পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Ꮂo &প্রবামনী ; ఏలి83 উর্দুভাষীদের তুলনায় বাঙালীর সংখ্যা সেখানে খুবই কম। বাংলা বই লাইব্রেরীতে আছেও খুব কম। তথাপি ৭৫৫ খনি বাংলা বহি গৃহীত হওয়া মুগা নহৈ , , , শ্ৰীযুক্ত ক্ষিতীশচন্দ্র নিয়োগীর ব্যবস্থাপক সভায় পুনঃপ্রবেশ চেস্ট ঐযুক্ত ক্ষিতীশচন্দ্র নিয়াগী দীর্ঘকাল ভারতীয় ৰাবস্থাপক সভার সভ্য ছিলেন । তিনি পুনৰ্ব্বার, বৰ্দ্ধমান বিভাগ হইতে, ভারতবর্ণীয় ব্যবস্থাপক সভার সভাপদপ্রার্থী হইয়াছেন । তিনি ব্যবস্থাপক সভার কাজ বিশেষ যোগ্যতার সহিত নিৰ্ব্বাহ করিয়া আসিয়া ছন । র্তাহার যোগ্যতা এত অধিক, যে, যখন স্তর (তৎকালে মি: ) যথা থম্ চেটি ব্যবস্থাপক সভীর সভাপতি নিৰ্ব্বাচিত হন, তখন তিনি বি"দশে না-থাকিলে তিনিই নিৰ্ব্বাচিত হইতেন, দিল্লীতে এই মত খুবই প্রচলিত। নানা প্রয়োজনীয় তথ্যের জ্ঞান, ধীরতা এবং তর্কবিতৰ্ক-শক্তি র্ত হার খুব আছে। মেদিনীপুর জেলায় যে তদন্তকমিটির রি-পার্ট প্রকাশের পর সরকারী আদেশে তাহ নিষিদ্ধপুস্তকতালিকাভুক্ত ও বাজেয়াপ্ত হয়, ক্ষিতীশ বাবু সেই কমিটির সভ্যন্ধপে ঘটনাস্থলে গিয়া সব বৃত্তস্ত সাক্ষাৎ ভাবে জানিয়া আসেন । হাকিমের আদেশে পুলিস ত’হীকে ও কমিটির অন্ত কয়েক জনকে গ্রেপ্তর করে। তিনি অত্যাচরিতদর কথা নিৰ্ভীকভাবে ব্যবস্থাপক সভায় উপস্থিত করিতে কখনও পশ্চাৎপদ হন নাই। সকলের তাহাকেই ভোট দেওয়া উচিত । পূণ্যবতী সাধ্বী রোকেয়া খানমৃ পুণ্যবতী সাধী রোকেয়া খানম্ মুসলমান-সমাজে মিসেস সাখাওৎ হোসেন নামে পরিচিত। তিনি অল্প বয়সে বিধবা হন। স্বামীর স্মৃতিচিহ্ন স্বৰূপ লাখাওৎ হোসেন বালিকা-বিদ্যালয় স্থাপন ও পরিচালন করেন। S BBBBS BBB BBBBB BB BBBB BBB BB BB BBDDD DB BBt BBB B BBBBBS S র্তাহীর সম্বন্ধে তঁহিীর স্মৃতিসভায় মৌলবী সা’দত অলি আধন বলেন— , “উনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে রংপুর জেলার পায়রাবন্দ গ্রামে এক প্রাচীন ও সন্ত্রাস্ত জমিদার-বংশে রোকেয়া থানমের জন্ম হয়। র্তাহার, পিতার নাম ভহীর উদ্দীন মেহম্মদ আবু আলি। বংশের প্রাচীনত্ব ও শরীফত্বই ছিল বেগম রোকেয়া খানমের জীবনের সবচেয়ে বড় অভিসম্পতি । তাহার পিতা মেহম্মদ আবু আলি সাহেব স্ত্রীশিক্ষার ঘোরতর বিরোধী ছিলেন । যে-বয়সে সাধারণ বালিকার প্রথম স্কুলে ঘাইত আরম্ভ করে, সেই বয়স হইতেই রোকেয়া থ'নমকে পর্দার অভুলে অন্ধকারের ভিতর লুকাইয়া ফেলা হইয়াছিল। কিশোরী রোকেয়া থানমূ বাংলার শত সহস্র মুসলিমৃ কিশোরীর মত এই অত্যাচার নীরবে সহ করেন নাই । তিনি পিতার সমস্ত নিযেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করিয়া গোপনে জ্যেষ্ঠ সহোদর আবুল আসাদ ইব্রাহীম স'হেবের নিকটে সীমান্ত বাংলা ও ইংরেজী প্রথম ভাগ শেষ করিয়া ফেলেন। কি শারী রোকেয়ার এই বিদ্রোহী জীবনের ইতিহাস বাংলার মুসলিম- , নারী-মুক্তি-সংগ্রামের প্রথম অধ্যায়। তিনি কৈশোরের প্রারম্ভ হইতে জীবনর শেযমুহূৰ্ত্ত পর্যন্ত পর্দা, অশিক্ষা ও কুশিক্ষার বিরুদ্ধে জেহাদ চালাইয়া গিয়াছেন। প্রায় ষোল বৎসর বয়সে ভাগলপুরের ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট সৈয়দ সাখাওৎ হোসেনের সহিত বেগম রোকেয়া থানােমর বিবাহ হয় । উচ্চশিক্ষিত হদয়বান স্বামীর সাহচর্য্যে তিনি ইংরেজী ভাষায় সুপণ্ডিত হইয়া छैन्दैन । রোকেয়া খানমের বিবাহিত জীবন দম্পত্যপ্রেমর এক অত্যুঞ্জল কাহিনী, স্বামীর অকাল মৃত্যুতেই তাঁহার পরিসমাপ্তি হয় নাই, অন্তরের সমস্ত গ্লনি-যন্ত্রণ নীরব অস্তরে বহিয়| এই গরীয়সী নারী জীবনের সমস্ত দিবস ব্যাপিয়া সেবার যে উদাহরণ দেখাইয়াছেন তাহ বাংলার সেবার ইতিহাসে অতুলনীয়-শুধু প্রেমমী পত্নীরূপেই নহে, স্নেহময়ী সমাজ-সেবিকারূপেই উছার জীবশ্নর সাধন কল্যাণীতে পরিপূর্ণ হইয়া উঠিয়াছে।” .