পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

岷

} 部

W ডোমীনিয়নত্বের অভিমুখে, ন উল্ট দিকে ? ইংলণ্ডর রাজা ও ভারতবর্যের সমাট কালক্রমে ব্রিটিশ সীমাজ্যের অন্তর্গত অন্ত ডেমীনিয়নগুলির মধ্যে ভারতবর্ষের স্থানপ্রাপ্তির অশি দিয়াছিলেন । ভারতবর্ষের বড়লাট লর্ড অরুইন ও লর্ড উইলিংডন এবং প্রধান মন্ত্ৰী মিঃ রামজে ম্যাকডোঙ্গলদও এই রূপ অ}শা দিয়াfছলেন । আরও যে যে রাজপুরুষ এই রকম লোভ দেখাইয়ছিলেন, তাহদের নামের উল্লেখ অনবগুক । র্যহীরা আশা দিয়ছিলেন, তাহার দয়িত্ববিহীন লোক নহেন, অনধিকারচর্চা করেন নাই । তাহারা যাহা বলিয়ছিলেন, তাহা বলিবার অধিকার ত{হীদের ছিল । তাহীরা কেবল যে ভারতবর্ষের প্রতি দয়া করিয়া এরূপ কথা বলিয়াছিলেন তাহা নহে, ব্রিটেনেরও কল্যাণ-উদ্দেশ্রে ইহা বলিয়ছিলেন । এই জন্ত ভারতবর্ষের অনেক লোক ভাবিয়ছিলেন, ( আমরা তাহীদের মধ্যে কথনও ছিলাম না), শীঘ্র না-হউক বিলম্বেও ভারতবর্ষের ডোমীনিয়নত্ব লাভ ঘটিবে—এক লাফে না-হউক, ভারতবর্ষ ধাপে ধাপে ধীরে ধীরে উচ্চতর রাজনৈতিক মর্য্যাদা লাভ করিবে । সুতরাং তাহারা আশা করিয়াছিলেন, এবার জয়েণ্ট পালেমেণ্টারী কমিটি ভারতবর্ষের জন্ত যে শাসন-পদ্ধতির প্রস্তাব করিবেন, তাহা খুব কম পরিমাণে হইলেও ভারতবর্ষকে ডোমীনিয়নত্বের দিকে কিছু অগ্রসর করিয়া দিবে—কিছু চুড়ান্ত ক্ষমত। ভারতবর্ষকে দিবে। কিন্তু দেখা যাইতেছে, ঐ কমিটির রিপোর্টে যাহা প্রস্তাবিত হইয়াছে, তাহা ভারতবর্ষকে ডোমীনিয়নত্বের বিপরীত দিকে লইয়া যাইবে । হোয়াইট পেপার ভে"নীনিয়নত্বের বিপরীত দিকে ভারতকে যতটা লইয়। যাইতে চাহিয়াছিল, উক্ত কমিটির রিপোর্ট তার চেয়ে আরও অনেকটা বেশী উন্ট দিকে লইয়া যাইতে চায় । ইহাতে আমরা বিস্মিত, নিরাশ বা দুঃখিত হই নাই । কিন্তু এ-কথাটা নিশ্চয়ই আমাদের মনে হইছে পালেমেন্টের ' _ Fు= க F_", "a iবা বর্ষ '_a{স %s

இu

বড় বড় সভ্য ( তাদের মধ্যে ভারতবর্যের বড়লাট মেঙ্গলটি ছোটলাট কয়েক জনও আছেন ) লইয়া গঠিত কমিটি নিজেদের দেশের রাজার কথার, প্রধান মন্ত্রীর কথ}র, রাজপ্রতিনিধিদের কথার মান কেমন রাখিয়াছেন । রাজা বলিলেন, ভারতবর্ণ কালক্রমে ডেমীনিয়ন হইবে ; ঐ কমিটি ডোমীনিয়ন কথাটি পর্যন্ত তাহীদের প্রকাণ্ড রিপোর্টে কোথাও একবার ব্যবহার করিলেন ন; এবং প্রস্তাবগুলি এমন করিয়াছেন সাহাডেমী নিয়নত্বের ঠিক্ উল্টা ! এখন ভারতবর্যের বড়লাট ও প্রাদেশিক লীটের এবং সিবিলিয়ন ও পুলিস যেরূপ ক্ষমতাশালী, হোয়াইট পেপারের প্রস্তাববীতে তাহাদিগকে তাঁর চেয়েও নিরঙ্কুশ ক্ষমতাশালী করিতে চাহিয়াছিল । জয়েণ্ট পালেমেণ্টারী কমিটির রিপোর্ট ত{হাদিগকে আরও বেশী ক্ষমতা দিতে বলিয়ছে এবং ভারতবর্ষের ব্যবস্থাপক সভাগুলিকে ও মন্ত্ৰীদিগকে চূড়ান্ত ক্ষমতা সামান্ত কোন বিষয়েও দিতে বলে নাই । ভারতবর্ষের ঐক্য উৎপাদন ও বিনাশ ভারতবর্ষ কি কি কারণে পরপদfনত হইয়াছে, দুই-এক কথায় তাহা বলা যায় না । কিন্তু ভারতবর্ষে অনেক রকম অনৈক্য থাকা যে একটা কারণ, তাহাতে সন্দেহ নাই । এখানে প্রদেশভেদ, ধৰ্ম্মভেদ, জাতিভেদ, ভাষাভেদ প্রভৃতি আছে । . তাহার উপর আঠার রকম নিৰ্ব্বাচক-মণ্ডলীতে দেশের লোককে ভাগ করিয়া হোয়াইট পেপারের অঙ্গীভূত সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারা ছাড়াছড়ির ভেদবৃদ্ধির আর একটা প্রবল কারণ জুটাইয়াছে। জয়েন্ট পালেমেণ্টায়ী কমিটির রিপোটে আছে—“We have spoken of unity as perhaps the greatest gift which British rula has conferred