পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পোষ দিদির দুঃখ \ു. দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়। নটুকে লেখাপড়া শিখাইবেই সে ! কিন্তু সমস্তার শেষ নাই। নটুর কাপড়-চোপড় একেবারেই নাই যে। দেশে শতচ্ছিন্ন বস্ত্রে গ্রন্থি দিয়া পরা চলিত— বিদেশে তাঁহাতে মাথা হেট হয় । স্বামীকে বেশী বলিতে লজ্জা বোধ হয়। নটুর আসার খরচ অনিল কষ্ট করিয়াই জোগাড় করিয়াছে। তবু সে নিজেই নটুকে একজোড় ধুতি কিনিয়া দিয়াছে। এখন দুটি জমা তৈরি করাইতে পারিলেই হয়। শচী অনিলকে এখন আর কিছু বলিবে না । কোন রকমে জামার কাপড় কিনিবে সে । সেলাই শচী জানে না, কিন্তু ইন্দ্রাণী জানে। ভাইফোটার সময় নিজ হাতে ভাইদের সে জমা তৈরি করিয়া পাঠায়। ইন্দ্রাণীর পাশে বসিয়। শচী কতদিন তার ছাট-কাট দেখে— সেলাইয়ের কলের শব্দের সঙ্গে ইন্দ্রাণীর মুখও চলে। কত গল্প করে ইন্দ্রাণী—স্বামীর জন্মদিনে তসরের পাঞ্জাবী সেলাই করিয়া দিয়া চরকা-ব্রেচ উপহার পাইয়াছিল— শচীর এসব অজানা থাকে না । শুনিতে শুনিতে হঠাৎ তার কেন মনে হয়—গরিবদের যেন কিছুই শিখিতে নাই । সেলাই জানিলে যে গরিবেরই কাজে লাগে বেশী । নটুর জমির জন্ত তবু তার চিন্তা লাঘব হয় কতকটা । নিজের অক্ষমতা সে সখীর নিকট পূরাইয়া লইবে । এখন কাপড়-কেনার টাকা হইলেই হয় । প্রত্যহ আনাজপাতি কেনার কিছু পয়সা অনিল তার কাছে রাখে। সে-পয়সা বঁচোইয়া কাপড় কিনিতে গেলে অনেক দেরি । শচীর মনে পড়িয়া যায়—শ্বশুরবাড়ি আসার সময় মা সিঙ্গুরকৌটায় একটি টাকা রাখিয়া শচীর আঁচলে বাধিয়া দিয়াছিলেন । মা’র কষ্টসঞ্চিত স্নেহের দান শচী প্ৰাণ ভরিয়া সে টাকা খরচ করিতে পারে নাই ! এখন তার মনে হয় এর চেয়ে কি আর ভাল কাজে লাগিবে এ টাকা! ভাবিয়া শচী ७९कूझ श्हेब्र ७ै । ८नर्लिमहे भूगादन ब्राङ्गब्र भङ, शङ्ग করিয়া রাখা টাকায় মটুর জামার কাপড় কেন হয় – ইন্দ্রাণীর পেলাই করিয়া দিতে যা দেরি। ইঙ্গণী উৎসছি করিয়াই সেলাই করার ভায় লইয়াছে। কিন্তু শচীকে কাছে থাকিয়া শিখিতে হইবে, এই তার সর্ব।" কঠিন সেলাই সে নিজে করি ফিৰে। জীৱ গৰ" শচীকে করতে ইংৰ। পানি টা ভাড়াতাড়ি কাজ শেষ করিয়া সর্থীর বাড়ি ছুটিল। এখন যাওয়ার সার্থীর অভাব নাই, নটু আছে। দুই সখীর হাসি-গল্পের মধ্যে জামা যখন শেষ হইল শচী একেবারে মুগ্ধ । কে বলিবে দজ্জি করে নাই ? শচীর অপটু হাত কোথাও ধরা যায় না । ইন্দ্রাণীর নিপুণ হাতের গুণেই অবশু ইহ। সম্ভব হইল । বাড়ি গিয়া বোতাম কটি বসাইয়া লইলেই নটু জামা গায়ে দিতে পরিবে । বেলা পড়িয়া গিয়াছিল। শচী যখন পাহাড়ের নীচে নামিল তখন পথে জনতার চাঞ্চল্য পরিস্ফুট । সর্থীকে বিদায় দিয়া ইন্দ্রাণীও ব্যস্ত হাতে কাজে মন দিল । অশোকের আসার সময় হইয়াছে। অশোকের জলখাবার নিজে তৈরি করে সে । আজ তাহা হয় নাই । শেষ করিবার আগেই অশোক আসিয়া পড়িল । পত্নীর অপরিচ্ছন্ন বেশ তার চোখে পড়িতেই সে সহ্যস্ত মুখে বলিল—সখী-সমাগম হয়েছিল বুঝি ! - অশোকের পরিচর্য্যা শেষ করিয়া ইন্দ্রাণী নিজের দিকে একটু মন দিবার চেষ্টা করিতেছিল, অশোক ডাকিয়া বলিল— ঘড়িটা কোথায় ? আজি নিয়ে যেতে মনে ছিল না । কোথায় তুলে রেখেছ বল ত? ইন্দ্রাণী উঠিল না, চুলে চিরুণী চালাইতে চালাইতে বলিল-স্তাথো না ঐ দেরাজের কাছটিতেই তুমি যেখানে রাখ সেখানেই আছে ত ! —না-না নেই, সরিয়ে রেখে দুষ্ট.মি করা হচ্ছে – ইন্দ্রাণী তথাপি নড়িল না, এ শুধু তাকে কাছে লওয়ার ফনী। ঘড়ি সে কিছুক্ষণ পূৰ্ব্বে পানের ডিবা আনিতে গিয়া দেখিয়াছে ! কিন্তু অশোকের ব্যস্ততার চুলবাধী ফেলিয়া উঠিতে হইল শেষ পর্য্যস্ত। বাপের বাড়ি হইতে আনা, পুরাতন দাসী মুখীও বলিতেছে, জামাই বাবু খুঁজে হায়রন ছলেন, তুমি একবার দেখছ না দিদিমণি ! তার পর সকলের মিলিত তল্লাসেও প্রাধিত বোটি কাহারও ময়নগোচর হইল না । অশোক রাগিয়াছিল। কেউ নিয়েছে ঘড়ি, ডাক চাকরबकत्व नवांश्रु। रञ्जनौ७ भरिङ इन्चाहिलू। ८क দিতে পারে ? জুল য়ে দেয়. লে ত ধরেই জালে না। ঠাকুর রক্ষা করিয়াই ক্রমণে স্বাস্থ সন্ধ্যায় ফেরে। শুধু dो मूख्न छांकङ्ग *च्यांश्व?}-8झाङ cछांt५ अtनांक छांशंtक