পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পোষ বিবিধ প্রসঙ্গ—ীরেন্দ্রনাথ শাসমল 866. ইতিহাসের কোন যুগে এদেশের যেরূপ আর্থিক ও শৈক্ষিক প্রগতি করিবার ক্ষমতা ছিল না, তার চেয়ে ইহার অধিকতর প্রগতি ১৮৫৮ সালে কোম্পানীর হাত হইতে রাজত্ব ব্রিটিশ রাজশক্তির অধীনস্থ হওয়ার পর হইয়াছে, ইহা নিশ্চয় করিয়া দাবি করা হয় ।” ভারতবর্ষ অতীত কোন কালেই তত ধনী ও জ্ঞানী ছিল না যত ধনী ও জ্ঞানী ইহা ১৮৫৮ হইত ১৯৩৪ সাল পৰ্য্যন্ত ৭৬ বৎসরে হইয়াছে, ইহা সত্য কিনা বলিতে হইলে ভারতবর্ষের অতীত ইতিহাসের কয়েক হাজার বৎসরের এরূপ নিশ্চিত জ্ঞান থাকা আবশ্যক যাহা আমাদের নাই—এবং বেয়াদী মাপ করিলে বলিতে চাই, যে, জয়েণ্ট পালে মেণ্টারী কমিটির সভ্যগণেরও এবং কোন সভ্যেরই নাই। তাহার একটা কারণ এই, যে, ভারতবর্ষের পুরাকালের ইতিহাস এখনও তেমন করিয়া, আধুনিক রীতি অনুসারে, লিখিত হয় নাই, যেরূপ লিধিত হইলে সেই ইতিহাস পড়িয়া এত বড় একটা দাবি করা যায় বা তাহ খণ্ডন করা যায়। তবে একটা প্রশ্ন আমাদের মনে অবগুই উদিত হইতেছে, ষে, প্রাচীন কাল হইতে যে নানা দেশের লোকেরা এদেশে বাণিজ্য করিতে আসিয়াছিল তাঁহা কি তবে বাণিজ্য মহে ? তাহা কি বাণিজ্যব্যপদেশে মরুভূমিতে স্বর্ণ-বৃষ্টির নামান্তর ছিল ? না, বাণিজ্যব্যপদেশে বুভুক্ষিত অতি নিঃস্ব অতি অসভ্য দেশে অল্পসত্ৰ খুলিবার জন্ত আগমন ছিল ? যাহাই হউক, দাবিটা থাটি সত্য বলিয়া মানিয়া লইলেও, ভারতবর্ষের লোকদের ধনশালিতা সম্বন্ধে মণ্টেগু-চেমূস্ফোর্ড রিপোর্ট ও জয়েণ্ট পালেমেন্টরী কমিটির রিপোর্ট হইতে যে-দুটি মন্তব্য উদ্ধৃত করিয়াছি, তাহাকে ভিত্তি করিয়া কোন সাহঙ্কার দাবি করা চলে কি ? কোনু দেশের লোক গড়ে কত বৎসর বঁাচে বা বাচিবার আশা করিতে পারে, তাহ সেদেশের লোকদের ধনশালিতার একটা প্রমাণ। ১৯৩১ সালের ভারতবর্ষীয় সেলস্ রিপোর্টের প্রথম ভলুমের প্রথম ভাগের ১৭১-৭২ পৃষ্ঠায় একটি তালিকা দেওয়া আছে, তাঁহাতে লেখা আছে, জন্মকালে গড়ে শিশুরা কোন দেশে কত বৎসর বাচিবার আশা করিতে পারে। বৎসরের সংখ্যাগুলি ৰাশিক্ষা-শিশু ও বালক-শিশুদের আলাদা করিয়া দেওয়া হইয়াছে । ভারতবর্ষের বাহিরে স্ত্রীজাতীয় শিশু ও পুরুষজাতীয় শিশু সকলের চেয়ে বেশী বৎসর বাচিবার আশ করিতে পারে অষ্ট্রেলিয়ায়—যথাক্রমে ৫৮.৮৪ ও ৫৫.২০ বৎসর, এবং সকলের চেয়ে কম বঁচিবার আশা করিতে পারে জাপানে—যথাক্রমে ৪৪.৮৫ ও ৪৩.৯৭ বৎসর । কিন্তু ভারতবর্ষে তাহারী বাচিবার আশা করিতে পারে—যথাক্রমে ২৩.৩১ ও ২২.৫৯ বৎসর l ভারতবর্যের এই ধনশলিতা বিষয় ? কি গৰ্ব্ব করিবার

ভারতবর্ষে শিক্ষার প্রগতি কেনৃ দেশে শিক্ষার প্রগতি কিরূপ হইয়াছে, তাহ স্থির করিতে হইলে জন-কয়েক ডি-এসসি, পিএইচ-ডি, এমূ-এ, বি-এ কে গণিলে চলিবে না, সৰ্ব্বসাধারণের মধ্যে শিক্ষাবিস্তার কত দূর হইয়াছে, তাহাই স্থির করিতে হইবে। ভারতবর্ষে শতকরা ৯২ জন মানুষ নিরক্ষর । পুথিবীর অন্ত কোন সভ্যদেশের শতকরা এত জন লোক নিরক্ষর নহে। ইহা কি অহঙ্কারের বিষয় ? এবং ইহাও সত্য নহে, যে, ব্রিটিশ-শাসনকালের পূৰ্ব্বে নিরক্ষরতার পরিমাণ বরাবর ইহা অপেক্ষা বেশী ছিল। নিরক্ষরতা যে ইহা অপেক্ষা কম ছিল তাহার প্রমাণ আমরা অাগে আগে অনেকবার ইংরেজদের লেখা হইতেই উদ্ধৃত করিয়াছি । বীরেন্দ্রনাথ শাসমল মেদিনীপুরের বীরেন্দ্রনাথ শাসমল মহাশয় ষোগ্য প্রতিদ্বন্দী থাকা সত্বেও অনেক বেশী ভোট পাইয়া ভারতবর্ষীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্ত নিৰ্ব্বাচিত হইয়াছিলেন। কিন্তু তাহার নির্বাচন যখন জানা গেল, তখন এই সংবাদও পাওয়া গেল, যে, তিনি সাংঘাতিক পীড়াগ্রস্ত । তাহার झ्द्र नि भत्त्व अक्षांप्ण उँइच्न शृङ्का श्श् । हेश अलि শোকাবহ ঘটনা । •. তিনি তেজী, সাহসী ও বুদ্ধিমান ছিলেন। দেশের चांशैौनङांङ्ग छशु डिनेि चानक प्रांर्षज़ांभं. कञ्चिब्रांहिंप्टन