পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ ফিরিয়া মুনলাকে উ-পের বাড়ি লইয়া যাইবেন, স্থির ছিল। মিঃ লিংয়ের গাড়ী দেখিয়া সুনন্দা নীচে নমিয়া আসিল । মিঃ সিং গাড়ী হইতে নামিয়া সসন্ত্রমে অভিবাদন করিয়া বলিলেন, “আপনাকে নিতে এসেছি, খেলার কথা মনে আছে ত ?” সুননা বলিল, “আমার বাবা অামাকে অপেক্ষা করতে বলেছেন, তার সঙ্গে যাবার কথা ঠিক আছে। আপনিও এসে বসুন না ।” মিঃ সিং বলিলেন, “খেলার ত একটু দেরি আছে, আমরা একটু ড্রাইভে যেতে পারতাম, আপনি এখানকার পাহাড়ে উঠেছেন কখনও ?” সুনন্দ বলিল, “না, আমার এখনও বিশেষ কোথাও বেড়ানো হয় নি । আপনার স্ত্রী বুঝি থেলেন না ? আপনাকে সৰ্ব্বদা এক বেরোতে দেখি যে ?” মিঃ সিং সুনন্দার বেড়াইতে যাইবার সঙ্কোচের কারণ বুঝিতে পারিয়া বলিল, “আমি চিরদিনই এক । বিয়ে এখনও করি নি ।” সুনন্দ অপ্রস্তুত হইয়া আলোচনার বিষয় বদলাইবার ইচ্ছায় বলিল, “আমাদের বাগানটায় কি মুনীর গোলাপের বেড হয়েছে, দেখবেন আসুন । আমার বাগান করতে বজড ভাল লাগে ।” মিঃ সিং বলিলেন, “আমারও বাগান কর। একটা ‘হবি ৷ অদ্ভুত ! আমাদের দু-জনের খেয়াল দেখছি একই রকমের । সুনন্দা মহা উৎসাহে মিঃ সিংকে বাগান দেখfইতে দেখাইত বলিল, “কলকাতায় আমাদের কলেজের কম্পাউণ্ডে আমরা কয়েক জন মেয়ে মিলে কি মুনার বাগান করেছিলাম। এখানে এক-একা কোন কাজে উৎসাহ লাগে না ।” মিঃ সিং বলিলেন, “যদি অনুমতি দেন, আপনাকে আমি সাহায্য করতে পারি। আমাদের পিন্ডবলিউ-ডি আপিসের বাগান দেখেছেন ? আমি অবসর সময় ঐ বাগান নিয়েই কাটাই ।” মুনলা বলিল, “আমি বাবার সঙ্গে যাব এক দিন আপনার বাগান দেখতে ” মিঃ সিং মুনঙ্গার চোখের উপর নিজের অভিমানপূর্ণ 8ఫెప్సి দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া বলিলেন, “কেবল বাবা আর বাবা ! কেন আপনি কি কচি খুকী যে বাবা-ছাড়া এক পা চলতে পারেন না ?” সুনন্দা চক্ষু নামাইয়া পা দিয়া একটা ইট সরাইতে সরাইতে বলিল, “আমরা যত বড়ই হই না, যতই লেখাপড়া শিথি না কেন, আমাদের পায়ের বেড়ী কোনদিন থসবে না ।” ফটকের সন্মুখে একখানি মোটর থমিল। ইন্দুবাৰু গাড়ী হইতে নামিয়া ডাকিলেন, “জুনু, তুমি প্রস্তুত ত? আমার কি দেরি হয়েছে ?” ইন্দুবাবু এন্‌জিনীয়র সাহেবের করমর্মন করিয়া বলিলেন, “মুনন্দার দেরি দেখে বুঝি আপনি নিয়ে যেতে এসেছিলেন ?” মিঃ সিং বলিলেন, “আপনার মেয়েকে নিয়ে যাবার সৌভাগ্য আমার হ’ল না, তিনি আমার সঙ্গে বেত রাজী হন নি ।” ইন্দুবাবু একটু অপ্রস্তুত হইয়া বলিলেন, “নামা, সে কি কথা ? আমার মেয়ে আপনার সঙ্গ পেলে খুবই সুখী হ'ত নিশ্চয়ই, তবে আমার সঙ্গ যাবে কথা ছিল ব'লে বোধ হয় যায় নি। আপনি দুঃখিত হবেন না । ইন্দুবাবু মিঃ সিংকেও নিজের গাড়ীতে আহবান করিলেন । সুনন্দাও বলিল, “চলুন না একসঙ্গেই যাই ।” মিঃ সিং আপত্তি না করিয়া ড্রাইভারকে গাড়ী লইয়া যাইতে হুকুম দিয়া ইদুবাবুর পাশে উঠিয়া বসিলন । সুননা আজকাল আর বর্খাদেশের প্রতি বিৰূপ নয়। বাবা যখন বলেন, “এই মগের মুলুক ছড়িতে পারলে বাচি । দিন-দিন যা অবস্থা দাড়াচ্ছে, ভারতবাসীদের অল্পঞ্জল বেশীদিন এদেশে নেই বোধ হয় ।” তখন সুনন্দ বলে, “তা ও দর দেশ, ওরা নিজেদের লোকেদের ব্যবস্থা কর বই ত ? তোমরা রাগ করলে চলবে কেন ?” ইলুবাবু বলিলেন, “ই্য, সে কথা ঠিক, তবে যারা চাকরিত আগে ঢুকেছেন, তfuদর ত স্তাষ পাওনা এবং দাবি থেকে বঞ্চিত করা উচিত নয় ?” গৃহিণী বলেন, “এদেশটা মন্দ কি ? আমার ত বেশ ভাল লাগে বাপু । মেয়েটার বিশ্নর জন্তেই ঘন ঘন দেশে