পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

位88

  • fortno (Segregate Schools for Children of particular communities) onto oni oto -

এই শ্রেণীর বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রধান এইগুলি মুসলমানদিগের urs xarx-xtutxi e ctrl-fwffrin ( Mulla school ) art হিন্দুদিগের জন্ত পাঠশালা ; এবং ব্রহ্মদেশে বহুসংখ্যক (বৌদ্ধ) মঠাশ্ৰিত ( monastic ) বিদ্যালয়••• যে ছাত্রদিগকে বর্তমান যুগের জীবনযাত্রায় উন্নতি করিতে হইবে, তাহাঙ্গের পক্ষে ঐ সকল বিদ্যালয়ের শিক্ষা অসম্পূর্ণ( অথবা ক্রটিপূর্ণ)। শিক্ষা-বিভাগের গুরুতর অর্থ-অপচয়ের জন্তও ঐ সকল বিদ্যালয় বহুলাংশে দায়ী, কারণ উহাদের জন্ত একই কাজ দুইবার করার দরকার (overlapping) Ex I এই স্থলে, রিপোর্টে উল্লিখিত “পাঠশালার” কথা আলোচনা না করিয়া থাকা যায় না। রিপোর্টে বলা হইয়াছে যে, “মুসলমানদিগের জন্ত মক্তব-মাদ্রাসা আর হিন্দুদিগের জন্ত পাঠশালা” । ইহাতে বুঝা যায়, যেমন মক্তব-মাদ্রাসা কেবল মুসলমানদিগের জন্ত, তেমনি পাঠশালাগুলিও কেবল হিন্দুদিগের জন্ত । এই উক্তি অসত্য অথবা অতিরঞ্জিত মনে করিবার যথেষ্ট কারণ আছে । অস্তত:, বাংলা দেশে সাধারণ শিক্ষার জন্ত যে-সকল পাঠশালা আছে, তাহা হিন্দু-মুসলমান-খ্ৰীষ্টান সকলের জন্ত । অন্ত কোন প্রদেশেও সরকার এই অতুলনীয় মুসলমান-প্রতির ও প্রকাগু ধারাবাহিক হিন্দু উপেক্ষার দিনে কেবল হিন্দু বালক-বালিকার জন্ত মক্তব-মাদ্রাসরি দ্যায় বহুসংখ্যক বিদ্যালয় সাধারণের অর্থে চালাইবেন, বা চালাইতে দিবেন, ইহা অবিশ্বাস্ত । যদি “পাঠশালা” অর্থে সংস্কৃত-বিদ্যালয় অর্থাৎ টোল বুঝি, তথাপি একই সিদ্ধান্তে উপনীত হইবার কথা । বাংলা দেশের দৃষ্টান্ত ধরিলে, ১৯৩১-৩২ সালে টোলের জন্ত zif8fā'i gitstettāz ( public funds ) selefts গবর্ণমেন্টের নিজস্ব, ডিষ্ট্রিক্ট-বোর্ড ও মিউনিসিপালিটীর টাকা ষে-পরিমাণে ব্যয় হইয়াছে, তাহার ষোল গুণ অর্থ মক্তবমাদ্রাসার জন্ত ব্যয় হইয়াছে * ( ১৯২৭-৩২ সনের বঙ্গদেশের পঞ্চবার্ষিক শিক্ষাবিবরণী)। ভারতের অন্ত কোন প্রদেশে যে সরকার মুসলমানদিগের প্রতি এই বিষয়ে কম পক্ষপাতিত্ব দেখাইয়াছেন, এবং হিন্দুদের প্রতি অধিক উদারতা প্রবাসনী । ఎ98S* দেখাইয়াছেন, এইরূপ মনে করিলে শিক্ষা-বিভাগের বর্তমান চরিত্রে কলঙ্কারোপ করা হয়। সুতরাং, মক্তব-মাদ্রাসার সঙ্গে