পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

位。劉。 ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের অধিবেশনও পৌষ মাসে কলিকাতায় হইয়াছিল । ভারতবর্ষের নানা প্রদেশ হইতে বিজ্ঞানবিদরা আসিয়া ইহাতে যোগ দিয়াছিলেন । আরও নানা সভা-সমিতির অধিবেশন নানা স্থানে হইয়াছিল । ভারতীয়দের পরিচ্ছদ খবরের কাগজে আজকাল ছবি দেওয়ার রীতি খুব বাড়িয়াছে। এই সব শাদা-কাল ছবি যে-সব মানুষের, র্তাহীদের গায়েয় রং তাহ হইতে বুঝিবার যে থাকে না, নাম দেখিয়া ও পরিচ্ছদ দেখিয়া বুঝিতে হয় তাহারণ কে । অনেক সভার লোকদের, স্কুল-কলেজের ছাত্রদের ও অধ্যাপকদের ছবিও কাগজে বাহির হয় । তাহীদের অধিকাংশের কেবল পরিচ্ছদ দেখিয়া বিচার করিতে হইলে, নাম ছাপা না থাকিলে, মনে হইত তাহারা ইউরোপীয় । অনেক সভায় গেলে অবশ্য গায়ের য়ঙে প্রায়ই বুঝা যায় কে ইউরোপীয় কে নহে ; পাগড়ী ও হাট হইতেও তাঁহ বুঝা যায়। বাংলা দেশ ছাড়া ভারতের অন্তত্ব ইউরোপীয় কোট, টাই ইত্যাদির সঙ্গে পাগড়ীও দেখা যায়, কিন্তু হাটও কম দেখা যায় না। মোটের উপর বলা যাইতে পারে, “শিক্ষিত” ভারতীয়ের পরিচ্ছদে অনেকটা ইউরোপীয় বনিয়া গিয়াছে । কিন্তু ভারতীয় মহিলারা পরিচ্ছদে ইউরোপীয় বনেন নাই—যদিও অনেকের জ্যাকেট ব্লউস কতকটা ইউরোপীয় ধরণের বটে। তবে, ইহা লক্ষ্য করিবার বিষয়, যে, কোন কোন মেম-ঘে"ষা ভারতীয়া শাড়ীটাকেই পরেন আঁট-সাট-খাট স্কার্টের মত করিয়া । সম্প্রতি কলিকাতায় যে দুটি বৃহৎ সভার অধিবেশন হইয়াছিল, তাহার মধ্যে প্রবাসী-বঙ্গসাহিত্য-সম্মেলনের অধিবেশনগুলিতে সব উ-দ্বধক, সভাপতি ও প্রতিনিধি এবং প্রায় সব দর্শককে বাঙালী বলিয়া বুঝা গিয়াছিল। বিজ্ঞানকংগ্রেসের যে-দুটি জলযোগ-সভায় গিয়াছিলাম, তাহাতে বাঙালী বিজ্ঞানবিদিগের মধ্যে কয়েক জন এবং পঞ্জাবের বৃদ্ধ বৈজ্ঞানিক অধ্যাপক রুচিরাম সাহনী ছাড়া (অবগু ভারতীয় মহিলাদেরও ছাড়া) আর সকলের পরিচ্ছদ ছিল ষোল আনা বা চৌদ্দ আন ইউরোপীয় । SSD8st ইউরোপীয় বলিয়া কোন কিছুর নিন্দ করা আমাদের অভিপ্রেত নহে। যাহা কাজের পক্ষে সুবিধাজনক, যাহা স্বাস্থ্যকর, যাহা অল্পব্যয়সাধ্য, যাহাঁতে শ্লীলতা রক্ষণ হয়, যাহা জটিল ও নানা অঙ্গ বা অঙ্গের সমষ্টি নহে, পরিচ্ছদ এইরূপ হওয়া ভাল। তাহার উপর তাহা সুন্দর এবং জাতীয় হইলে আরও ভাল । জাতীয় বলিতেছি এই জন্ত, যে, তাহা হইলে দেশের সর্বসাধারণের সঙ্গ পার্থক্য কম হয়। অন্তদের সঙ্গে অনাবশ্বক অসাদৃশুবুদ্ধি বাঞ্ছনীয় নহে—তাহাতে জাতীয় সংহতি নষ্ট হয় । থদরের চলন যে কোন সময়েই খুব বেশী হইয়াছিল, তাহা নহে। কিন্তু আগে যতটুকু হইয়াছিল, এখন তাহাও বহু পরিমাণে কমিয়া গিয়াছে । খবরের কাগজের ছবি এবং নানা প্রাদেশিক সভা-সমিতি দেখিয়া মনে হয়, বাঙালীরা এখনও দলবলে ধুতি ত্যাগ করে নাই । সুভাষচন্দ্র বস্থ সুভাষচন্দ্র বসু পিতৃশ্রীদ্ধের পর ভিয়েন যাত্র করিয়াছেন । তাহার পীড়া বৃদ্ধি পাইয়াছে, ইহা উদ্বেগজনক সংবাদ । ভিয়েনায় তাহার অস্ত্রাপচার হইবে । এখানে তাহা হইবার বোধ হয় উপায় ছিল না । তাহীর নিজের ব্যয়ে পুলিস তাহাকে ভিয়েন যাতায়াতের টিকিট কিনিয়া দিয়াছে, ইহা মনোর ভাল । ইহাতে মনে হয় দেশে ফিরিতে র্তাহীকে বাধা দেওয়া হইবে না। তিনি সুস্থ হইয়া দেশে ফিরিয়া আসুন এবং দেশের কল্যাণ করুন, ইহাই আমরা চাই । শরৎ চন্দ্র বস্থ শরৎ চন্দ্র বসু ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভার সভ্য নির্বাচিত হইয়াছেন বলিয়া ব্যবস্থাপক সভার উপস্থিত হইবার জন্ত গবর্ণর জেনার্যালের সমন পাইয়াছেন । আবার, তিনি গবর্ণর-জেনার্যালেরই হুকুমে রাজবন্দী হইয়া এক জায়গায় ( কাসিমুঙে ) আটক আছেন। সুতরা একষ্ট কর্তৃপক্ষ