পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88W, যেহেতু পাটের চাষ কেবল সাম্রাজ্যর মধ্যে হয়, সেই জন্য এই তর্ক করা হয়, যে, সাম্রাজ্যের চট-উৎপাদকদের সাম্রাজার বাহিরের চট-উৎপাদকদের চেয়ে অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়া উচিত । ডাওঁী ও কলিকাতা উভয়র ব্যবসার অসন্তোষকর তাবস্তু উভয় কেন্দ্রের কলওয়ালাদিগকে পরস্পরের সহযোগিতা করিতে প্রভাবিত করিয়াছে । গত ২৯শে এপ্রিলের ষ্টেটসম্যানেও পাট সম্বন্ধে একটি প্রবন্ধ এই বলিয়। শেষ করা হইয়াছে, “...in practice the manufaturor is ofton not averse to a situation the immediato result of which is that lıe ge1s liís rivw niateri:ıl clicap, 1 n so far, {Micrefi *re, as he does nothing to fircramate a crop restriction selletire, ho n ay be said to be the aider and albetter of liis foreign conflictitor, who liglits hiru witli ali liis luons and not with a percentage only.” তাৎপর্যা । অনিয়ঞ্জিত পাটচাঘজনিত যে অবস্থায় বঙ্গের চটকলওয়ালারা সস্তায় তাহীদের কাচ মাল পায়, তাহার প্রতি কাৰ্য্যতঃ তাহারা বিরূপ নহে । [ কিন্তু অনিয়মিত ভাবে পাটচাস ইষ্টলে ভারতবর্যের ও বিলাতের বাহিরের অব্রিটিশ চটকলওয়ালারও সস্তায় কাচা মাল পায়, এবং তাঁহাদের যন্ত্রপাতি আধুনিক ও উৎকৃষ্ট হওয়ায় তাহারা চট অপেক্ষাকুত সস্তায় উৎপাদন করিতে ও বেচিত পারে । ] অতএব, বঙ্গের মটকলওয়ালার পাট-নিয়ন্ত্রণপদ্ধতির প্রবর্তন ও বিস্তুতির জন্ত কিছু মা করিলে অব্রিটিশ বিদেশী চটকলগুয়ালদের সাহায্যকারীই হয় | এই বিদেশী চটকলওয়ালার ভারতের ও ডাণ্ডীর ব্রিটিশ চটকলওয়ালীদের সহিত প্রতিযোগিতা করে তাহদের সমুদয় তাতের দ্বারা—শতকরা কেবল কয়েকটি দ্বারা নহে । [ বঙ্গের ব্রিটিশ চটকলওয়ালার নিজেদের চটের দাম বাড়াইবার জষ্ঠ সব তাত ন চালাইয়া কিছু চালায় ও উৎপন্ন চটের পরিমাণ কমষ্টিয় তাহার দাম বাড়াইবার চেষ্ট করে । । পাটের চাষ কমাইয়া কঁচি মাল কম উৎপাদন করিলে পাটের দর বাড়িতে পারে না, আমরা এরূপ মনে করি না । কিন্তু ইহাও মনে করি না, যে, কাচা মাল কম উৎপন্ন হই-লই তাহার দর চড়িবে, বা বেশী উৎপন্ন হইলেই দর নামিবে। পাটচার্থী ও চটকলওয়ালীদের মধ্যবর্তী ব্যাপারীর ও স্পেকুলেটাররা নিজেদের সুবিধার জন্ত কৌশল অবলম্বন করিয়া পাটের দর কম করিতে ও রাখিতে পারে। তদ্ভিন্ন, ষ্টেটুসম্যান ও বিলাতী ফিনান্সাল টাইমসে মহা লেখা হইয়াছে, তাহা পড়িয়া এরূপ ধারণা জন্মে না, বে, কেবল পাটচাষীদেরই হিতের জন্ত পাটচাষ নিয়ন্ত্রণের চেষ্ট হইতে ছ। ভারতীয় ও অভারতীয় ব্রিটিশ চটকল ওয়ালরা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার সহায় । তাঁহাদের প্রাণ পাটচাষীদের জন্ত বরাবর র্কাদিয়াছে বলিয়া সমসাময়িক ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় না । পাটচাৰ-নিয়ন্ত্রণ সম্বন্ধে বিস্তারিত মন্তব্য ডিসেম্বরের মডার্ণ রিভিয়ু পত্রিকায় আছে। পাটের বদলে অন্য ফসল পাটের চtধ না করিয়া পাটের কতক জমিতে অন্ত ফসল উৎপাদনের জন্য সরকারী কৃধি-বিভাগ হইতে পরামর্শ দেওয়া হইতেছে । কৃধি সম্বন্ধে আমাদের পুথিগত ব{। কাৰ্য্যজাত জ্ঞান না-থাকায় এই সব পরামর্শ সম্বন্ধে দৃঢ়তার সহিত কোন মত প্রকাশ করিতেছি না । তবে, যে-রকম জমিতে চীনে বীদাম হইতে দেখিয়ছি, পাটের জমি সেইরূপ কিনা সে-বিষয়ে সন্দেহ হইতেছে । পাটের জন্ম সে ড fম ভাল, তমিকের জন্যও কি ত{হ সমান ভাল ? পটের বদলে রবিশস্তের ব্যবস্থা হই তছে । কিন্তু শুনিয়ছি, পাট উৎপাদন ও কৰ্ত্তন করিয়া, তাহার পরও সেই জমিতে অনেক চ;ধী ররিশস্ত দেয় ; অর্থাৎ একই জমিতে একই বৎসর পাট ও রবিশস্ত্য পরে পরে উৎপাদিত হয় । ইহা ঠিক হইলে, যেখানে ছুটা ফস4 হইত সেখানে কেবল একটা ফসল উৎপাদন করিবার পরামর্শ দেওয়া হইতেছে। অন্ত যে-সব ফসল পাটের পরিবর্তে আঞ্জাইবার উপদেশ দেওয়া হইতেছে, তাহা উৎপাদন করিয়া কিরূপ লাভ হইবে, তাহাও বিবেচ্য | দেওয়া সুভাষচন্দ্র বস্থর স্বদেশ আগমন শ্ৰীযুক্ত সুভাষচন্দ্র বসুর পিতা অত্যন্ত পীড়িত থাকায় তাহার মাত ভঁহিকে বাড়ি আসিবার জন্ত টেলিগ্রাম করেন এবং গবন্ধটিকে অনুরোধ করেন যে, তাহাকে যেন আসিতে দেওয়া হয়। খবরের কাগজে এইরূপ: সংবাদ বাহির হয়, বে, গবন্মেণ্ট তাহাকে আসিবার অনুমতি দেন নাই । সুভাষচন্দ্র নিজেও বহুবৎসর কঠিন পীড়ায় ভূগিতেছেন এবং অস্ত্রোপচারের জন্ত ভিয়েনায় বাস করিতেছিলেন। এরূপ ব্যক্তিকে কেবল পিতাকে দেখিতে আসিবার অনুমতি ন-দিবার অতিপ্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করিতে আমরা অসমর্থ-বিশেষতঃ যথন দেখিতেছি কর্তৃপক্ষীয় উচ্চতম ব্যক্তিদের দ্বার