পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

创号心 যাবর দরকার, নইলে এখানে যেমন রাজার হালে আছি, দেশের বাড়িঘরে সে অরমি কোথায় ? এখানে যদি ভাল পাত্র একটি পেতাম, তব বড় সুবিধই হ’ত । হাজার টকা চলে ফেলে যাওয়া-আসা করি, ঘটকের ফিও কিছু কম দিই না । তবু যদি একটা পছন্দসই জামাই জুট্ৰত!” সুনন্দ বলে, “তোমার শুধু ঐ এক কথা, মা । কে বলে তোমায় বীজ খরচ করতে ?” মা রেগে জলে উঠেন—এসব বাজে খরচ, আর ওঁর বি-এ, এম্-এ পড়ার খরচণ্ড লই সব কাজের হ’ল ? স্বামীকে স্টিঙ্কাসা করেন, “হ্যাগা, বিলেত-ফেরৎ সেই ডাক্তার ছেলটির খবর নিয়েছিলে ? কত চায় সে ?” ইন্দুবাবুর ইচ্ছা নয় মেয়র সাক্ষাতে তাহার বিবাহের আলোচনা হয় । স্ত্রীকে বলিলেন, "দ্যখি, আমি কিন্তু কালকে ছুই তিনটি বন্ধুকে চ খেতে বলেছি। সুনু, তুমি কিন্তু মা কাল হোষ্টেস্ হবে, কোথায় চা খাওয়াবে বল ত ?” সুনন্দা যলিল, “বাবা, আমাদের ফুলবাগানে করলে হয় না? ওখানে ছোট ছোট টিপয় দিয়ে ব্যবস্থা করলে দশ-: ৰার জনকে চা খাওয়:ন যায় ।” গৃহিণী বলিলেন, “ঐ দাখি, মেয়ের যত বিদঘুটে পছন্দ । অমন ভাল চেয়ার, সোফা, টেবিল, বড় বড় আয়না, ছবি দিয়ে সাজানে৷ কাশ্মীরী কপেট পাতা ড্রয়িংক্রমটা তোমার পছন্দ্ব হ’ল না, পছন্দ ঐ ঝোপে, ঝাড়ে আর জঙ্গলে । নেমন্তয় করছ কা’কে শুনি ?” ইন্দুবাবু বলিলেন, “রেঙ্গুন থেকে আমার এক ব্যারিষ্টার বন্ধু মিঃ গুপ্তের ছেলে এখানে এসেছে, সে, এথানকার হাসপাতালের ডাক্তার, আর আমাদের সিং সাহেব।” মিঃ লিংয়ের নাম উচ্চারিত হইবার সঙ্গ সঙ্গে সুনন্দার মুখখন একটু বিশেষ রকম প্রফুল্ল হই; উঠিল, ইন্দুবাবু তাহা লক্ষ্য করিলেন । সুনন্দ বলিল, “বাবা, আমি দর বাগানের ও-পাশে যে অনেকখানি জায়গা জঙ্গল হয়ে পড়ে আছে, সেথানটা পরিষ্কার করিয়ে, সমান করে নিয়ে একটা মাডকোর্ট করা सांद्र न ?” - - ইদুবাৰু বলিলেন, “গুড, আইডিয়া, খেলবে কে ?” মুনমা বলিল, “আচ্ছ, বাবা, মিঃ সিংকে বললে তিনি নিশ্চয় এখানে খেলুতে আসেন, আরও কত লোককে খেলুতে দেখি, খেলার লোক জু ট যtবেই।” ইন্দুবাবু বলিলেন, “বেশ, কাল চায়ের টেবিল কথাটা তুলে৷ ” (8) স্বনা ড্রেসিং-টেবিলের সম্মুখে দাড়াইয়া প্রসাধনে ব্যস্ত। কুকুমের একটি টিপ, কতবার পরিতেছে, আবার মুছিতে ছ। বড় মুক্তোর এক ছড়া লম্বা হার, গাঢ় নীল রঙের মারাঠী শাড়ী, অtধ হাত চওড়া লাল রেশমের পাড়ের নীচে শাদা রেশমী মুতোর কলকা, ভয়েলের ছোট হাতার ব্লাউসের ভিতর দিয়া স্বশ্ন লেসের এমূব্রয়ডারীর কারুকার্য্য, কানে দুটি বড় বড় মুক্তোর দুল, পায়ে এক জোড় গাঢ় নীল ভেলভেটের উপর সাদা পুতির কাজ করা বৰ্ম্ম চট। মুনলাকে সুন্দরী বলা যায় কিনা, সে-বিষয়ে মতভেদ থাকিতে পারে । সে গৌরবর্ণ নয়, কিন্তু কালোও বলা যায় না । চোখের তারা দুটি ঘন কৃষ্ণবর্ণ, তাহার চাউনির মধ্যে এমন একটু মাধুৰ্য আছে, যাহাতে তাহার মুখের অঙ্গ সকল খুৎ ঢাকা পড়ে। মুখখানি বুদ্ধির প্রচুর্য্যে উজ্জ্বল, স্বভাবের কোমলতায় মেলিয়েম | জানfলার পর্দার ফাক দিয়া দেখা গেল একটি ট্যাক্সি বাগানে ঢুকিতেছে । অভ্যাগতদিগকে অভ্যর্থনা করিতে হইবে, সে কথা মনে পড়িতেই আয়নায় শেষ একবার মুখখানা দেখিয়া লইয়া সুনন্দ দ্রুত সিড়ি দিয়া নামিয়া গেল । ট্যাক্সি হইতে ধিনি নামিলেন, মুননা তাহাকে চেনে না । ইন্দুবাৰু তাহার হাত ধরিয়া বাকিয় বলিলেন, “এই যে এস, এই আমার মেয়ে মুনন্দা, আর ইনি আমার বন্ধুপুত্র সুবিমল " সুনন্দ বলিল—বাবা, একেবারে বাগানে গিয়েই বসি, এখানে বড় গরম, না ? অতিথিরা একে একে উপস্থিত হইলেন । সরকারী ডাক্তারটি হাসিখুশী মানুষ, নানা দেশ ঘুরিয়া, নানা জাতীয় খবর জানেন, গল্প করিয়া সকলকে আপ্যায়িত করিতে লাগিলেন। মুনশা বলিল—ডাঃ চ্যাটাজ্জা, আপনি ত কিছুই খাচ্ছেন না, আর এক প্লেট আইল্ক্রীম নিন মা ! ডাঃ চ্যাটাজ্জা বলিঙ্গেন-নিতে পারি, যদি আপনি