পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

i ఎని83 সারের অধিবাসিদের মনে দেশাত্মবোধ উদ্বাধনকল্পে ডক্টর গোয়েবলস্ একটি সার বালিকার নিকট হইতে মৃত্তিক গ্রহণ করিতেছেন আর কোন প্রদেশ নিয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে জাৰ্ম্মানীর বিবাদ নেই । তিনি একথাও বলেছেন যে, যদি কোন গোলমাল না হয়ে এই সমস্তার মীমাংস হয়ে যায়–অর্থাৎ, জাৰ্ম্মানী যদি সার ফিরে পায়, তাহলে দুই দেশের মধ্যে ঝগড় করার কিছু থাকবে না । অতএব নির্বিবাদে সার-সমস্তার মীমাংসার ওপর বর্ধমানে য়ুরোপের শান্তি অনেকট নির্ভর করছে এবং এইজন্ত সার ৭ন্ত প্রাধান্ত লাভ করেছে । ফান্সের প্রতি চের হিটলারের এইরূপ অনুরোধের কারণ, সারবাসী কোনদিকে ভোট দেবে সে-বিষয়ে জাম্মানীর যথেষ্ট আশঙ্ক আছে। যদিও সারবসীরা বেশীর ভাগই জাৰ্ম্মান, তাদের মধ্যে অনেকে জাৰ্ম্মানীর অন্তভুক্ত হ’তে নারাঞ্জ। এর প্রধান কারণ, বর্তমান জাৰ্ম্মানীতে নাৎসিদের আধিপত্য । গত দু-বছরের মধ্যে অনেক কমিউনিষ্ট ইংদী ও অন্যাস্তু রাজনৈতিক পলাতক সরে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মুখ থেকে নাৎসিদের কীৰ্ত্তি-কাহিনী অনেকেই শুনেছে এবং তাদের মধ্যে সেখানকায় রাইশ গভর্ণমেণ্টের প্রতি একটা প্রবল বীতস্পৃহা জেগে উঠেছে। বিশেষত: ক্যাথলিক ধৰ্ম্মাবলম্বী, ঠছয়া, সাম্যবাদী ও সমাজতান্ত্রিক প্রভৃতি কয়েকটি শ্রেণীর লোক কোন মতেই নাৎসিদের হাতে পড়তে নারাজ ! প্রতিকূল ভোটের ভায় কিন্তু নাৎসিদর উদ্যম আরও বেড়ে গেছে । সারের মধ্যে একটি নাৎসি জল ও তাদের বৃহৎ প্রতিষ্ঠান গড় উঠেছে। হের হিটলার ও উর দল সর্ববপ্রকারে সারেস্তিত উাদের পক্ষপাতী দলকে সাহায্য করতে চেষ্টা করছেন । দুই দিকেই সভা, সমিতি ও আন্দোলন খুব প্রবলভাবে চলেছে। নাৎসি গভর্ণমেণ্ট সারের আন্দোলন চালাবার জন্তে গত বছর ভাইস-চ্যান্সলার হের ফন্‌ পাপেনকে নিযুক্ত করেন, এ বছর পাপেন মস্কিমণ্ডল ত্যাগ করবার পর পালাটিলেটের নেতা হের জোসেফ বুয়ের্কেলকে সেই পদে নিযুক্ত করেছেন। নাৎসি গভর্ণমেন্টের প্রচার বিভাগের মন্ত্র ডাক্তার জোসেফ গোয়েবেলস্ এই কাজে বিশেষ অগ্রণী । তার কাজ বেতার ও সংবাদপত্রের সাহায্য সারবাসীদের পিতৃভূমির প্রতি দেশপ্রেম জাগিয়ে তোলা। বড় বড় সম্ভ ক’রে সারের নাৎসিদের জন্তে অর্থ জুগিয়ে, সারের বেকার যুবকদের জার্মানীয় শ্রমিকআজ্ঞায় এনে তাদের ভরণ-পোষণ ক’রে সারবাসীদেয় গত দেড় বছরে জানানো হয়েছে সার জাৰ্ম্মানীয় কত প্রিয় I* কিন্তু এতেও সারবাসীর ভোটের সম্বন্ধে নিঃসন্দেহ হতে না পেরে নাৎসিরা ভোটেয় দিনে বিপক্ষদলকে বাহুবলে হারাতে মনস্থ ক’রে ভিতরে ভিতরে ষড়যন্স করেছে । সারের প্রেসিডেন্ট নক্স নাৎসি দলের এই সব অস্থায় আচরণের পক্ষপাতী নন, তাই তিনি এই ষড়যন্ত্র দমন করতে প্রয়াস হয়েছেন। কিন্তু সারের পুলিস ও অন্যান্ত সরকারী বিভাগের বেশীর ভাগ লোকই নাৎসিদলভুক্ত, তাই