পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

雉》 একটা গান শোনান। কলকাতা ছেড়ে অবধি জঙ্গলে জঙ্গলে ঘুরছি, ভাল বাংলা গান গুনতে পাই না। এক জন অ-বাঙালী উপস্থিত থাকায় কথাবার্তা সব ইংরেজীতেই চলিতেছিল। মিঃ সিং বলিয়া উঠিলেন-ই একটা ইংরেজী গান হোক। বাংলা গান আমি কি বুঝব? সুবিমল বলিলেন-বাংলা আর ইংরেজী দুটোই আপনার কাছে বিদেশী ভাষা, বাংলা তযু ভারতবর্ষীয় জিনিষ, খানিকটা রস গ্রহণ করতে পারবেন । - মিঃ সিং বলিলেন—সুবিমলবাবু বুধি ইংরেজী সুর ভালবাসেন না ? আমার কিন্তু খুব ভাল লাগে ইংরেজী মুরগুলি। সুনন্দ বলিল-আমি ইংরেজী সুর ভালবাসি না, তা নয়, কিন্তু গাইতে বিশেষ ভাল লাগে না, ওতে ধেন আমাদের মন খেলে না । মিঃ সিং, আপনাকে বরং আমি ভাল ভাল ইংলিশ রেকর্ড শোনব । সিং সাহেব বিরক্তির সুরে বলি:লন—রেকড় কে শুনতে চায় ? আপনার গন শোনাটাই আসল । মিঃ সিং অজ লক্ষ্য করিয়াছিলেন, সুলনা দুইটি যুবক বাঙালী বন্ধ পাইয়া, তাহদের লইয়াই একটু ব্যস্ত হইয়াছে। ঠগর মন বেশ একটু ঈর্ষার উদ্র ৷ হইতেছিল। ননও নিজের ক্রটি বুঝিতে পারি, লজ্জিত হইল এবং চেয়ার ছাড়িয়া উঠয়া বলিল—চলুল ঘরে যাই, এখানে ত বাজনা নেই ? মিঃ সিং বলি:লন—অ’মি তাহলে এথাল থেকেই বিদায় নি, অমর এক জায়গায় ডিনারের নিমন্ত্রণ আছে, আর একদিন আপনার গান শোনবার ইচ্ছা রইল । হুবিমল ছেলেট বি-এ পাস করিয়া ব্যবসা করিতেছিল। বর্মীদেশেই তাহার জন্ম, পিতা আইন-ব্যবসা করিয়া বিস্তর অর্থসঞ্চয় করিয়াছেন । পুত্রকে বিলাত পাঠাইয়া উপযুক্ত কfরবীর সংকল্প ছিল, কিন্তু পুত্রের অভিপ্রায় অঙ্গরূপ ছিল । সে শান্‌-ষ্টেটে আলুর চাষ করিত, সেই অণু সমস্ত বৰ্ম্মার এবং *ারতবর্ষের নানা স্থানে চালান দিয়া বেশ উপার্জন করিত । অর্থ উপার্জন যথেষ্ট হইলেও পুত্র জজ, ম্যাজিষ্ট্রেট, ডাক্তার বা এন্‌জিনীয়র কিছুই হইল না বলিয়৷ পিতা এবং বন্ধুগণও প্রায়ই দুঃখপ্রকাশ করিতেন। সুনন্দাও তাহাকে প্রশ্ন করিয়া ফেলিল-আপনি এত ভাল স্কলার ছিলেন, ధౌ=Ry সুনন্দার বিয়ে αο$ বিলেত গেলে ত একটা ডক্টরেট নিয়ে সাঙ্গতে পারতেন । এসব ব্যবসা কি শিক্ষিতদের ভাল লাগে ? সুবিমল বলিল—আমার এরকম স্বাধীন যাবসা করতে বেশ লাগে । মাটি চাষ ক’রে ফসল তুলে কি আনন্দ তা যে না করে, সে বোঝে না | সুননা সুবিমলকে শ্রদ্ধা করিলেও তাহর পছন্দকে প্রশংসা করিতে পারিল না । ( & ) সুননীর দিন বেশ কাটিতেছিল, তাহার আর এখন সঙ্গীর অভাব বোধ হয় না। ইদুবাবু গৃহিণীর আবদারে মাঝে মাঝে পাত্রের অনুসন্ধান করেন । উপযুক্ত পাত্র পাওয়া নায় না এমন নয়, কিন্তু সকলেষ্ট পাঁচ হাজ'র সাত হাজার হাকে । মেয়ের কাছে প্রস্তাব অসিলেই মের ক্ষেপিয় উঠে। ই দুবাৰু গুহের অশান্তি সহ্য করিত নাপরিয়া বলল—কি ঝকুমারি করেছি এই বৰ্ম্মীদেশে এস । সমুদ্রর এপার থেকে কি ওপারে ছেলেমেয়ের বিয়ে ঠিক করা যায় ? চেষ্টার ত ক্ৰটি করছি না । কত ছেলের নামের লিষ্ট আসছে, কিন্তু ব’দের পছঙ্গ হয়, ত’দের কেউ চায় পাঁচ হাজার নগদ,কেউ চায় মোটর গাড়ী, হীরের গয়না, সুন্দরী মেয়ে । কেউ বলে বিনয় ক’রে, নগদ টীকা চাই না, ডিসপেন্সারী সাজিয়ে বসিয়ে দাও । আমার ত তবু একটা মোয়, যার ঘরে পাঁচ ছয়টি, তাদের কি দুর্দশ ! তাই আজকাল মেয়ের বীপেরা এখালেক্ট যেমন-তেমন ছেলে ধ’রে বির দিয়ে দি চছ । সুননা বলে—সে কি মন কথা, বাবা ? এখানে বিয়ে দি ত পারলে কি করতে দেশে যাবে অত খরচ ক’রে ? বাবা বলেন-হ্যা মা, ভীল পত্রি সকলের মেলে কই ? এই ত সেদিন এক বন্ধু মেয়ের বিয়ে দিলন, পত্রিটির বয়সও বেণী, আর জলজান্ত একটি বৰ্ম্মিণী, চার পাঁচটি ছেলেমেয়ে নিয়ে ঘরসংসার করছিল। সুননা শিহরিয়া উঠিয়া বলিল-বাবা, কি বল্ছ ? এমন জেনেও বিয়ে দিলেন ? ইদুবাবু বলিলেন—জেনে কি আর দিয়েছেন ? ভদ্রলোক থাকেন সেই মিচিনায়—মেয়েটির উনিশ বছর বয়েস হয়েছিল,