পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&Nరిg कड़ियाघ्र हेछह झग्र ; cनश्छछ कि उांश८क cमश् कनृब्रथ्रे कब्रिसाङ्ग অনুমতি দেওয়া উচিত ? প্রত্যেক কার্যোর মধ্যেই একটা শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবৰ্ত্তিত থাকা চাই । তাছা ন হইলে সবই বৃথা হইবার কথা। একই ব্যক্তি যদি কুস্তি, ভায়োত্তোলন, সস্তরণ, নৃত্য প্রভৃতি নানা প্রকার ব্যায়াম করে তবে সে কোনদিনই উহার কোন একটি বিষয়েও নৈপুণ্য অর্জন করিতে সমর্থ হইবে মা—তবে, তাহার সহনশীলত সাধারণতঃ অস্ত সকলের চেয়ে বেশী হইবে। যtহার কোন একটা বিশেষ বিষয়ে কৃতিত্ব দেখাইতে ইচ্ছুক, তাহাদিগকে শুধু সেই বিষয়টি শিক্ষা না দিলে উদ্বেগু সিদ্ধ ইইবে না। শিক্ষা দেওয়া আরম্ভ করিবার পূর্বে শিক্ষককে ইহাও পরীক্ষা করিতে হইবে যে, কোনূ বিষয় শিক্ষা দিলে উাহার ছাত্রের প্রকৃত উন্নতি হইবে । রাজেনবাবু বলিয়াছেন যে, খাদ্যের পরিমাণ ঠিক রাখিয়া ও ব্যারামের মাত্রা কমাইঃ এবং বিশ্রামের মায়া বাড়াইয়া দিলেই কুস্তিগীয়গণ ক্রমশঃ মোট হইয় পড়ে। ইহা আংশিক সত্য হইলেও প্রকৃত কারণ নয়। পঞ্জাবী মুসলমান পালোয়ানগণ বৃদ্ধ বয়সেও শ্বেরূপ ব্যায়াম করিয়া থাকে, তাহ দেখিলে অবাক হইতে হয় এবং প্রায় সকল ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, শ্রেষ্ঠ মল্লর যৌবনেও স্থূলকায় ছিলেন। আসল কথ। এই, মাটির মধ্যে এমন একটা রস আছে, যাহার সংস্পর্শে শরীর ধীরে ধীরে মোট হইয়া উঠে এবং কুস্তিগীরগণ কুস্তি লড়িবার সময় মুখ দিয়া খুব জোর শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করে ও ছাড়ে বলিয়াও উহ। তাহাদের শরীর ভীরা করিবার সহায়তা করে । যাহার খুব বড় পালোয়াল, তাহার উপরি উক্ত অবস্থায় অনেক ক্ষণ কুস্তি লড়ে বলিয়াই শীঘ্র শীঘ্ৰ স্থূলকায় হইয় পড়ে । আমি ব্যক্তিগতভাবে বড়-গামাকে জানি, পূর্বাপেক্ষ এখন তিনি বায়াম অনেকট কমই করেন, তবু তাহার শরীরের এখনকার মাপ পূৰ্ব্বাপেক্ষ কিছু কম। গোদজাতি শ্রীপ্রমথনাথ পাল অগ্রহায়ণের প্রবাসীতে যুক্ত সত্যকিঙ্কর চট্টোপাধ্যায় মহাশয় গোদজাতি সম্বন্ধে কিছু লিখিয়াছেন। গোঞ্জাতি সম্বন্ধে তাহার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আছে কিনা জানি না। তবে তিনি প্রবন্ধের মধ্যে কতকগুলি নজীরের উল্লেখ করিয়াছেন। আমি গত ষোল বৎসর মধ্যপ্রদেশের পল্লীতে বাস করিতেছি এবং গোদবহুল তিনটি জেলার বিভিন্ন পল্লীগ্রামে বাস করিয়াছি এবং করিতেছি। গোদজাতি সম্বন্ধে আমার অভিজ্ঞতা ব্যক্তিগত্ব। প্রকৃত উচ্চারণ গোদ, গোড় নয়। গোদর দ্রাবিড়ী বা অনার্য্য ভাষায় কথা বলে এবং তাহার: সাতপুর পৰ্ব্বতশ্রেণীর উপত্যকাভূমিতে অনাদিকাল হইতে বসবাস করিতেছে। তাহার মধ্যপ্রদেশের আদিম অধিবাসী । চট্টোপাধ্যায় মহাশরের “সম্ভবতঃ তাহারা দক্ষিণাত্য হইতে মধ্যপ্রদেশে আসিয়া বসতি স্থাপন করিয়াছে” –এই উক্তি অনুমান যা প্রক্ষেপ | দক্ষিণাত্যের কোন আদিম অধিবাসীদের সহিত ইহীদের কোন প্রকার শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক সাপ্ত নাই। ইহারা অত্যন্ত ঘরকুণো ও রক্ষণশীল । ইহার সাধারণতঃ দুই শ্রেণীতে বিভক্ত-ব্লাজ-গোদ ও সাধারণ গোদ । e&প্রবাসীউr ఏన)8సి রাজ গোদক্ষের পূর্বপুরুষগণ আদিমকাল হইতে মধ্যপ্রদেশ শাসন করিয়া আসিতেছিল, কিন্তু আৰ্য্যরাজগণের সংঘর্ষে তাহারা পরাজিত, নিহত এবং ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হইয়া গিয়াছে। এখনও রাজ-গোদদের বংশধরগণ করদমিত্র রাজারূপে মধ্যপ্রদেশে বাস্তার, য়ায়গড়, সারণগড় প্রভৃতি রাজ্য শাসন করিতেছে । চট্টোপাধ্যায় মহাশয় লিখিত গেদজাতির উৎপত্তি সম্বন্ধে পৌরাণিক কাহিনীর ঐতিহাসিক কোন মূল্য নাই । গেদিদের সভ্যতা, সামাজিকতা ও আচার-ব্যবহার সম্বন্ধে পাঠকগণক কিছু জানাইতেছি। মধ্যপ্রদেশ পৌরাণিক যুগ বা প্রাচীনকাল হইতে ছোট ছোট বহু ক্ষুদ্র গোদ-রাজ্যে বিভক্ত ছিল । সকল রাজগণেরই নিজ রাজ্য রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কেল্লা ও সৈন্ত-সামন্ত ছিল এবং উহার। আপন আপন স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখিতে চেষ্টা করিতেন। এখনও বনে জঙ্গলে অনেক স্থানে প্রাচীন যুগের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কেল্লা দেখা যায়। কোন গেদিরাজবংশই নিজেকে রাজচক্ৰবৰ্ত্ত আখ্যা দেন নাই ব। বড় রকমের দিগ্বিজয় করেন নাই। গোদ-রাজগণ রাম-রাজত্বের সময়ও নিজেদের আবাসভূমিতে স্বাধীন ভাবে বাস করিয়াছিলেন। মধ্যপ্রদেশ সাধারণতঃ পাহাড় ও জঙ্গলে পরিপূর্ণ ও জমিও অমূৰ্ব্বর, সেই-জন্ত ভারতের একচ্ছত্র রাজাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নাই গোদর স্বভাবতঃই শান্তিপ্রিয় ও রক্ষণশীল | সমাজে স্ত্রী-পুরুষের দাবি সমান, বরং সমাজে নারীর মর্য্যাণ উপরে । কন্যার মাতাপিত। বা অভিভাবকদের নিকট বরপক্ষের লোকের বিবাহের প্রস্তাব করিয়৷ থাকে । কস্তাপক্ষের অভিভাবকদের বিবাহ-প্রস্তাব ম্যাদি।হানিকর । বনিয়াদী গোদ-বংশের কন্যারা অনেক স্থানে চিরকুমারী থাকে এবং ইহ সমাজে আদৌ নিননীয় নয় । সমাজে নারীর কোনরূপ পর্দ! নাই। সামাজিক ভোজে নর-নারী একসঙ্গে বিভিন্ন পংক্তিতে ভোজন করে । আহাৰ্য্য-দ্রব্যের কোন বিধিনিষেধ নাই। মদ্য, শূকরমাংস, গো-মাংস প্রভৃতি তক্ষণ করে। তাহারা নিজেদের দেবদেবী, ভূতপ্রেত ছাড়াও হিন্দুদের মহাদেব, শ্ৰীকৃষ্ণ, রামচন্দ্র প্রভৃতি দেবদেবীদের মান্ত বা পূজা করে । চুরি, জুয়াচুরি, বাহাড়ম্বর ও অমিতবায়িত গোদ-জাতির স্বভাবে নাই । তবে যে-সমস্ত তরুণ গোদ শহরের বা কারখানার আবহাওয়ায় বৰ্দ্ধিত হইতেছে, তাহারাও অস্তান্ত ভারতীয়দের মত আধুনিক সভ্যতার আবর্জন মাখিতেছে। গেদিদের প্রকৃতিগত ধৰ্ম্ম বা স্বভাব--সহগু৭, ধৈৰ্য্য, শাস্তিপ্রিয়তা ও মিতব্যয়িত । যদি পৃথিবীতে কোন জাতির প্রকৃত মনুষ্যত্ব থাকে, তাহ গোদজাতির আছে। তাহাদের স্বাস্থ্য অটুট, রোগে তাহারা জড়ীকুটীর চিকিৎসায় বিনী-খরচে আরোগ্যলাভ করে । তাঁহাদের আহার ও জীবনযাত্র-প্রণালী অত্যন্ত সাদাসিধে । তাহদের পেশীতে বাঙালীর চেয়ে দশ গুণ বল। স্ত্রী-পুরুষে সমানভাবে পরিশ্রমে অভ্যস্ত বলিয়৷ গোদ-নারী অবল নয়, সাক্ষাৎ শক্তিরূপিণী। স্বামীর মৃত্যুতে বা পুরুষের দুর্দিনে গোদ নারী নিজ নিজ পরিবার প্রতিপালনে সমর্থ। গেদিদের আত্মসম্মানজ্ঞান সভ্য-নামধারী বাবুষ্ঠায়াদের চেয়ে অনেক বেশী। ভারতবর্ষীয় রাজকৰ্ম্মচারিগণ কেবলমাত্র গেদিদের উপর অযথ অত্যাচার করেন, এই উক্তি অমূলক। রাজভৃত্যগণ চিরকালই প্ৰজাগণের নিকট অন্যায় আবদার ও প্রতিপত্তি ভোগ করিয়া আসিতেছে।