পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ সিংডুমের তাম্রখনি কোম্পানী” নামে আর একটি কোম্পানী সংগঠিত হয়। তাহারা সরাসরি গবর্ণমেণ্টের নিকট হইতে ধলভূম তাম্রপ্রস্তর স্তরের কতকটা অংশ ইজারা লয় এবং রাখা হইতে রাজদোহা পর্যন্ত প্রায় ২৪ বর্গ-মাইল পরিমিত স্থানের উপর তাহাদের কৰ্ম্মস্থলের সীমানা ধাৰ্য্য করে। এই নূতন কোম্পানী রাজদোহা ও রাখা এই উভয় স্থানেই একসঙ্গে তাহীদের কার্য্য আরম্ভ করে, কিন্তু অল্পদিনের মধ্যে তাহারাও পাততাড়ি ওটাইতে বাধ্য হয় তাহদের মূলধনের অসচ্ছলতার দরুণ । তার পর ১৯০৫ হইতে ১৯০৯ সালের মধ্যে স্তর টমাস s=Its (Sir Thomas Holland) ư# GR#t-R তাম্র-প্রস্তর সম্বন্ধে অনেক গবেষণার পর একটি খসড়া প্রস্তুত করিয়া তাহা ভারত-গবর্ণমেণ্টের দরবারে পেশ করেন । ইহার ফলে ভারত-গবর্ণমেণ্টের জরীপ-বিভাগ এই তাম্র-প্রস্তর স্তরের উপর যান্ত্রিক পরীক্ষা চালাইয়া তামীর অস্তিত্বের সন্তোষজনক প্রমাণ প্রাপ্ত হয় । এই রিপোর্টটি প্রকাশিত হইবার পর দি কেপ কপার কোম্পানী (The Cape Copper Co., Ltd.) aton of off, কোম্পানী ইংলণ্ডের জন্‌ টেলার এও সন্সের (John Taylor & Sons) of{{lost of 5ffers হইয়া "দি রাজদোহা মাইনিং কোম্পানী”র নিকট হইতে পরীক্ষণ-স্বরূপ খনির কার্য্যভার গ্রহণ করে এবং খনিটি কাৰ্য্যকরী বিবেচিত হইলে স্থায়িভাবে ইহার ইজার বন্দোবস্ত করিয়া লইবে এই প্রতিশ্রুতিও প্রদান করে । পরে ১৯০৭-০৮ সালে উক্ত কেপ কপার কোম্পানী “রাজদেtহ মাইনিং কোম্পানী”র নিকট হইতে ১৪e০ • পাউণ্ড বা প্রায় এক লক্ষ ছিয়াশ হাজার টাকায় ইজারাটি স্থায়িভাবে কিনিয়া লয় এবং ১৯১৪ সালে ইহা খনির আকারে পরিণত হইয়া সম্পূর্ণরূপ কাৰ্য্যকরী হইয়৷ উঠে । এই ১৯১৪ সালেরই এপ্রিল মাসে মিলের কার্য্য আরম্ভ হয় এবং বহুকাল পরে, আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত প্ৰণালীতে ব্রিটিশ জাতি ভারতে প্রথম তাম উৎপাদন করিয়া রাখা পাহাড়ের শীর্ষদেশে তাহদের জাতীয় পতাকা সগৌরবে প্রোথিত করেন। (Geological Survey of India) পালভারাইজড় কোল-প্ল্যান্ট ও বয়লার-হাউসের এক অংশ এই কোম্পানীর তাম-প্রজনন ক্রিয়া ১৯২১ সালের ২০শে জুন পর্যন্ত কোনরকমে চলিয়াছিল ; তারপর, ইহার আয় ও বায় সঙ্কুলান সুবিধাজনক না-হওয়ায় রিসিভারেরা এই খনিটির কার্য্যভার স্বহস্তে গ্রহণ করেন । ইহার পর-বৎসর ১৯২২ সালের ৩১শে মার্চ তারিখে খনির তাম্র-প্রজনন ক্রিয়া একেবারেই বন্ধ হইয়া যায়, যদিও থfনটি ১৯৩১ সাল পর্যন্ত কার্যোপযোগী করিয়াই রাখা হইয়াছিল । এই শেষোক্ত কয়েক বৎসরের শেষ দিকে ১৯২৯ সালে ইনডিয়ান কপার করপোরেশন কোম্পানী এই খনিটি পরীক্ষা-স্বরূপ লইয়াছিল মাত্র, কিন্তু শেষপর্যন্ত মোটেই ইহা পরিচালিত করে নাই । ১৯২০ সালে “দি করডোবা কপার কোম্পানী” মেষিাবনীর থনিটি পরীক্ষা-স্বরূপ লইয়াছিল । এই খনিটিও কেপ ‘কপার কোম্পানীরই সম্পত্তি এবং ইহার আংশিক কাৰ্য্য জন টেলার এও সন্স-এর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হইতেছিল । ১৯২৪ সালে উহাদের পরীক্ষার কাল শেষ হইলে ২০ বর্গ-মাইল