পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سوا جلا বৃদ্ধদের মুখে শোনা যায়, শেষরাত্রি হইতেই কাগজীপাড়ায় টেকিতে কাগজের উপকরণ কুটিবার আওয়াজ পাওয়া যাইত। দু-তিন মাইল দূরের গ্রামের পাট চূর্ণ করা লোকেরাও টে"fকর শব্দ গুলিতে পাইত । সেই ঢে"কি আজ একেবারে নীরব ! বিশ-পচিশ বৎসর পূৰ্ব্বে বঙ্গভঙ্গের সময় আড়িয়লের কাগজের কিছু চাহিদা হইয়াছিল ; প্রায় পচিশ-ত্রিশটি পরিবার তখন কাগজ প্রস্তুত করিত। ... কাগজপ্রস্তুতপ্রণালী কাগজ-প্রস্তুতের প্রণালী খুবই সহজ ; সাজসরঞ্জাম

রিশেষ কিছুই নাই। কাগজ ও পাটের মগু হইতে এই কাগজ প্রস্তুত হয় । এক মণ কাগজের সঙ্গে পীচ সের পাট মিশাইতে হয়। দপ্তরীদের দোকানে কাটা টুকরা কাগজ কিনিতে পাওয়া ধয় । এগুলি খাতার ছাট কাগজ । ছাপা কাগজেও কাজ চলিতে পার, কিন্তু . يم . তাহার মওে কাগজের রং পরিষ্কর হইবেন, এই কgজ, •ল লি ডিজাইন রাখা হয় কাগজ হাতে সীল &প্রবাসী; ఏ98S গলে সেজন্ত কিছু সোড মিশাইতে হয় । এক দিন ভিজাইয় রাখিলেই কাজ চলে । পাট রাখিতে হয় চুণের জলে ভিজাইয়া । যে-কোন পাটে কাজ চলে না ; মিহি ও মোলায়েম পাটের প্রয়োজন। জ্যৈষ্ঠ আষাঢ় মাসে ক্ষেত হইতে কিছু কিছু পাট তুলিয়া ফেলা হয় ; এসব ছোট ছোট পাটকে বাছপাট বলে । আজকাল যথেষ্ট পরিমাণ কাগজ পাওয়া যায় বলিয়া কাগজ ও পাট দুই-ই মণ্ডপ্রস্তুতকার্যে ব্যবহৃত হয়। পূৰ্ব্বে শুধু পাট দিয়াই মণ্ড প্রস্তুত হইত। সেজন্ত কাগজের মাড় ধুইয়া ফেলা হইতেছে এখনকার কাগজ দেখিতে আগেকার অপেক্ষণ অনেক ভাল। কিন্তু আগেকার কাগজ বেশী শক্ত ছিল। পূৰ্ব্বে যে পাট ব্যবহার করা হইত তাহীকে বল মেছট পাট (পশ্চিম-বঙ্গ—মেছত ) । এ-অঞ্চলে মেঘট পাটের চাষ ছিল না। চাদপুর ও ফরিদপুরে ইহার চাষ হইত। লৌহজঙ্গে এ-পাট কিনিতে পাওয়া যাইত ৷ সাধারণ পাট হইতে মেছট পাট ভিন্ন । এ-পাটের বীজ কল ইয়ের মত বড়, ফুল হয় দেখিতে কতকটা দেড়ম ফুলের মত ।