পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

赞 .৫প্রেবাসী; ఎ98ఎ: سر1

ব্যক্তিতেই হইতে পারিত। কিন্তু এখন উর্দু একটা আমাদের উদ্দেশু নহে। আমরা শুধু ভাবিতে চাই, আন্তর্জাতিক সম্বন্ধের মধ্যেও পরিগণিত হইয়াষ্ট্রে এখন চরিত্র-নীতির উপর ইহার প্রভাব কিরূপ দাড়াইবে! এক জাতিও আর এক জাতির নিকট ঋণী হইt পূরে। বিগত ইউরোপীয় মহাসমরের পরে জগতের প্রধন প্রধান জাতিগুলি প্রায় সকলেই এই সম্পর্কে আবদ্ধ হইয়াড়িয়াছে। জাম্মেনী প্রভৃতি কয়েকটি জাঞ্ছি ফ্রান্স ও ইংল্যর নিকট ঋণী হইয়া পড়িয়াছে এবং ফ্রান্স, ইংলণ্ড ষ্ট্রভৃতিও আমেরিকার নিকট ঋণী হইয়া আছে। ঋণের এ জায়ুনিক পরিণতি-ইহার এই আঞ্জাতিক ভাব, শুধু যে ধনধিজ্ঞানের একটা নূতন সমস্তার সৃষ্টি रुद्भिशयं তা নয় ; ইহর ফলে জগতের "ক্তিসমূঃ কৰ্ত্তব্যাকৰ্ত্তৰ বিচারেও একটা নুতন ধারা প্ৰবৰ্ত্তিত হইয়াছে । অধমৰ্ণ }ने তাহার ঋণ অস্বীকার করে কিংবা উহা পরিশোধ করি না-চায়, তবে সেট তার পক্ষে নিন্দনীয় ; এখনও আমিঃ অনেকেই হােত তাই মনে করি। কিন্তু এই সেদিন ইংলষ্ট তার ঋণ দিতে অস্বীকার করিল –অজুহাত ঠায়ের কি দিয়া কিছু নাই, কিন্তু অর্থনীতির দিক দিয়া অনেক কথা বলা হইয়াছে। এ-সম্পর্কে ধনবিজ্ঞানের যে-}ব | কূটতর্ক উপস্থাপিত করা হইয়াছে, তাৰ নিশ্চয়ই খুব জটিল এবং শিক্ষাপ্রদ। ঋণ নগদ টাকা #িাও শোধ করা, আবার সেই মুলোর বাণিজ্যদ্রব্য দিয়াওiশাধ করা যায়। এক জাতি যখন আর এক জাতির প্রাপ্য খাঁ শোধ করিবে, তখন এছুইয়ের কোন উপায়ে শোধ . কোন উপায় শোধ করিলে আন্তান্ত নিরপেক্ষ জারি, অর্থাৎ সমগ্র জগতের উপকার হইবে ? এই বিরা প্ৰশর উত্তর আমেরিক একরূপ দেয়, আর ইংলণ্ড দেয় tার মতের মিল হইল না, সুতরাং অী শোধ করা স্থগিত রাখিল । তা ছাড়া, আরও এর চেয়ে বড়ুএকটা তর্ক আছে। আমেরিক অত্যন্ত ধনী দেশ–বং ন! টাকা ও সোনারূপ তার মজুদ আছে। এক্ষেত্রে যদি তার দেনা শোধ করিয়া আমেরিকাকে আরওঁনী করি দেয়, তবে তাতে কি পৃথিবীর অমঙ্গলের নাই ? এই সব প্রশ্ন লইয়া আলোচনা আন্দোলন চীতছে ; এবং নিশ্চয়ই । আরও কিছুকাল চলিবে । কিন্তু এkন্ধে কোন মত-প্রকাশ বদি কোন ব্যক্তি সে-কথা পালন না করিতে চায়; তবে ইংলগু ঋণ দিতে নারাজ হইয়াছে ; সুযোগ বুঝিয়া জাৰ্ম্মেনীও তার দেনা দিতে অস্বীকার করিতেছে। তার যুক্তি সরল ; বে-দেনার বোঝা তার কঁধে চাপানো হইয়াছে, সে-সব শোধ করিতে গেলে সে আর মাথা তুলিতে পারিবে না। এ-দেন। অবশ্যই এক সময়ে সে স্বীকার করিয়াছিল, কিন্তু সে ত দায়ে পড়িয়া । তার পরাজয়ের সুবিধা পাইয়া বিজেতারা তার স্কন্ধে যে ঋণের ভার চাপাইয়াছিল, আজ সে উহা অস্বীকার করিবার মত শক্তি রাখে, সুতরাং উহা সে অস্বীকার করিতেছে। মনে পড়ে ভীষ্মের কথা । পিতার একটা দুৰ্ব্বলতার জন্ত হস্তিনাপুরের রাজসিংহাসনের উত্তরাধিকারী এক ধীবরের নিকট একটা কথা দিয়াছিল ; বলিয়াছিল, রাজমুকুট পরিব না এবং চিরকাল অকৃতদার থাকিব। সেই কথার উপর নির্ভর করিয়া ধীবর ভীষ্মের পিতার সঙ্গে তার কন্যার বিবাহ দেয়। এই বিবাহের পর ভীষ্ম যদি বিবাহ করিতে চাহিতেন, তাহা হইলে হয়ত পারি তন ; আর পিতার মৃত্যুর পর যদি তিনি বিবাহ করিতে চাহিতেন, তবে, পৃথিবীতে এমন কোন শক্তি ছিল না যাহা তাহাকে প্রতিরোধ করিতে পারিত। কিন্তু ভীষ্মের প্রতিজ্ঞ সুবিধা-অসুবিধা বিচার করে নাই। আবার যখন তার বৈমাত্রেয় ভাইয়ের নিঃসস্তান মারা গেলেন, তখন এই ধীবরকস্তা রাণী সত্যবর্তীই ভীষ্মকে দারপরিগ্রহের জন্ত কত অনুরোধ করিলেন ! তথাপি ভীষ্মের প্রতিজ্ঞ টলিল না । কথা দিয়া সে-কথার অবমানন! হস্তিনাপুরের রাজার ছেলে করিতে পারে না । ভীষ্ম ত এ-কথা বলেন নাই, বিপদে পড়িয়া একটা কথা বলিয়াছি, এখন ত আর সে বিপদ নাই, সুতরাং সে-কথাও আর রক্ষা কৱ? চলে না । আজি জাৰ্ম্মেনীর ষে যুক্তি তাহা ভীষ্মের সময়েও যুক্তি হইতে পারিত, কিন্তু হয় নাই। এই ছিল প্রাচীন আদর্শ। ব্যক্তির জীবনে এখমও এই আদর্শ বর্তমান রছিয়াছে বলিয়া মনে হয়। এখনও কথা দিয়া যে-কোন জা, আমরা তার নিনা করি। কিন্তু আস্তর্জাতিক সম্পর্কের