পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌষ বিবিধ প্রসঙ্গ—কমিটির প্রস্তাবিত প্রাদেশিক আত্মকর্তৃত্বের স্বরূপ ৪৪৩ তাহাতে ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশের লোকদের জীবনের গতি ও আদর্শ, দুঃখ অভিযোগ, আন্দোলন আলাদা আলাদা রকমের হইবে। সুতরাং একটা কোন বিষয়ে সমগ্র ভারতবর্ষের লোকের উত্তেজিত হইয়া একসঙ্গে আন্দোলন করিলে ব্রিটিশ গবন্মেণ্টকে যতটা উদ্বিগ্ন বা বিপন্ন হইতে হয়, তাহা হইত হইবে না । তা ছাড়া, প্রাদেশিক আত্মকর্তৃত্ব হইলে যে-যে প্রদেশের যে-ধে বিষয়ে গবন্মেণ্টের প্রতি অসন্তোষ নাই, তাহার সেই-সেই বিষয়ে অসন্তুষ্ট অন্ত পদেশগুলির প্রতি সহানুভূতিসম্পন্ন হইবে না। তাহার প্রমাণ এখনই পাওয়া যাইতেছে। এখন প্রাদেশিক আত্মকর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয় নাই । তথাপি, বাংলা দেশের জন্ত যে-ঘে রকম কড়া আইন হইয়াছে, অন্তান্ত প্ৰদশের জঙ্গ তাহা হয় নাই। সেই জঙ্গ, অঙ্গ কোন প্রদেশের নেতার এবং তথাকথিত সমগ্রভারতীয় নেতার বঙ্গের প্রতি সহানুভূতিসম্পন্ন নহেন—যদিও প্রত্যেক প্রদেশের লোকদেরই বঙ্গের দুঃখে দুঃখী হওয়া উচিত, কারণ প্রত্যেক প্রদেশের লোক বাংলা হইতে যত ধন উপার্জন করেন, বঙালীরা কোন গ্রে দশ হইতেই তত টাকা রোজগার করে না । জয়ন্ট পালেমেণ্টারী কমিটির রিপোর্ট হইতে আমরা এই নিবন্ধিকাটির গোড়ায় যে কথাগুলি উদ্ধৃত করিয়াছি, তাহা হইতে স্পষ্টই ইহা বুঝা যায়, যে, ব্রিটিশ শাসন ভারতবর্ষের একত্ব সম্পাদন করিয়াছেন বা করিতেছিলেন ইহা তাহরী জানেন, এবং ইহাও তাহারা জানেন, যে, প্রদেশগুলির শাসনব্যবস্থার প্রস্তাব র্তাহার এ প্রকার করিতেছেন যাঁহাতে ভারতীয় ঐ ঐক্য অতি ক্ষীণ, এমন কি বিনষ্টও হইত পারে । এই কুফল নিবারণ করিতে হইলে ভারতবর্ষের কেন্দ্রীয় অর্থাৎ সমগ্রভারতীয় গবন্মেণ্টকে এমন করা চাই, যাঁহাতে গ্রাদেশিক আত্মকর্তৃত্বের দরুন যাহারা স্ব-স্ব পথে পরস্পর হইতে দূরে যাইতে পারে তাহাদিগকে সংঘবদ্ধ রাখা যায়। জড় জগৎ বিনাশ হইত রক্ষা পাইয়া আসিতেছে এবং সক্রিয় আছে টি বিপরীত শক্তির প্রভাবে । একটি কেন্দ্রfoss on (Centrifugal force), woo costfoot

  • fs (Centripetal force) stor oth.

ব্যবস্থায় প্রাদেশিক আত্মকর্তৃত্বে প্রথম শক্তিটি কাৰ্য্য কাৰে i প্রাদেশিক আত্মকর্তৃত্বের প্রভাবে প্রদেশগুলি পরস্পর হইতে দূরে যাইবে ও সম্পর্কশুষ্ঠ হইবে। যদি ভারতবর্যের এই সমুদয় অংশকে লইয়া একটি ফেডারেগুন বা রাষ্ট্রসংঘ স্থাপিত হয়, তাহা হইলে কেন্দ্রাভিমুখী শক্তি কাৰ্য্য করিবে এবং যাহারা পরস্পর হইতে দূরে যাইতেছিল, s!ঃ ‘গ’ :- পৰস্প.রর প্রতি আকৃষ্ট ও পরস্পরের সহিত মিলিত করিয়া রাখিবে । কিন্তু জয়েণ্ট পালমেন্টারী কমিটির রিপোর্টের প্রস্তাবে প্রদেশ গুলিকে অবিলম্বে অলিদ করিয়া দিবার তাগিদ অাছে, ফেডারেশন কথন হইবে তাহার কোনই স্থিরতা নাই— কখনও না-ও হইতে পারে। অর্থাৎ ব্রিটিশ শাসনের বলেই হউক, বা অন্ত ঘে-ঘে কারণেই হউক, ভারতবর্ষের ধে একত্ব আগে হইতেই ছিল, বা ইংরেজ রাজত্বে জন্মিয়ছিল, বা জন্মিতেছিল, কমিটি তাঁহা জানিয়া শুনিয়া কমাইবার, এমন কি বিনষ্ট করিবার ব্যবস্থা করিয়াছেন ; কিন্তু যাহা করিলে ঐ একত্ব ক্ষীণ বা বিনষ্ট হইত না, সেই ফেডারেশন জিনিষটিকে প্রাদেশিক আত্মকর্তৃত্বের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠিত করিবার ও অবগুস্তাবী করিবার প্রস্তাব ও ব্যবস্থা তাহার করেন নাই । কমিটির প্রস্তাবিত প্রাদেশিক আত্মকর্তৃত্বের স্বরূপ সকল প্রদেশকে লইয়া একটি ফেডারেশুন বা রাষ্ট্রসংঘ গঠিত না হইলে যে শুধু প্রাদেশিক আত্মকর্তৃত্বের দ্বারা ভারতবর্ষের মহা অনিষ্ট হইবে, তাহা আগে লিখিয়াছি। সে কথা ছাড়িয়া দিয়া, জয়েন্ট পালেমেণ্টারী কমিটি যে-প্রকার প্রাদেশিক আত্মকর্তৃত্ব দিবার প্রস্তাব করিয়াছেন, তাহার আলোচনা করিলে দেখা যায়, যে, তাহতে প্রাদেশিক গবর্ণরদের এবং তাহার অধীনস্থ সিবিলিয়ানদের ও পুলিসের আত্মকর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হইবে বটে, কিন্তু প্রদেশের, প্রাদেশিক জনগণের, ও প্রাদেশিক ব্যবস্থাপক সভায় তাহাদের প্রতিনিধিদের কোন বিষয়ে চূড়ান্ত ক্ষমতা থাকিবে না । নানা সেফ গার্ড বা “রক্ষাকবচ” দ্বারা এবং গবর্ণরের বহুবিধ বিশেষ দায়িত্ব স্বারা তাহাকে প্রভূত নিরঙ্কুশ ক্ষমতাশালী করা হইয়া:ছ। তাহার উপর তিনি ইচ্ছা করিলেই অর্জিন্তাল জারি করিতে পারিকেন,