পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পোষ ৰাণীবন বালিক্ষণ-বিদ্যালয় N9ఫి( বাড়িতেই প্রথমে শিক্ষার ব্যবস্থা করেন। ক্রমে পল্লীতে ব্রহ্মের সংখ্যা বাড়িতে থাকে । তথন শুধু নিজেদের নয় গ্রামের অন্ত ললিক - বালিকারও যাহাতে শিক্ষার সুযোগ লাভ করে সেই জন্য তাহারা একটি নিম্নপ্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেন। স্থানটি কলিকাতার নিকটবৰ্ত্তী হইলেও শিক্ষায় অত্যন্ত পশ্চাৎপদ । সেই জু কর্তৃপক্ষ ব্রাহ্ম বাতীত স্থানীয় অন্যান্য বালিকাদিগের নিকট হইতে কfন বেতন লইতেন না এবং এখনও তহরিা বিনা বেতনেই পড়িতেছে । ক্রমে বিদ্যালয়টির উন্নতি হইতে থাকে এবং গবর্ণমেণ্টের সাহাধা প্রাপ্ত হইয়া মধা-ইংরেজী বিদ্যালয়ে পরিণত হয় । সতের বৎসর হইল বিদ্যালয়-সংলগ্ন একটি ছাত্রীনিবাস খালা হইয়াছে । ঐ ছাত্রীনিবাসে ঙ্গিদেশের বিভিন্ন দশ-বারোটি জলার, এমন কি সুদূর আসাম ৪ মন্দ্রিজি হইতেও বালিকার আসিয়া বাস করিতেছে । ছাত্রী নবাসে কুমারী ও বিবাহিত বাণীবঙ্গ বালিক-বিদ্যালয়ের বালিকাগণ থেলিতেছে অল্পবয়স্ক বিধবাকে লওয়া হয় । মল্প-আয়-বিশিষ্ট গরিব ভদ্রলোকদের সুবিধার জন্ত বেতন থাসম্ভব কম করা হইয়াছে। বোর্ডিং ও স্কুলের বেতন কত্রে মাসিক সাত টাকা মাত্র। বেতন এত কম করাতে হু দরিদ্র বালিকা ও বালবিধবা আজ শিক্ষাপ্রাপ্ত হইয়া আত্মনির্ভরশীল হুইয়াছে। সাধারণ শিক্ষা ব্যতীত এখানে সেলাই, অঙ্কন, মডেলিং, রক ও তাত শিক্ষণ দেওয়া হইয় থাকে। বালিকাদের iারীরিক, মানসিক ও নৈতিক সৰ্ব্বপ্রকার উন্নতি যাহাতে হয় সেই চেষ্টাই বিদ্যালয়ের শিক্ষয়িত্রীগণু ও কর্তৃপক্ষ সৰ্ব্বদ। করিয়া থাকেন । ছাত্রীনিবাসে বালিকাগণ বিলাসিতাবর্জিত অনাড়ম্বর সরল জীবন যাপন করিতে শিক্ষা লাভ করে । গৃহের স্তায় এখানেও তাহদের কিছু কিছু গৃহস্থালীর কাজ করিতে হয় এবং তাছার সাহাতে সাংসারিক কৰ্ম্মে নিপুণ হইতে পারে সেইদিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখা হয়। প্রতিদিন বিদ্যালয় হইতে ফিরিয়া ৰালিকাগণ খেলাধুলা করে এবং মধ্যে মধ্যে তাহাদিগকে মান স্থানে বেড়াইতে লইয়া