পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8な* %3 ఏన98S এখানকার ডিট্রিক্ট এন্‌জিনীয়র”—উভয়ে পরম্পরকে অভিবাদন করিলেন । কিছুক্ষণ কথাবাৰ্ত্তার পর মিঃ সিং সুনঙ্গার নিকটে আসিয়া বলিলেন, “আপনি কি টেনিস খেলেন ?” সুনন্দ বলিল, “থেলি বটে, কিন্তু আপনাদের মতন চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গ কি খেলতে পারি ? সত্যি, আপনি কি সুন্দর খেলেন ! আমার ভাল খেলা দেখতে খুব ভাল লাগে।” মিঃ সিং উৎসাহিত হইয়া বলিলেন, “আমুন না—এক সেটু খেলি।” সুনন্দা লজ্জায় রক্তিম হইয়া বলিল, “ন’-না, আপনার সঙ্গে কিছুতেই না।” মিঃ সিংয়ের জিদ বাড়িয়া গেল, সে ইন্দুবাবুক গিয়া ধরিল সুনন্দার সঙ্গে একবার থেলিবেই। ইন্দুবাবু সানন্দে সম্মতি দিলেন কিন্তু সুনন্দ বলিল, “আজ নয়, আমার পায়ে শ্লিপার রয়েছে, আর এত লোকের সামনে আমি খেলতে অভ্যস্ত নই।” মিঃ সিংয়ের আবদার অগত্যা সুনন্দীকে রাষ্ট্ৰী হইতে হইল-পর দিন সেই বাড়িতেই আসিয়া খেলিবে । সেই দিন সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরিবার পর সুনন্দা মা-বাবার নিকট বলিল, “এ জায়গাটা যত বিত্র লেগেছিল প্রথমে এখন দেখছি তত থারাপ নয় । একেবারে জঙ্গল ত নয়, বেশ ভাল ভাল শিক্ষিত লোকও ত অনেক আছেন । ধে-কয়টি বৰ্ম্মীদের বাড়ি গিয়ছি—কি সুন্দর অভ্যর্থনা ! মিসেস উ-পেও ভারী নম্র, বিনয়ী মেয়ে । কৰ্ত্তব্যের ত্রুটি কোথাও খুজে পাবে না। উ-পের মেরে, এখানকার কন্‌ভেণ্টে পড়ে। বেশ বুদ্ধিমতী মেয়ে, ধরণ-ধারণ একেবারে মেমসাহেবী, লুঙ্গী পরে না ত দেখলাম। ইন্দুবাৰু বলিলেন, “শিক্ষিত লোক র্যারা আছেন এখানে তাদের সঙ্গে মিশলে ভালই লাগবে । বাঙালী যারা আছেন, তারা লোক যে ভাল নয়, ত: বলছি না কিন্তু বহুকাল বিদেশে পড়ে আছেন, দেশের অবস্থার উন্নতির সঙ্গে কোনো যোগ রাখেন না, খবরও রাখেন না ব'লেই বোধ হয় মন বড় সঙ্কীর্ণ হয় গেছে । এই দেখ না, সেদিন ক্লাব ঢুকে দেখি মহা অালোচনা চল্‌ছে । আমি যেতেই সব থেমে গেল । মল্লিকবাবু বললেন, "এই বে দে-বাৰু! আপনার মেয়েটি ত তিন-চার মাসের মধ্যে এখানে । খুব নাম করে ফেলেছে। বারলাইব্রেরীতে সকলের মুখেই মিসু দে-র কথা । মেয়েকে পাস ত করালেন, এখন যোগ্য বর জোটাতে ত প্রাণ বেরবে।’ সুননা পিতার কথায় বাধা দিয়া বলিল, “আচ্ছা বাবা, ওঁদের এত মাথা-ব্যথা কেন ?” পিতা বলি:লন, “বন্ধু-মানুষ, যা বলছেন কিছু মিথ্যে নয় } সত্যিই আজকাল পণ ছাড়া ভাল ছেলে পাওয়া দুষ্কর ” সুননা বলিল, “আচ্ছা, বাবা, আমাদের ছেলের এমন অপদার্থ কেন ? বিয়ে ক’রে শ্বশুরের টাকা নিয়ে ভিক্ষে ক’রে বড়লেক হ’য়ে কি সম্মান বাড়ে তাদের ?” ইন্দুবাবু বলিলেন, “ভিক্ষ কই ? দস্তুর-মত জোরজবরদস্তি করেই ত নেয়। এমন ভাব-যেন তোমার মেয়ে বিয়ে ক’রে আমি তোমার এবং তোমার চোদপুরুষ উদ্ধার করলুম।” সুননা বলিল, “বাব, আমি তোমাকে ব’লে রাখছি আমি কিন্তু এক কড়ি পণ দিয়েও বিয়ে করব না।” মেয়ের কথাটুকু শুনিতে পাইয়া সরলা চুটিয়া আসিয়া চীৎকার করিয়া বলিলেন, “কি বেহায়া মেয় হয়েছিল তুই: তোর বি য়র খবর তুই কি জনবি ? আমরা যা ভাল বুঝে ব্যবস্থা করব, তাই করবি তুই ।” সুনন্দ বিরক্ত হইয়া বলিল, “মা, বাবার কাছেও নিজের মনের কথা বলব না ত কার কাছে বলব ? যে যা বলবে, মুখ বুজে করব, এই যদি চেয়েছিলে, দশ বছর বয়সে বিয়ে দfও নি কেন ? রাগ কর আর ঘাই কর, আমি চিরদিন অবিবাহিত থািকব, তবু পণ দিয়ে কখনও বিয়ে করব না ।” সুননা সজোরে পা ফেলিয়া নিজের ঘরে চলিয়া গেল । ইন্দবাবু গৃহিণীর দিকে ফিরিয়া বলিলেন, “তুমি বড় বকো মেয়েটাকে । ও এখন বড় হয়েছে, বুদ্ধি বিবেচনা হয়েছে, ওর সঙ্গে সাবধানে ব্যবহার ক’রে " সরলা ঠোট উন্টাইয়া বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করিয়া বলিলেন, “রাগ করলে ত বয়েই গেল—তোমার মতন আমি মেয়েকে অত আস্কার দিই না।” { ૭ ) -- পরদিন বিকালে চারটার সময় মিঃ দলীপ সিংয়ের গাড়ীখানা দরজায় দাড়াইল। ইদুবাবু কোর্ট হইতে শখ,