সঙ্গে “হিন্দুদের জন্ত পাঠশালা” এইরূপ বালবার কারণ বোধ হয় এই যে, মুসলমানদিগের সাম্প্রদায়িক শিক্ষার নিনার সঙ্গে সঙ্গে যদি হিন্দুদের সকরণ বা অকারণ একটা নিনা জুড়িয়া না-দেওয়া যায় তবে লোকে কি বলিবে ? এই সম্বন্ধে আর একটি লক্ষ্য করিবার বিষয় এই যে, সরকারী কোন রিপোটে কদাপি ইহা বলা হয় নাই যে সাম্প্রদায়িক বিদ্যালয়ের সংখ্যাবাহুল্যবশতঃ হিন্দুদের শিক্ষার উন্নতি ক্ষুণ্ণ হইয়াছে । কিন্তু সরকারী রিপোটেই বারংবার এই কথা লিখিত হইয়াছে যে, "পৃথক সাম্প্রদায়িক বিদ্যালয়"গুলির সংখ্যাধিক্য মুসলমানসমাজের শিক্ষার অনুন্নতির একটি কারণ । যথা, বাংলা-গবর্ণমন্টের ৭ম পঞ্চবাধিক শিক্ষ বিবরণীতে + ( ১৯২২-২৩–১৯২৬-২৭ সালের ) এইরূপ লিখিত দেখ} سي itsة ...পঞ্চম পঞ্চবার্ষিক বিবরণীতে যাহা যাহ! প্রদশিত হইয়াছে সেই শক্তিগুলিই উন্নতিয় বাধা ঘটাইতেছে—জনসাধারণের (অর্থাৎ মুসলমান সাধারণের ) উদাসীনতা---মুসলমানদিগের কর্তৃত্বাধীন মক্তব-মাদ্রাস প্রভৃতি বিশিষ্ট প্রকারের বিদ্যালয়, যাহাতে ইসলাম ধৰ্ম্ম ও অনুষ্ঠান শিক্ষা দেওয়া হয়, তৎপ্রতি (মুসলমানদিগের) অনুরাগ। এই কারণগুলি এখনও বর্তমান এবং, আপাতঃদৃষ্টিতে বোধ হয় যে, অক্ষুণ্ণ শক্তিতেই বর্তমান (পৃ. ৭ )। উদ্ধৃত কথাগুলি হইতে বুঝা যায় যে ১৯১২-১৭ সালের রিপোটে, মুসলমানদিগর মক্তব-মাদ্রাসা প্রভৃতি যে র্তাহীদেরই শিক্ষার উন্নতির অন্তরায়, শিক্ষা-বিভাগের চিন্তা ও অভিজ্ঞতা প্রস্থত এই সিদ্ধাপ্ত প্রকাশিত হইয়াছিল । আবার, অষ্টম পঞ্চবাধিক রিপোর্টে ( Eighth Quinquennial Review ) zelfs sra-os Intera রিপোর্টও সেই একই কথা ঃ– মুসলমানদিগের শিক্ষার উন্নতিতে যে-সকল শক্তি বাধা দেয়, তাহা পূৰ্ব্বষৎ স্নহিয়াছে। সেগুলি এই—সাধারণ বিদ্যালয়ে যে অ-সাম্প্রদায়িক ( liboral ) শিক্ষা দেওয়া হয়, সেই বিদ্যাচর্চার প্রতি উদাসীনতা-মক্তব-মাদ্রাসায় স্থায় বিশিষ্ট শ্রেণীর বিদ্যালয়, যেখানে সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে ইসলাম ধৰ্ম্ম ও আচার-অনুষ্ঠান শিক্ষা দেওয়া হয়, তৎপ্রতি মুসলমান অভিভাৰকগণের পক্ষপাতিত্ব। (পৃ. ৭৯)

  • মুসলমানদিগের ইসলামিয়া কলেজ ও হিন্দুদের সংস্কৃত-কলেজের ব্যয় ধরিলে, পার্থক্য হয় ১৭ গুণের বেশী !

† Seventh Quinquennial Review ou the Progress of Education in Bengal for the years 1922-23–1926-27.