পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মামী পর সুবিমল বলিল—“এস সুনন্দ, আমরা মা-বাবাকে প্ৰণাম ক’রে আশীৰ্ব্বাদ ভিক্ষ করি।” সুনন্দ সোফী ছাড়িয়া উঠিয়া আসিয়া সুবিমলের পাশে দাড়াইল এবং দু-জনে একত্রে মা-বাবাকে প্রণাম করিল। ইদুবাবু জিজ্ঞান্ত দৃষ্টিতে উভয়ের দিকে চাহিতেই সুবিমল বলিল-আমাদের দু-জনের মিলিত জীবনে আপনার আশীৰ্ব্বাদই সব চেয়ে বড়। মা, অপিনিও অনুমতি দিন । সরলা বলিলেন—ও মা, তুমি যে বাদার ছেলে, কি ক’রে আমাদের মেয়ে নেবে ? মিলের অভাৰ αόέ, সুবিমল বলিল—ম, ভগবান্‌কে সাক্ষী ক’রে আমরা দু-জনে মিলিত হব, সমাজের নিয়ম না-ই বা মানুলাম! ইন্দুৰাবু বলিলেন—তাহ’লে কাল একবার ম্যাজিষ্ট্রেটের আপিসে এ-সম্বন্ধে খোঁজ খবর করতে হবে। একটা আইনের অtশ্রয় ছাড়া দাড়াবে কোথায়, বল ? গৃহিণী হাসিমুখে কৰ্ত্তার কানে ফিসফিস্ করিয়া বলিলেন—“আমি জানতুম, সুবিমল সুমুকে ভালবাসে । আমারও ছেলেটিকে বেশ পছনা ছিল । তবে সমাজে আর থাকতে পারলুম না ’ মিলের অভাব শ্ৰীগোকুলেশ্বর ভট্টাচার্য্য কুমুকেরে ডাকি বলিলেন বাব মিষ্টমুখে,— “জীবন তোদের কাটাস নাকি রে অপার সুথে ? তোদের মুখের কথা যে কবির করেন গান--” কৃষক বলিল,—“অনাহারে মোরা क्लिळे@i० !” গ্রামবাসীদের ডাকিয়া বলিল শহরবাসী,— “তোমরাই ভোগ কর প্রকৃতির রূপের রাশি ; প্রকৃতির রূপ শহরে মোদের নাই যে, হায়—” তাহার থলিল,—“ম্যালেরিয়া ভুগে প্রাশ ধে যায় !” প্ৰসিদি-মালিক কূটর-মালিকে বলিল ডাকি,~~ “কত মূখ তুমি পাও বল দেখি কুটীরে থাকি ? কবির বলেন, কটরগুলিতে শান্তি ভরা—” উত্তর এল,—“জল-ঝড়ে হেথা বঁচিয়া মরা !” কবির কাব্যে এমনি কত কি আছে যে লেখা,~~ বাস্তব সাথে সে কল্পনার হয় না দেখা । হতাশ হইয়া ভাবিতেছি বসে আজিকে তাই, বাস্তবে আর কবির কাব্যে মিল ষে নাই !