পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a.৫পস্থিৰ, ভারতে মনঃসমীক্ষা \こb-> বলা যায় কিনা সন্দেহ । ১৯১৯ সালে ডাঃ বার্কলে হিল রাচির পাগলগিারদের তত্ত্বাবধায়ক হয়ে এদেশে আসেন । তিনি মনঃসমীক্ষার চর্চা করেছেন এবং নিজে সমীক্ষক । তিনি বিলাতে সমীক্ষিত হয়েছিলেন । ১৯২১ সালে মনঃসমীক্ষা সম্বন্ধে তার প্রথম প্রবন্ধ প্রকাশিত হয় ইংরেজী ভাষায় এবং ইউরোপীয় পত্রিকায় । ১৯২২ সালে ভা: গিরীন্দ্রশেখর বস্তু কলিকাতা-বিশ্ববিদ্যালয়ের অপমনোবিদ্যার ( Abnormal Psychology ) শিক্ষক নযুক্ত হন । তিনি মনঃসমীক্ষার শিক্ষা দিতে অরম্ভ করেন । অপমনোবিদ্যার শিক্ষক হিসাবে শ্ৰীযুক্ত মন্মথনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডাঃ বিমলচন্দ্র ঘোষ এবং তার পরে খ্ৰীযুক্ত হরিপদ মাইতির নাম উল্লেখযোগ্য । ডাঃ বিমলচন্দ্র ঘোষ মনোচিকিৎসক (Psychiatrist), কিন্তু সমীক্ষক নন । মনঃসমীক্ষার কেন্দ্রীভূত আলোচনার সুবিধার জন্ত ১৯২২ সালে ডাঃ গিরীন্দ্রশেখর বসু তার কয়েক জন বন্ধু এবং সহকৰ্ম্মীর সাহায্যে একটি পরিষৎ গড়ে তোলেন । এর প্রধান উদ্দেশ্য মনঃসমীক্ষা অনুশীলন, শিক্ষা ও প্রচার । ১৯২২ সালে মনঃসমীক্ষা-পরিষৎ ( Indian PsychoSociety ) স্থাপিত হয়ে অস্তি জাতিক মনঃসমীক্ষা - সমবায়ের Psychoanalytical Association) HC- FS F . Et: IT তার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং তার বাড়িতে পরিষদের কার্য্যালয় এবং সভা হ’ত । ডাঃ নরেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত, গোবিন্দচন্দ্র বোরা, হরিপদ মাইতি, সুহৃৎ চন্দ্র মিত্র ও গোপেশ্বর পাল—ভারতীয় মনঃসমীক্ষা-পরিষদের প্রথম সভোর দল। তথন পৃথিবীর মধ্যে আটটি আন্তজাতিক মন সমীক্ষা-সমবায়ের মাত্র আটটি শাখা-পরিষদ ছিল । আমেরিকায় দুইট, ইংলণ্ডে একটি, জাৰ্ম্মানীতে একটি, এবং হলাও, সুইটস্তারল্যাণ্ড, হাঙ্গেরী এবং অষ্ট্রীয় প্রত্যেক দেশে একটি ক’রে শাখ;-পরিষদ ছিল। এশিয়ায় একটিও ছিল না । জাপানে ভারতবর্ষের পরে শাখা হয়েছে। ঐ সমবায়ের মুখপত্র ভাবে জাৰ্ম্মান ভাষায় একটি এবং ইংরেজীতে একটি পত্রিকা আছে । ১৯২২ সালে ভারতের মনঃসমীক্ষার নেতা আস্তর্জাতিক মনঃসমীক্ষণক্ষমবায়ের ইংরেজী মুখপত্র ইনটারন্তাশানাল জার্নাল অফ সাইকোএনালিসিস-এর analytical ( International সাহায্যকারী-সম্পাদকমণ্ডলীর মধ্যে গণ্য হন । এর অনেক আগে থাকতে তিনি বিলাতী কাগজে মনঃসমীক্ষা সম্বন্ধে প্রবন্ধ লিখতেন । ভারতীয় মনঃসমীক্ষা-পরিষদের একটি পুস্তকাগার আছে। মনঃসমীক্ষা সম্বন্ধীয় পুস্তকই সেখানে থাকে এবং উৎসুক ছাত্ৰগণের মধ্যে মনঃসমীক্ষা-শিক্ষার জন্ত একটি কেন্দ্র আছে । শিক্ষিত ব্যক্তিমত্রই সেখানে উক্ত বিষয়ে শিক্ষালাভ করতে পারেন । ভারতের নানা জায়গা থেকে এখানে ছাত্র আসে। ভারতীয় মনঃসমীক্ষা-পরিষদের সভ্যতালিকায় অনেক ইউরোপীয় এবং সৈন্ত-বিভাগের চিকিৎসকেরা আছেন । যারা চিকিৎসা-ব্যাপারে সম্যকভাবে মনঃসমীক্ষা প্রয়োগ করতে পারেন এমন বিশেষজ্ঞদের একটি তালিকা উক্ত পরিষদ তৈরি করেছেন। ঐ তালিকাভুক্ত ব্যক্তিগণই পরিষদকর্তৃক সমীক্ষক ব’লে গণ্য এবং অস্তি জাতিক মনঃসমীক্ষা-সমবায় দ্বারা অনুমোদিত । যারা শিক্ষার্থী হয়ে আসেন তাদের মানসিক ব্যাধি নাথাকলেও সমীক্ষার নিয়ম অনুযায়ী নিজের মন অপর সমীক্ষকের কাছে সম্পূর্ণভাবে সমীক্ষিত হ’তে দিতে হয়। প্রায় তিন বছর শিক্ষালাভের পর তিনি সমীক্ষণ কাজে অধিকারী ব’লে গণ্য হন । এই সম্পর্কে বলা দরকার, এক ভারতবর্ষেই প্রথম থেকে মনঃসমীক্ষা কায়চিকিৎসক ব্যতীত অপরের মধ্যে আলোচিত ও ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যারা কায়-চিকিৎসক নন অথচ সমীক্ষা ক’রে থাকেন তাদের সাধারণতঃ "লে-এনালিষ্ট’ (Lay-analyst ) বলা হয় । এদের মানসিক ব্যাধির চিকিৎসার অধিকার নিয়ে ইউরোপে বিতর্ক উঠেছিল এবং র্তাদের অধিকার স্বীকার ক’রে ফ্রয়ড নিজে প্রবন্ধ লিখেছেন । তবু তাদের সম্পর্কে 'লে-এনালিষ্ট ব’লে তাদের সঙ্গে এক হ’তে বাধা আছে, প্রমাণ করা হয়েছে। ভারতবর্ষে সে ভাব সাধারণ কিংবা সমীক্ষকদের মনে আসে নি । ১৯২২ সালে ভারতীয় মনোবিদ্যা সমিতি (Indian Psychologicial Association) প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯২৫ সাল থেকে কলিকাতা-বিশ্ববিদ্যালরের সাহায্যে একটি ত্রৈমাসিক মুখপত্র ‘ইণ্ডিয়ান জানাল অফ, সাইকলজী