরবি কি শেষকালে ?” নবদুর্গ বলিলেন, “তোমরা সবাই জল খাও ত পারি।” মসিীমা পাশ ফিরিয়া শুইয়া বলিলেন, “ন। বাছা, ৪:ত যে তার অমঙ্গল হবে।” নবদুর্গার হঠাৎ হাসি পাইল । কোথায় কাহার অমঙ্গল ংষ্টবে ? তাহদের মঙ্গল-অমঙ্গলের কথাও কেহ ভাবিল না, দিও রক্তমাংসের দেহ লইয়া তাহারা যন্ত্রণায় ছটফট করিতেছেন । দিন কাটিতে লাগিল । দুঃখ-দুৰ্গতিই বাড়িতে লাগিল, সুখ বাড়িল না । তারার আজ অমুখ, কাল পিসীর বাড়ি নমস্ত্রণ লাগিয়াই আছে । মামীর বাড়ি হইতে নবদুর্গার কাছে চিঠি আসিয়াছে, ভাজ বীপের বাড়ি যাইবেন, আর এক জনের শরীর অতি অসুস্থ । সংসার চালায় কে ? নবদুর্গ যেন অতি শীঘ্ৰ চলিয়া আসেন। রাজলক্ষ্মীর কাপড়ের বাহান লাগিয়াই আছে । একখানির পর একথানি ভাল শাড়ী সে ক্রমাগত হস্তগত 多 একাদশী N9:Nరి করিয়া চলিয়াছে। মসীমাকে বাতে ধরিয়াছে, তাহার হাতপা টেপার উৎপাত অহোরাত্র লাগিয়াই আছে । আবার একাদশী। মসীিমা ঘরে গুইয়া কাৎরাইতেছেন। তারা-ঠাকরুণ কল-ঘরে গিয়াছেন। হঠাৎ হস্তদন্ত হইয়া তিনি ছুটিয়া ঘরে ঢুকিলেন, “ওগো তোমার গুণের বোনঝির কfও দেখ গে।” - মাসীম চকিত হইয় উঠিয়া বসিয়া বলিলেন, “কি করছে সে ?” তারা বলিলেন, “আঁশ হেঁসেলে ব’সে ছ্যাচড়া দিয়ে পিণ্ডি গিলছে ।” “ওমা, সে কি গে৷ ” বলিয়া মসীিমা বিদ্যুদ্বেগে উঠিয়া পড়িলেন। চুটিয়া গিয়া নবদুর্গার পিঠে এক লাথি মারিয়া বলিলেন, “এ কি হচ্ছে লা শতেক খোয়ারী, . মুখপুড়ী ? সকলের নাম ডোবলি ?” নবদুর্গা ভাতের গ্রাস মুথে তুলিতে তুলিতে বলিলেন, “আমার ভাবনা যখন কেউ ভাবলে না মসি, আমিই বা তাদের ভবন অত কেন করতে যাই ?” মসী বলিলেন, “fনজের পথ দেখ বাছা । ও-সব অনাচার সইবে না ।" নবদুর্গ ধারে সুস্থে খাওয়া শেষ করিয়া বলিলেন, “তা ত দেখবই গো । খেটেই যখন খাব, তখন খাটুনি আর খাওয়া-দুটোই যাতে ভালমতে হয়, তা ত দেখতে হবে। বসে থাকার ব্যবস্থা যদি কেউ ক’রে যেত তাহ’লে তার জন্তে শুকিয়ে বসে থাকতাম।” বলিয়া উঠিয়া গিয়া নিজের পোটলা-পুটলি বাধিতে বসিয়া গেলেন । এ-বাড়িতে