পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পোষ দৃষ্টি-প্রদীপ Boసి আলো জেলে আমার হাতে দেশলাই দিয়ে আমার মুখের অসহায় ভঙ্গীর দিকে চেয়ে গলা কেমন এক ধরণে উচু ক’রে হেসে উঠল—ছুটোছুটির ফলে কনের পাশের চুল আলুথালু হয়ে মুখের দু-পাশে পড়েছে, ফুল্ল শ্রমোজল গণ্ডদেশে বিন্দু বিন্দু ঘাম। চোখে উজ্জল কৌতুকের হাসি—দু-জনে মিলে আলো ধরাচ্ছি, ওর মুখ আমার মুখের অত্যন্ত কাছে—সেই মুহূর্তে আমি ওর দিকে চাইলাম—আমার মনে হ’ল মালতীকে এতদিন ঠিক দেখি নি, আমি ওকে নতুন রূপে দেখলাম, ওর বিজয়িনী নারী রূপে। মনে হ’ল মালতী সত্যিই সুন্দরী, অপূৰ্ব্ব সুন্দরী।– কিন্তু বেশীক্ষণ দেথার অবকাশ পেলাম না ওর সে রূপ, আলো জেলেই ও আবার ছুটল এবং আমার আনাড়ি-সাহায্যের অপেক্ষা না ক’রেই বাকী জিনিষ আধ-ভেজা, আধ-শুকনো অবস্থায় অল্প সময়ের মধ্যে দাওয়ায় এনে জড়ো করলে !... এক দিন পুকুরে সকালের দিকে ঘড়া বুকে দিয়ে সাতার দিতে দিতে মালতী গিয়ে পড়েছে গভীর জলে । সেই সময় আমিও জলে নেমেছি । আমি জানতাম না যে ও এ-সময়ে লাইতে এসেছে, কারণ সাধারণতঃ ও স্নান করে অনেক বেলায়, আখড়ার কাজকৰ্ম্ম মিটিয়ে । নাইতে নাইতে একটা অস্পষ্ট শব্দ শুনে চেয়ে দেখি মালতী নেই, তার ঘড়াও নেই । আমি প্রথমে ভাবলাম মালতী মাঝপুকুরে ইচ্ছে ক’রে ডুব দিয়েছে বোধ হয় । বিশেষতঃ সে সাতার জানে—কিন্তু থানিক পরে যখন ও উঠল না, তখন আমার ভয় হ’ল, আমি তাড়াতাড়ি সেখানটাতে সাতার দিয়ে গেলাম, হাতড়ে দেখি মালতী নেই, ডুব দিয়ে এদিক-ওদিক খুজতে খুঁজতে ওকে পেলাম-চুলে কাপড় জড়িয়ে গিয়েছে কেমন বেকায়ায়, অতিকষ্টে তাকে ভাসিয়ে নিজে ডুবে জল খেতে খেতে ডাঙার কাছে নিয়ে এলুম। মালতী তখন অৰ্দ্ধ-অচৈতন্ত, আমার ডাক গুনে আখড়া থেকে সম্বাই ছুটে এল-মিনিট अँझ-झ्द्र श्रद्दङ्ग७द्र श्रीङ्ग एइ झण । लेकरु शायी क्कहण, আমি অকলাম; সবাই ৰঞ্চলে । এই নিটা খেৰে এর ওপর আমার একটা কি যে নাম BBBBS BBBBS BBBB BBDD DD BBBSBBB S tR-9 থেটে মরে । ওর বাপের ধানের জমির উপস্বত্ব আখড়ামৃদ্ধ বৈষ্ণব বাবাজীরা ভোগ করছে, কিন্তু ওর মুখের দিকে চাইবার কেউ নেই ? ও সকলের ময়লা জামা-কাপড় কেচে বেড়াবে, ভাত রোধে খাওয়াবে-সৰ্ব্বরকমে সেবা করবে, ওকে ছেলেমানুষ পেয়ে সবাই ওকে মুখের মিষ্টি তোষামোদে নাচিয়ে নিজেদের স্বাথ ষোল অনার ওপর সতের আনা বজায় রাখছে, কিন্তু ওর সুখ-দুঃখ কেউ দেখুছে ? এই যে আজ পুকুরের ঘাটে ডুবে মরে যাচ্ছিল আর একটু হ’লে আমি যদি না থাকৃতাম ! ভগবান আমাকে এ কিসের মধ্যে এনে ফেললেন, এ কি জালে দিন-দিন জড়িয়ে পড়ছি আমি ! এদের আখড়াতে যে বিগ্রহ আছেন, তাকে এরা মানুষের মত সেবা করে। সকালবেল তাকে বাল্যভোগ দেওয়া হয়, দুপুরের ভোগ ত আছেই । ভোগের পর দুপুরে বিগ্রহকে খাটে শুইয়ে মশারি টাঙিয়ে দেওয়া হয় । বৈকালে বৈকালিক ভোগ দেওয়া হয়—ফল, মিষ্টায় । রাত্রে আবার থাটে শুইয়ে মশারি টাঙিয়ে দেয়—শীতের রাত্রেবিগ্রহের গায়ে লেপ, আশপাশে বালিশ । উদ্ধব দাস বাবাজী সেদিন লাল শালু কাপড়ের ভাল লেপ ক'রে এনেচে বিগ্রহের ব্যবহারের জঙ্গে—আগের লেপটা অব্যবহার্য হয়ে গিয়েছিল । এ-সব পুতুল-খেলা দেখলে আমার হাসি পায়, সেদিন সন্ধ্যার সময় এক পেয়ে মালতীকে বললাম—তোমাদের এতদিন হুস ছিল না মালতী ? ছোড়া লেপট এই শীতে কি য’লে দিতে ঠাকুরকে ? যদি অমুখ-বিমুখ হ’ত, এই তেপাস্তরের মাঠে না ডাক্তার, না কবিরাজ, দেখত কে তখন ? ছিঃ ছিঃ, কি কাও তোমাদের ? মালতী রাগে মুগ্ধ ঘুরিয়ে চলে গেল । ও এ-সব কথা আর কাউকে বলে দেয় না ভাগ্যে, নইলে উদ্ধব দাস আখড়া থেকে আমায় বিদেয় ক’রে দিতে এক বেলাও দেরি করত না। অনেক কথা আমি বলি ওদের আখড়া সম্বন্ধে, উদ্ভব দাস সম্বন্ধে-যা অপরের কানে উঠলে আমার অপমানিত ছয়ে বিদেয় হতে হত, কিন্তু মালতী কোম কথা প্রকাশ করেনি কোনদিন জাজকাল মালতী আমার দিকে একটু টেনে চলে বলে জ্ঞাখঞ্জর অনেকের কাছে সেটা চক্ষুশূলের ব্যাপার হয়ে উঠেছে—জাখি স্তা বুধি । 1 *.