পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পোষ রঙ্গিল" নায়ের মাৰি ৩৫৭ নেক প্রভেদ আছে। দেবনাগর অক্ষরে লেখা পুস্তক হিনী গষায় বিম্বানদের হাতে ছিল ও উচু অক্ষরে লেখা পুস্তকনি মুসলমানদের হাতে ছিল। মহম্মদ অশিক্ষিত ছিলেন, iাহার কবিতাতে ব্যাকরণ ও ছন্দের অনেক ভুল ছিল, হিন্দী ণ্ডিতরা অনেক ভুল সংশোধন করিয়াছেন, অতএব উভয়ের ঠে অনেক প্রভেদ হইয়া গিয়াছে। উদু অক্ষরে লেখা স্তকথানি মহম্মদের আসল অবিকৃত রচনা বোধ হয়, সলমানরা সংশোধন চেষ্টা করেন নাই । জায়লী সম্বন্ধে প্রবাদ আছে যে র্তাহার বিকৃত মুখ খিয়া হসিলে তিনি মনে বড় আঘাত পাইতেন, সেইজন্ত তিনি সকলের সম্মুখে বাহির হইতেন না । জায়সের রাজার এক বন্ধু জমীদার তাহার মুথ্যাতি শুনিয় তাহাকে দেখিতে আসিয়া রাজার অতিথি হইয়াছিলেন, পরে কবিকে দেখিয়া হাসিয়া ফেলিয়াছিলেন । মহম্মদ বিরক্ত ও ব্যথিত হইয়া কঠোর ভাবে জিজ্ঞাসা করিলেন, কাহাকে দেখিয়া হাসিতেছ ? হাড়ি দেখিয়া হাসিতেছ, না কুমেরের প্রতি বিদ্রপ করিতেছ? অর্থাৎ আমার মুখ দেখিয়া হাসিতেছ, না আমাকে যে কুস্তকার এইরূপ কদাকার গড়িয়াছে তহিকে বিদ্রপ করিতেছ ? জমীদারটি বড় লজ্জিত হইলেন ও ক্ষমা প্রার্থনা করিলেন । রঙ্গিলা নায়ের মাঝি ঐবিমল মিত্র ন্ধাবেল বউ-ডুবির-চরে নৌকা বাধ হইল। আশার আর নিনের সীমা নাই। যতদূর চাও কেবল জল—ছল-ছল ল-কল শব্দ করিয়া নৌকার গায়ে আসিয়া ঢেউগুলি {াছাড় থাইতেছে। পাশের বউ-ডুবির-চরে ঘন জঙ্গল । নেক দিনের পুরাতন চর ; জঙ্গলও অনেক দিনের। বালুর র ঢালু হইয়া জলের উপর নামিয়া আসিয়াছে। দেখিতে লখিতে আশা একেবারে আত্মহারা হইয়া গেল । মাঝিরা দুই জন নৌকা বাধিয়া তামাক সাজিতে দিয়াছে। চরে নামিয়া হাত-পা ধুইয়াছে। সঙ্গে চিড়ি৷ ড়ি আছে—তাহ দিয়া তাহার শেষবারের মত আহার মাধা করিবে । বিকfলবেলা সুর্য্যাস্তের সময় এবং তাহার আগেও তাহারা গান করিয়াছে। হু-হু-করা বাতাসের ঙ্গে তাহাদের গান চমৎকার লাগিয়াছিল । বনমালী iার আশা সারা বিকাল ধরিয়া একমনে তাঁহাই গুনিয়াছিল। মৎকার গল ; গানটি কাহার রচনা কে জানে–কিন্তু বড় রুণ । পীড়ীগেয়ে গান ; গানের তাৎপৰ্য্য ঃ মাধিকে ডাকিয়া কান বিরহী বলিতেছে, নাই তুমি তো কত দেশ ঘোর, Fত দরিয়া পাড়ি দাও, ভূমি কি আমার বন্ধুর খবর রাখ?-- যদি কখনও তার দেখা পাও, তাকে বলিও আমি তাহার , পথের দিকে চাহিয়া এখনও বসিয়া আছি ,--- ; : ছইয়ের এধারে গলুই-এর কাছে বসিয়া আশা পা দিয়া জল ছিটাইতেছিল । নুতন বউ—বিয়ে হইয়াছে সেদিন – বছরখানেকও হয় নাই—কিন্তু এমন চঞ্চল ! বনমালী যদি হুকুম দেয় তো অাশা এখনই চরে গিয়া বেড়াইয়া আসিতে পারে—তাহার এতটুকু ভয় করিবে না – বনমালী মানা করিল—উছ—পা দিও না জলে—দিও না বলছি—বধু শুনিবে না। জলের ওপর পা দিলে বে কি দোষ হয় তাহ। তাঁহার বোধগম্য হইতেছিল না । বনমালীর কথা না-গুনিয়া আশা তেমনই পা দিয়া জল নাড়াইতে লাগিল । বনমালী বলিল—দিও না বলছি পণ, ও আশা, পী দিও ন—তবু যদি কথা শুনবে—ষে-কথাটি বলব, সেইট—জলে কত কুমীর-হাঙোর অাছে-সাপ-খোপ पंitश् আশা হাসিয়া ফেলিল—ছা, জলে নাকি আবার সাপ থাকে । . . . . -