শাস্তি রক্ষা ক্রমশঃই কঠিন হয়ে উঠেছে। ১৩ই জানুয়ারী যতই এগিয়ে আসছে শান্তিভঙ্গের সম্ভাবণ ততই বাড়ছে। কিছুকাল আগে নক্স্ সাহেব রাষ্ট্র সঞ্জলকে জানান যে, ভোট গ্রহণ করার দিন তিনি বাইরের বিনা সাহায্যে শান্তিরক্ষা করতে সমর্থ হবেন না | যদিও একথা সত্য যে, অত্যন্ত সঙ্গীন অবস্থায় তিনি ফরাসী-সৈন্তের সাহায্য নিতে পারেন, তথাপি জাম্মানীর এতে প্রবল আপত্তি থাকতে এই পন্থা কেহ যুক্তিসঙ্গত । মনে করেন না। অতএব ঠিক হয়েছে, বৃটেন, ইটালী, বেলজিয়ম প্রভৃতি দেশের সৈন্ত সারের ভাগ্য-নিয়ন্ত্রণের দিন শান্তি রক্ষা করতে সাহায্য করবে । যদিও সারে জাৰ্ম্মানদের যড়যন্থ প্রকাশ হয়ে পড়েছে, শান্তিরক্ষার ব্যবস্থা হয়েছে এবং ফ্রান্স ও জাৰ্ম্মানার পররাষ্ট্র সচিব এমৃ লাভাল ও হের ফন্‌ নয়রাথ উভয় রাষ্ট্রর পক্ষ থেকে অঙ্গীকার করেছেন যে, কোন প্রকারে কোন পক্ষ হইতে অন্যায় চেষ্টা হবে না, তবুও ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে নিরুদ্বিগ্ন হওয়া কঠিন। প্রথমতঃ, জাম্মানীর কথার তেমন মূল্য মেই। ভোট যদি তার বিরুদ্ধে যায় তা হলে তার ক্রোধ ও অসন্তোষ দ্বিগুণ হয়ে জ্বলে উঠবে। অষ্ট্রয়াতে নাৎসিদের আচরণে প্রমাণিত হয়েছে যে, নাৎসিরা যেখানে আইনত: উদেখা সাধন করতে পায়ে না সেখানে পাশবিক শক্তি নিয়োগ করতে তাদের দ্বিধা নেই | দ্বিতীয়তঃ, ভোট গণনায় দ্বার। সারবাসীর কি নির্দেশ বোঝা যাবে ? সারবাসীয় সামনে এখন তিনটি পথ রয়েছে তা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। এখন যদি জাৰ্ম্মানীর পক্ষে ছু-জুন, সার স্বতন্ত্র থাকবাব পক্ষে চার জন ও ফ্রান্সের পক্ষে তিন জন—এই অনুপাতে সারবাসীরা ভোট দেয় তাহলে কি সিন্ধান্ত হবে ? জাৰ্ম্মানীর পক্ষে সবচেয়ে বেশী ভোট, অতএব জাৰ্ম্মানী দাবি করবে সার তাকে ফিরিয়ে দেওয়৷ হোক, কিন্তু যেহেতু তার বিরুদ্ধে মিলিত ভোট-সংখ্যা বেশী, সেইজন্য দ্বিতীয়বার ভোট নেওয়া দরকার হবে এবং এই দ্বিতীয় বারে যদি সারের পক্ষে এবং জাৰ্ম্মানীর বিপক্ষে ভোটর সংখ্যা অধিক হয়, তথনও আর একবার ভোট নিয়ে দেখতে হবে যে যখন ফ্রন্স ও জাৰ্ম্মানীর সঙ্গে মিলিত হওয়াই দুটি মাত্র উপায় তখন সারের জনমত কোন দিকে। রাষ্ট্রসঙ্ঘ কিন্তু এ কথা বলেছেন যে, সন্ধির সত্ত্ব অনুসারে সারের ভিন্ন ভিন্ন অংশের মত নিয়ে ঠিক হবে সেই সেই অংশ ভবিষ্যতে কোন শাসনাধীনে থাকতে চায় । জার্মানী যে এতে আপত্তি করবে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ থাকৃতে পায়ে না। & অীর একটি প্রশ্ন উঠতে গায়ে ষে, ভোট দেৰায় দিম অনেকে জার্মানীর বিরুদ্ধে ভোট দিতে সাহস করবে কি-না, কারণ নাসির অনেক দিন ধত্বেই তাদের বিপক্ষদলকে শাসিয়ে আসছে এই বলে ষে

  • প্যায়ার বিখ্যাত সংবাদপত্র ল্য মার্তা (Le Matin) বলেছেন, এই প্রীতি কিন্তু যুদ্ধের আগে ছিল মা, এবং সায় ক্রিয় পাবার পর থাকবে কি-না সমোহ । .هرم

.xx