পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাম আকাশের অদৃষ্ঠা আশীৰ্ব্বাদতলে এই একটি শতাব্দী ধরে বয়ে এসেছে—বৈচিত্রা যেখানে হয়ত আসে নি—গভীরতায় সেখানে করেছে বৈচিত্র্যের ক্ষতিপূরণ । প্রতিদিনের স্বৰ্য শুক্রতারার আলোকোজ্জ্বল রাজপথে রাঙা ধুলি উড়িয়ে রজনীর অন্ধকারে অদৃষ্ঠ হন—প্রতিদিনই সেই সন্ধ্যায় আমার মনে কেমন এক প্রকার আনন্দ আসে— দেখি যে পুকুরের ধারে বর্ষার ব্যাঙের ছাতা স্বৰ্য্যের অমৃত কিরণে বড় হয়ে পুষ্ট হয়ে উঠছে—দেখি উইয়ের ঢিবিতে নতুন শাখা ওঠা উইয়ের দল অজানা বায়ুলোক ভেদ ক’রে হয়েছে মরণের যাত্রী, শরতের কাশবন জীবন-স্থষ্টির বীজ দূরে দূরে, দিকে দিগন্তে ছড়িয়ে দিয়ে রিক্ততার মধ্যেই পরম কাম্য সার্থকতাকে লাভ করেছে—দারিদ্র্য বা কষ্ট শের শাহের সিংহাসনারোহণ বৎসর তার মৃদু ও ধীর, পরার্থমুখী গম্ভীর জীবন-ধারা নীল 8わ-s তুচ্ছ, পৃথিবীর সমস্ত বিলাস-লালসাও তুচ্ছ, আমি কিছুই গ্রাহ করি নে যদি এই জাগ্ৰত চেতনাকে কখনও না হীরাই— যদি হে বিশ্বদেবতা, বালে তুষারাবৃত কাঞ্চনজঙ্ঘাকে যেমন সক ল:বল’ঞ্জ’র সূর্য্যের আলোয় সোনার রঙে রঞ্জিত হতে দেখতুম—তেমনি যদি আপনি আপনার ভালবাসার রঙে আমার প্রাণ রাঙিয়ে তোলেন—আমিও আপনাকে ভালবাসি যদি—তবে সকল সংকীর্ণতাকে, দুঃখকে জয় ক’রে আমি আমার বিরাট চেতনার রথচক্র চালিয়ে দিই শতাব্দী থেকে শতাব্দীর পণে, জন্মকে অতিক্রম ক’রে মৃত্যুর পান, মৃত্যুকে অতিক্রম ক’রে আবার কোন আনন-ভরা নবজন্মের অজানা রহস্তের আশায় । ( ক্রমশ: ) لاتت تتكتشتتت تتعصص= শের শাহের সিংহাসনারোহণ বৎসর শ্ৰীনলিনীকান্ত ভট্টশালী, এম-এ, পিএইচ-ডি হুমায়ুন-বিজয়ী পুরুষসিংহ শেব শাহের সিংহাসনারোহণ বৎসর লইয়া গোলযোগ বিদ্যমান। এই ক্ষেত্রে ডক্টর কানুনগো মহাশয়ের অশেষ পরিশ্রমের ফল “শের শাহ” নামক পুস্তকই প্রামাণ্য । কিন্তু কানুনগো মহাশয় শের শাহের সিংহাসন আরোহণের যে বৎসর অনেক বিচারবিতর্ক করিয়া নিদ্ধারিত করিয়াছিলেন, নূতন আবিষ্কারের ফলে দেখা যাইতেছে যে তাহা এক বৎসর পিছাইয়া দিতে হইবে। কানুনগো মহাশয়ের নিদ্ধারিত বৎসর ৯৪৬ হিজরি,–এই হিজরি বৎসর ১৫৩৯ খ্ৰীষ্টাব্দের ১৯শে মে তারিখে অরিন্ধ । - এখন, নুতন আবিষ্কার কি হইল, বলা দরকার । গত বৎসর চাকার বিথ্যত প্রত্নতাত্বিক এবং হাকিম ঐযুক্ত হবিবর রহমন র্থ তাহার নিজস্ব সংগ্রহের কতকগুলি প্রাচীন মুদ্র ঢাকা মিউজিয়মে উপহার প্রদান করেন। এই সংগ্রহে শের শাহের মোট ৫৯টি মুদ্রা আছে, উহাদের কতকগুলিতে সাতগা, শরিফাবাদ (বৰ্দ্ধমান), ফথাবাদ ( ফতেহাবাদ=ফরিদপুর ) ইত্যাদি টাকশালর নাম আছে, কতকগুলিতে আবার কোন টাকশালের নাম নাই। একটি ছাড়া বাকী সমস্ত মুদ্রারই তারিখ ৯৪৬ হিঃ হইতে ৯৫২ হিঃ পর্যস্ত। কিন্তু উক্ত একটি মুদ্ৰাই ঐতিহাসিক হিসাবে অমুল্য গণিত হইবে, কারণ উহার সনাঙ্ক স্পষ্ট ৯৪৫ হিজরা । নিম্নে মুদ্রাটির বর্ণনা দেওয়া যাইতেছে। মুদ্রাটির তারিখযুক্ত দ্বিতীয় পৃষ্ঠের ছবি দেওয়া গেল, পারস্য ভাষায় অভিজ্ঞ পাঠক ছবির সহিত বর্ণনা মিলাইয়া লইতে পরিবেন। মুদ্রাটির কিনারায় বৃত্তরেখা বা অন্ত কোন অলঙ্করণ-রেখা নাই। প্রথম পৃষ্ঠে একটি সমচতুষ্কোণের অভ্যস্তরে মুসলমানধৰ্ম্মের মূলস্বত্র কলিমা অর্থাৎ “লাইল্লাহ, ইঞ্জিল্লাহ, মুহম্মদ রমুল আল্লাহ" লিখিত আছে। ইহার পরে একটি সরল রেখা টানিয়া চতুষ্কোণকে দুই ভাগ করিয়া নীচের ভাগে সোপাধি