পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতে মনঃসমীক্ষা ঐরবীন্দ্রনাথ ঘোষ xa:Histortą Nostgën efsoff Psycho-analysis i এই নববিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠাতা, স্রষ্টা, এবং প্রচারক ডাঃ সিগমুণ্ড ফ্ৰয়ড। তিনি নিজে ১৯১৪ খ্ৰীষ্টাব্দে Maori witHino of setà (On the History of Psycho-analytical Movement)ator of লিখেছেন, “washiro wins; oft” (“psycho-analysis is my creation”)। মনঃসমীক্ষার স্বষ্টিতে প্রকারাস্তরে অনেকে সাহায্য করেছেন। ডাঃ ব্ৰয়র (Brewer ), ডাঃ সারকে (Charoot) e sf: carta (Chrobak)-să ițetti ডাঃ ফ্ৰয়ড যখন মানসিক রোগের আলোচনা ও পরীক্ষা করছিলেন তখন থেকেই তিনি মনঃসমীক্ষার ইঙ্গিত পান। কিন্তু যখন মনঃসমীক্ষা বিজ্ঞান হয়ে জ্ঞানী ও বিজ্ঞানীদের সামনে এসে হাজির হ’ল, তখন যে নিনা ও অশ্রদ্ধা এই নবমুকুলিত বিজ্ঞানকে উদ্দেশ করে এর স্রষ্টার ওপর বর্ষিত হতে লাগল, ফ্রয়ডই হলেন তার একমাত্র লক্ষ্য | মনঃসমীক্ষার জন্ম হয়েছে মানসিক রোগের ধারা ও নিরাময়তার উপায় অনুসন্ধান করার ফলে। ১৮৮০৮২ সালে ব্ৰয়র সাহেবের কাছে শিক্ষানবীশীকালে ফ্ৰয়ড যখন এক হিষ্টিরিয়াগ্রস্ত রোগীণীকে আরোগ্য করবার চেষ্ট৷ করছিলেন তখন তিনি মনঃসমীক্ষার পথ খুঁজে পান । রোগীণী নিজের গত জীবনের ঘটনাবলী সহানুভূতিসম্পন্ন চিকিৎসকের কাছে নিঃসঙ্কোচে বলে ধান । এই বলে যাওয়ার ফলে র্তার মানসিক অবস্থা ক্রমশঃ স্বাভাবিক হয়ে আসছিল। ষে-ব্যক্তি কোষ্ঠবদ্ধতায় কষ্ট পাচ্ছেন, কায়িক চিকিৎসকেরা তার শারীরিক উন্নতির জন্ত জোলাপের ব্যবস্থা ক’রে থাকেন । জোলাপের সাহায্যে দেহে আবদ্ধ মল মিক্রমণের পথ পার এবং এই নিষ্কৃতি দৈহিক অবস্থাকে সহজ ক'রে দেয় । ফ্রয়ড মনের নিরুদ্ধ আবেগকে বাইরে আনবার জন্ত ঐন্ধপ উপায়ের সাহায্য নিয়েছেন এবং এই পদ্ধতির নাম দিয়েছেন Cathersis বা বিরেচন । এই বিদ্যার উদ্ভাবন ও প্রচলনের আগেও মনের রোগের কারণ নির্ণয় ও আরোগোর চেষ্ট চিকিৎসকদের মধ্যে দেথা দিয়েছিল । সাইকিয়েী ( Psychiatry ) নাম নিয়ে বে-বিদ্যা পিনেল (Pinel)-এর সময় থেকে চলে আসছিল, তারও একটা উদ্দেশু মানসিক রোগের আলোচনা । ফ্রয়ডের সময় ডাঃ সারকে এই দলের নেতা । ফ্রয়ড তার কাছে ছাত্র-হিসাবে যান। সাইকিয়েন্ত্রীর যুগে মনের রোগ সারাবার ব্যবস্থা হ’ত রোগীকে সংবেশিত (hypnotize) ș’tą i Herget=TH (hypnosis ) Hitzfzās রোগীর স্বাভাবিক মনের বাধীকে নিক্রিয় ক’রে চিকিৎসক তার ওপর অভিভাবের ( suggestion ) প্রয়োগ করতেন । তার ফলে রোগের মাত্রার কিছু উপশম হলেও রোগী সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিক হত না। পূৰ্ব্বতন মন-চিকিৎসকগণ ( Psychiatrists ) রোগীর মনের বিকাশ ও প্রকাশের দিকে বিশেষ মনোযোগ দিতেন না । উক্ত উপায়ে চিকিৎসা করার পর রোগীর সেই মানসিক ব্যাধি থেকে পুনরাক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যেত। আরও দেখা গেল, অনেক ব্যাধিগ্রস্তকে সংবেশিত করা সম্ভবপর নয় । ডাঃ সিগমুণ্ড ফ্রয়ডই প্রথম রোগীর মানসিক রোগের উৎপত্তির ইতিহাস ও ধারা অবলম্বন ক’রে তার মনের সঙ্গে পরিচয় স্থাপনের চেষ্টা করলেন। তার প্রথানুযায়ী মনের বিকার লক্ষ্য ক’রে মনের স্বাভাবিক অবস্থা সম্বন্ধে জ্ঞানলাভ ও ধারণা করা যায়। কি ক’রে তিনি এই বিদ্যার ভিত্তি বিজ্ঞানের সংজ্ঞার ওপর প্রতিষ্ঠিত করলেন সে- , সব কথার বিশদ আলোচনা বৰ্ত্তমান প্রবন্ধে সম্ভব নয় । ফ্ৰয়ড নিজে তিনটি প্রবন্ধে তাঁর আলোচনা করেছেন-প্রথম ১৯১০ সালে ক্লার্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতাকালে The Origin and Development of Psycho-analysis of e-TE | 3