পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা ও মফস্বলের কলেজসমূহের তুলনা শ্ৰীঅনিলচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, এম-এ গত অগ্রহায়ণ মাসের প্রবাসীতে যুক্ত যোগেশচন্দ্র রায় “কোটি চান?” নামক একটি সুচিন্তিত প্রবন্ধে কলিকাতা ও মফস্বলের কলেজসমূহের তুলন। প্রসঙ্গে কয়েকটি কথা বলিয়াছেন। তাহার মতে কলিকীস্তার স্বাস্থ্য ভাল নয়, সেখানকার খরচ বেশী, সেখানে বিলাসিতীর প্রাবল্য ভয়ানক, এবং সেখানকার কলেজগুলির শিক্ষাপ্রণালী মফস্বলের কলেজগুলির শিক্ষাপ্রণালী হইতে যে উৎকৃষ্টতর এমন প্রমাণ নাই। কাজেই তিনি প্রশ্ন করিয়াছেন—এত বেশী ছাত্র কলিকাতায় কেন আসে ? রায় মহাশয়ের উল্লিখিত কারণসমূহে এবং অন্যান্ত কারণে ( যেমন অত্যধিক ছাত্র বিশিষ্ট কলেজসমূহের অধ্যাপক ও ছাত্রের মধ্যে জানাশোনা থাকিবrর সুযোগের অভাব ) কলিকাতার প্রতি ছাত্রদের এতটা আকর্ষণু তাবাঞ্ছনীয় সন্দেহ নাই, এবং সরকারী পঞ্চবার্ষিক শিক্ষা-রিপোর্টেও SSBBBB SBBB S BB BBBB BBBBBS BBB BBB BB BBBB থাকিতে চায় না তাহার কয়েকটি কারণ আছে । প্রথম কারণ - "বিশ্ববিদ্যালয়ের গত বার্ষিক সমাগমে, ভাইসচেন্সলার স্তর হুসেন সুরওয়ার্দি বলেছিলেন, কলিকাতার বাইরের কলেজে গুণ শিক্ষক নাই, কলিকাতার কলেজে অছেন ।” এ-কথা সকল স্থানে সত্য ন হইলেও অনেক স্থলে সত্য | মফস্বলের কলেজের কর্তৃপক্ষগণ আর্থিক অভাববশতঃ অনেক সময় যোগ্যতম অধ্যাপক নিয়োগ করিতে পারেন না। যোগ্য বাস্ক্রির অনেক সময় ভাল বেতন পাইলেও মফস্বলে থাকিতে চাহেন না কারণ সেখানে গবেষণা করিবার সুযোগ নাই এবং যথেষ্টসংখ্যক উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তির সাহচর্যা পাওয়া যায় না । তার পর বর্ধমান সময়ে স্থানীয় প্রভাব, দলাদলি, সাম্প্রদায়িক স্বার্থ প্রভৃতি বিবিধ কারণে অনেক সময় যোগ্যতম প্রাথীদের দাবি উপেক্ষিত হয় । রায় মহাশয় বলিয়ছেন যে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের “গুণহীন শিক্ষককে ইঙ্গিতে সরাতে পারেন ।” ইহা সব স্থলে মতা নয় ; কারণ অধ্যাপক নিয়োগ সম্বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কর্তৃত্ব নাই। যদি বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবর্ণমেণ্ট সম্মিলিতভাবে এমন একটি নিরপেক্ষ বোর্ড গঠন করেন যাচার অনুমোদন বাতীত কোন বেসরকারী কলেজে কোন অধ্যাপক নিয়োগ হইতে পরিবে না, তবে এই সমস্যার অন্ততঃ আংশিক সমাধান হইতে পারে । দ্বিতীয়তঃ, মফস্বল শহরের আবহাওয়া সাধারণতঃ জ্ঞানপিপাসা বৃদ্ধি ও তাহার তুতির পক্ষে অংকুল নয় । ‘কলিকাতায় কত সাধু পুণাত্মা আছেন, বিশ্বান মহাবিদ্বান আছেন, উপাধ্যায় মহা-মহ উপাধ্যায় আছেন, কত বিদ্যালয় মহাবিদ্যালয়, গ্রন্থশালী পাঠশালা আছে, কত সভা, সম্মেলন, বক্তৃত, ব্যাখ্যান চ’লছে ! এ সব দেখা ও শোনা যে মস্ত শিক্ষা।” রায় মহাশয়ের মতে এই “যুক্তিট কিছু সত্য, বেশীর ভাগ কাল্পনিক ” কিন্তু আমার মত র্যাহারা মফস্বল ও কলিকাতা, এই দুই স্থানেই পড়াশোনা করিয়াছেন, তাহারা জানেন যে মঞ্চস্বলে যথার্থ শিক্ষার্থীর অসুবিধা কত বেশী । সেখানে অধ্যাপক-চক্রের বাহিরে এমন লোক কমই থাকেন র্যাহাদের সংস্পশ, উপদেশ ও সাহায্যে মানসিক উন্নতিলাভ সম্ভবপর হয় । چ د حساس ۹وي তৃতীয়তঃ, মফস্বল কলেজসমূহে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইমমত স্বেচ্ছপঠিতব্য সমস্ত বিষয় পড়াইবার বন্ধোবস্ত থাকে না, এবং সেখানে ইংরেজী প্রভূতি কয়েকটি সাধারণ বিষয় ব্যতীত অন্ত বিষয়ে ‘অনাস’ নেওয়া যায় না। কোন কোন কলেজে বিজ্ঞান-অধ্যাপনার ব্যবস্থাই নাই ; আবার যেখানে আছে সেখানেও প্রায়ই পদার্থবিদ্যা ও রসায়নী-বিষ্ঠা ব্যতীত অদ্য বিষয় পড়া যায় না, এবং যুঞ্জাদির বিশেষ অভাব থাকে । এই কারণে বহু ছাত্র বাধা হইয়া কলিকাতায় যায় । উপসংহারে বলা যায় যে মফস্বলের উৎকৃষ্ট কলেজগুলিতে ছাত্রের অভাব হয় না, এবং সেখানে রায় মহাশয়ের আদশ অমুসারে পীচ শঙের বেশী ছাত্র না-লইবার ব্যবস্থ হইলে বহু প্র:বশার্থীকে নিরাশ হইতে হয়। দৃষ্টান্ত-স্বরূপ বলিতে পারি যে, ১৯৩২ সনে বরিশাল ব্রজমোহন কলেজে এক হাজারের বেশী, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে ৬ • ( ১৯২৭ সনে ৯৯৩), দৌলতপুর হিন্দু একাডেমি-তে ৫২ ( ১৯২৬ সনে ৭৫৪), বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজে ৫১•, রঙ্গপুর কারমাইকেল কলেজে ৫৫%, এবং ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজে ৭১৩ জন ছাত্র ছিল । সরকারী কলেজগুলির মধ্যে হুগলীতে ছাত্রসংথ্যা ক্রমশঃ বাড়িতেছে, কৃষ্ণনগরে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রাদি ক্রয় করিলে এবং কয়েকটি নুতন বিষয়ে অধ্যাপনার ব্যবস্থা করিলে আরও ছাত্র পাওয়া যাইত, চট্টগ্রামের স্থানাভাব সত্ত্বেও ছাত্রসংখ্যা অত্যন্ত বৃদ্ধি হওয়াতে এখন কম-সংখ্যক ছাত্র ভৰ্ত্তি করিবার ব্যবস্থা হইয়াছে, এবং রাজসাহীতে ১৯৩২ সনে ৬১৭ জন ছাত্র ছিল ( ১৯২৭-১২ সনের পঞ্চমবার্ষিক শিক্ষা-রিপোর্ট দ্রষ্টব্য ) মফস্বল কলেজসমূহের মধ্যে নড়াইল ( ছাত্রসংখ্যা ১০৩), হেতমপুর ( ১-৫ ), উত্তরপাড়া ( ০৩) এবং পূণর্থী ( ৪৬ ) প্রভৃতি যে-সব স্থানে ছাত্র অত্যন্ত কম, সেপানে পড়াশোনার ব্যবস্থাও অত্যন্ত খারাপ । “বাংলা দেশে ব্যায়াম-চর্চা” { メー ঐসমরেন্দ্রকিশোর ব: - বিগত অগ্রহায়ণ মাসের প্রবাসীতে শ্রন্ধের শ্ৰীযুক্ত রাজেন্দ্রনারায়ণ গুহ ঠাকুরতা মহাশয় বাংলা দেশে ব্যায়াম চর্চা নামে যে প্রবন্ধটি লিথিয়াছেন, উহার একস্থানে ( ৭৪ পৃষ্ঠ, ব্যায়াম করিবার নিয়ম ) আছে, “যেদিন যে ব্যায়াম করিতে ভাল লীগে সেইদিন সেইরূপ ব্যায়াম করা উচিত। ইচ্ছার বিরুদ্ধে বায়াম করিলে লাভ ম:হইয়! ক্ষতির সস্তাবনা বেশী।” একথা সত্য বলিয়া আমার মনে হয় ন! ! এ-সম্বন্ধে আমায় যাহা অভিমত, সংক্ষেপে তাহ এই – প্রত্যেকের শরীরের বাধুনী, শক্তি ও সহনশীলতা একরূপ নয় ;বিশেষতঃ কোন ব্যায়ামে কিরূপ ফল লাভ হয়, বলিতে গেলে বাংলা দেশের শতকরা ৯৯ জনেরই সেই জ্ঞান নাই। সেই অবস্থায় নিজ অভিরুচি-মত ব্যায়াম করিলে লাভ না-হুইয়া শুরুতর ক্ষতিও হইতে পারে ধর গেল, কোনো এক ক্ষীণকায় ব্যক্তির ফুসফুসের জোর যেন খুবই কম ; অথচ, সে যদি কোন উপযুক্ত গুরুর উপদেশ ছাড়া কেবল মাত্র নিজে খেয়ালের বশবৰ্ত্তী হইয়া বড় বড় বারবেল লইয়া কঠিন কঠিন ব্যায়াম করিতে কুরু করে, তবে তাছার যে অকাল মৃত্যু ঘটবে, তাহাতে আর সন্দেহ কি আছে ? রোগী যেমন কুপথ্য গ্রহণের জন্য বাস্ত হয়, তেমূলি দুৰ্ব্বল লোকেরও অনেক সময় কঠিন কদুরখ