পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-冢邸一 एर्छौशब्दांझन्म td নিখুঁত ভাজ-করা হট পরিয়া হাতে বইখাতা-ভর চামড়ার ব্যাগ লইয়া আসে, কোটের বুক-পকেটে রঙীন রুমালে এসেলের গন্ধ, পিঙ্গনে চশমার কালো চওড়া ফিতা কানের পিছনে দোলে । তাহার বাবা ইংরেজী সওদাগর আপিসের বড়বাবু না সেজবাবু, ইহা লইয়া ছেলেদের মধ্যে তর্ক হয় । চালিয়াৎ চট্টো ইংরেজীতে কথা বলে। সে ক্লাসে প্রবেশ করিয়া গম্ভীর ভাবে বসিল, হোয়াট ইজ-দি ম্যাটার ? - ছেলের দল হাসিয়া উঠিল । এক জন বলিল, চালিয়াৎ চট্টো বড় কঠিন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছে, বস্তু কি ? কোথায় হে বাণেশ্বর তর্কচঞ্চু অরবিন্দ আসাতে বৃন্দাবন একটু রেহাই পাইল । সে . গজগজ করিয়া দ্বিজেনের পাশে বসিল । দ্বিজেন্দ্রনাথ মিত্র ক্লাসের ‘ভাল ছেলে", প্রায় সব বিষয়ে প্রথম হয় । অরুণ চারিদিকে চাহিয়া দেখিল, বন্ধু অজয় অসিয়াছে কি না । অজয় তাহার সীটে বসিয়া কি লিখিতেছে, নিশ্চয় কোন স্কুলকে ম্যাচ চ্যালেঞ্জ করিয়া চিঠি। অরুণ নিশ্চিন্তু হইল। যতীনকে ডাকিয়া তাহারা পাশাপাশি বসিল । যতীনকে তাহার বড় ভাল লাগে । খুব গরিবের ছেলে হইবে, ফ্রী পড়ে। পায়ে কাদাভর চাট, ময়লা কাপড় ও ছেড়া শাটপরা, শীর্ণ দেহ, কিন্তু মুখখানি বুদ্ধিতে ভরা, টান কালে চোখ দুটিতে তীক্ষুধী । সেও অরুণের মত স্বল্পভাষী, শান্ত ; কাহারও সহিত মিশিতে চায় না । সে যে দরিদ্র এই হীনতাবোধ তাহার চিত্তকে সৰ্ব্বদা বেদনা-প্রবণ করিয়াছে । যতীনের সহিত অরুণের বেশভূষায় অত্যন্ত পার্থক্য। অরুণ ময়লা কাপড় পরিতে পারে না, ময়লা জামা গায়ে দিলে তাহার গা ঘিন-থিন করে, সহজ সৌন্দৰ্য্য ও শুচিতার বোধ তাহার জন্মগত। কিন্তু চেহারায় ও মানস প্রকৃতিতে যতীনের সহিত তাহার যোগ রহিয়াছে। তাহার দেহ যতীনের মতই কৃশ, ভকুরতার ভাবময় ; পাণ্ডুর মুখশ্ৰী কখনও বেদনার করুশ, কখনও বুদ্ধিতে উজ্জ্বল। যতীন অরুণের সহিতও বেশী কথা কয় না, কিন্তু কয়েকটি কথাতেই তাহাজের চিত্তের কোন গভীর গোপন যোগ हांशृिङ झहेम्न शांब्र । ইংরেজী মাষ্টার মহাশয়ের চোগাচাপকন পর দীর্ঘ মুর্বি বারান্দায় দেখা যাইতেই ক্লাস নিস্তদ্ধ হইয়া গেল। লম্বা রোগ। কালো চেহারা, লম্বা মুখের উপর খাড়ার মত নাক, অজীর্ণতাশীর্ণ জলজলে চোখ ; অতি , গম্ভীর প্রকৃতির লোক ; কেহ কখন তাহাকে ক্লাসে হাসিতে দেখে নাই। বেশের কৃষ্ণতায়, দেহের দৈর্ঘ্যে, শীর্ণচক্ষের সুতীব্র দীপ্তিতে সৰ্ব্বক্ষণ ভয়াবহ স্তব্ধতা স্মৃষ্টি করিয়া তিনি কিশোর-মনে ভয়ের শাসন স্থাপন করিতে কৃতকাৰ্য্য হইয়াছেন । ছেলেরা পিছনে তাহাকে নাকু বলে, কিন্তু র্তাহাকে বাঘের মত ভয় করে। আতঙ্কিত কিশোর-চিত্তের কল্পনায় তিনি রুদ্রদেবতার রূপ । চেয়ারে বসিয়া নাকু ক্লাসের দিকে চাহিলেন । সবাই ভীত মন্ত্ৰমুগ্ধ হইয়া পুত্তলিকার মত র্তাহার দিকে চাহিল। তাহার দীর্ঘ শীর্ণ তর্জনী যাহার প্রতি নিক্ষেপ করিকেন, তাহাকে সোজা দাড়াইয়া আজিকার ইংরঞ্জেী-পাঠ রীডিং পড়িতে হইবে । তিনি কোন কথা বলিবেন না, গুৰু তর্জনীর ইঙ্গিত । নাকুর তর্জনী অরবিনোর প্রতি পড়িল । চালিয়াৎ চট্টোকে পড়িতে হইবে ক্লাসের সবাই খুশী । ড্রিল-গার্জেণ্ট যেরূপ গম্ভীর তীক্ষস্বরে হুকুম করিয়া শিক্ষানবীশ সৈনিকদের কুচকাওয়াজ শেখায়, সেইরূপ অর্ডারের মত নাকুর এক-একটি ইংরেজী কথা বাহির হয়, ছেলেদের বুক দুরন্ধুর করে—সোজা, সোজা দাড়াও, সোজা বই | অরবিন্দ কম্পিত হস্তে চশমার ফিতা ঠিক করিয়া লম্ব টানা স্বরে পড়িতে লাগিল ; ক্লাসের সকলে চুপ। যখন এক প্যারাগ্রাফ পড়া শেষ হইল, অরবিন নুতন প্যারাগ্রাফ পড়িতে যাইবে, অর্ডার আসিল,—খাদ । একি গান ? গানের সুর । প্রোজ, প্লোজ ! अक्र* ठाखांङ छांट्रय झांजिब खेटैिण । कृश बैंौल ऊर्ध्वनी অরুণের বেঞ্চের দিকে পড়িল । অরুণের বুক কঁাপিয়া উঠিল, রীডিং সে বেশ পড়িতে পরিবে, কিন্তু শঙ্ক কথার অর্থগুলি দেখিয়া আসে নাই । সহসা তাঁহার পাশ হইত্তে যতীন দাড়াইয়া উঠিল। বাচা গেল ! যতীন বেশ हेश:ब्रछी श्रृंtफ़ ।